Ajker Patrika

নিয়োগ আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়ে

শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১১: ২৩
নিয়োগ আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়ে

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।

নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।

স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।

বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।

৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।

৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।

 ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।

 ৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’

প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’

 ‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।

‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’

জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫৫তম মহান বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর শ্রদ্ধা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্‌যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।

বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।

তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’

তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

পাঠকবন্ধু কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে ডিআইইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: পাঠকবন্ধু
পাঠকবন্ধু কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে ডিআইইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: পাঠকবন্ধু

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’

বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ছাত্রদলের অর্ঘ্যসহ ৯ শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

‎পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন। ‎

উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

‎এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত