Ajker Patrika

উচ্চমাধ্যমিকের পরে স্বপ্নযাত্রার শুরু

প্রণবকান্তি দেব 
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০৯
উচ্চমাধ্যমিকের পরে স্বপ্নযাত্রার শুরু

আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার আনুষ্ঠানিকতা মূলত শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকে। একই সঙ্গে ক্যারিয়ার ধারণাটাও মাথায় বাসা বাঁধে তখনই। ফলে উচ্চমাধ্যমিক-পরবর্তী সময়টা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাঁর জীবনের গতিপথ নির্ধারণে, জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতার সংজ্ঞায়নের তাৎপর্যময় সময় এটি। স্বভাবতই আগ্রহ জাগে, কী করা উচিত উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর। 
পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। সম্ভাবনার শত দুয়ার খোলা সবার জন্য। প্রয়োজন শুধু একটু সুচিন্তিত ভাবনা, দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণ চিন্তা।

উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রথম কাজ হচ্ছে স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা নিয়ে ভাবা। সে ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার কোথায় ভর্তি হবেন, কোন বিষয় নির্বাচন করবেন, সেসব ভাবনাও জরুরি। সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির বিষয়টি। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের চাওয়া থাকে প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়া। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অনেকে আবার চান জনপ্রিয় বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতে। 

জানতে হবে অনেক কিছু
আমাদের ভর্তি পরীক্ষাগুলো যখন ‘ভর্তিযুদ্ধ’ নামে পরিচিতি পেয়েছে, তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের কাছে এটি যুদ্ধে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে গণ্য হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাই আটঘাট বেঁধে নামছেন যুদ্ধে জয়ী হতে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। কারণ, একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি একেক রকম। পাশাপাশি রয়েছে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। যেহেতু এ পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর চেয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এবং তুমুল প্রতিযোগিতামূলক, তাই এর কলাকৌশল জানা জরুরি। তাই প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টার কিংবা অভিজ্ঞ মেন্টরের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।

আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই এ সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। কেউ কেউ আবার ভুল পথে সময় নষ্ট করেন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। এ সময়ে বেশি প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল, নিজের আগ্রহ, বিষয়কেন্দ্রিক ক্যারিয়ার অপরচুনিটি ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ধৈর্য হারিয়ে ছোটাছুটি করেন নানা মোহনায়। দিনের একেক প্রহরে একেক রকম চিন্তা করেন। বন্ধুবান্ধবের প্ররোচনায় ভুল পথে পা বাড়িয়ে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেন নিজের ভবিষ্যৎ। তাই সতর্কভাবে এগিয়ে যেতে হবে এ সময়।

বিদেশে যেতে
ইদানীং অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে চান উচ্চমাধ্যমিকের পরপরই। তাঁদের জন্যও প্রস্তুতি একটি বড় বিষয়। যাঁরা বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাঁদের আইইএলটিএস, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্বাচন, বৃত্তি, ভর্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন তথ্য জোগাড়, পর্যালোচনা ইত্যাদি বিষয়ে গভীর মনোনিবেশ করতে হবে। যে দেশে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী, সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করতে হবে। বিশেষ করে আইইএলটিএস স্কোর এবং স্টেটমেন্ট অব পারপাস লেখা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়। সফলতার জন্য এ দুটি ক্ষেত্রে অবশ্যই আশাব্যঞ্জক কিছু করতে হবে। এখানেও অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
আরেকটি ব্যাপার, পরিবর্তন এখন পৃথিবীজুড়ে। নিত্যনতুন জ্ঞান আর বিষয়-ভাবনা যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাজার অর্থনীতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সবখানে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সেই দৌড়ে যুক্ত থাকতে হবে। গৎবাঁধা বিষয়-ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে বৈচিত্র্যের সন্ধান করতে হবে।

হতাশা নয়
একটি সফল ক্যারিয়ারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থীকে গভীরভাবে কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে চাকরির বাজার, ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে নিজের পড়া বিষয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গবেষণা করা জরুরি। শিক্ষার্থীরা চাইলে এ সময় মেধাবী জ্যেষ্ঠদের নির্দেশনা নিতে পারেন। ভর্তির জন্য কোচিং সেন্টারের রঙিন বিজ্ঞাপনে না ভুলে নিজের কাণ্ডজ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। তবে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এ সময়ে সাফল্যের জন্য একটা আত্মপ্রত্যয়ী হৃদয় দরকার। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা মেডিকেল-বুয়েটে সুযোগ না পেলে জীবন শেষ—এ মানসিকতা পুষে রাখা যাবে না। সুযোগ এখন অবারিত।

 স্বপ্নপূরণ অসাধ্য কিছু নয়; কিন্তু তার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি প্রয়োজন। সফলতার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই।

অনেক সময় মা-বাবাসহ অভিভাবকদের বাড়তি প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে নিজের স্বপ্ন-সাধকে আড়াল করে রাখা ঠিক হবে না। এতে চাপা দুঃখবোধ আর হতাশা জন্ম নেবে। এর প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক স্বপ্নযাত্রায়।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত