Ajker Patrika

নিয়োগ আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়ে

শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১১: ২৩
নিয়োগ আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়ে

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না অনেকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ায় এসব প্রার্থীর নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগবঞ্চিতদের আবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করেই ফল মিলছে না। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ পেলেও প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় ৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত ৬৩১ জন নিয়োগ পাননি।

নিয়োগ না পাওয়া অনেক প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ কাউকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না।

স্বীকৃতি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণ জানার পর প্রার্থীরা আদালতে যেতে পারেন। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা জানতেও রিট করা যাবে।

বিসিএসের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার আগে ১৬ ধরনের তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এখন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। এ কারণেই নিয়োগ হয়নি বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। অন্য সরকারি চাকরির বিষয়টি চিন্তা করে এঁদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।

৩৩ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কতজন প্রার্থী পিএসসির সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি, সেই তথ্য জানায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাঁদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছয়টি বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তাঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, নিয়োগ পাননি ৬৩১ জন। নিয়োগবঞ্চিত অনেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও কাজ হচ্ছে না।

৩৭তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত একজন নারী প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ব্যাংকে চাকরি করি। বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’ এই প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন এবং উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

ওই প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে দিয়ে প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। ইউএনও তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ইউএনওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। ২০০৭ সালে তিনি নিজ উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করেছেন।

 ওই প্রার্থীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, “মেয়ের চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেরিফিকেশন করার সময় বলেন, ‘আপনার একটা রাজনৈতিক পরিচিতি ছিল। আপনি একসময় বিএনপি করতেন। আপনি একজন প্রসিদ্ধ মানুষ। আপনাকে সবাই চেনেন। তাই বিষয়টি আমরা অমিট করতে পারব না।’ আমার মেয়ের এবং আমাদের অন্য কোনো প্রবলেম তাঁরা পাননি। আমি কী করেছি, এ জন্য সন্তানের সাজা হবে—এটা কেমন কথা!”

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়। ৩৫তম বিসিএস থেকে বিষয়গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। ফলে আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন না।

 ৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া একজন প্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমি নিয়োগ পাইনি। এই বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ৩৮ জন মিলে গত বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেছি, এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি।’ ৩৮তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়া বুয়েটের সাবেক এক শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। এই প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ও এনএসআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে থাকে। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তাঁদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয় না। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে প্রার্থীরা তদন্ত দাবি করেন, তখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। প্রয়োজন হলে অন্য সংস্থা দিয়েও তদন্ত করা হয়। মামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম কিংবা জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটা খুব ভালোমতো দেখা হয়।’

প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখা হয় না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা বিবেচনা করি। তবে জঙ্গি হামলা বা নাশকতামূলক মামলার প্রমাণ থাকলে নিয়োগবিধির ধারা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে ভুল প্রতিবেদন ভেরিফাই করে অনেক সময় অনেকে পার পেয়ে যান। ৩৮তম বিসিএসে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট ভেরিফাই করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নিয়োগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।’

 ‘আত্মীয়স্বজনের দলের সম্পৃক্ততায় বাদ দেওয়া বেআইনি’
স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে নিয়োগ না-দেওয়া হলে সেটিকে বেআইনি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণের কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে যদি কোনো মামলা দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কাউকে সেই অভিযোগে দোষারোপ করা বেআইনি। ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততা থাকলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতের প্রমাণ থাকলে এবং সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ থাকলে, তাঁদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।

‘স্বীকৃত ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়োগপ্রার্থীর আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া বা নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁরা যদি বাদ পড়ার কারণ জানতে পারেন, তবে আদালতে যেতে পারবেন। প্রতিবেদন কেন সন্তোষজনক নয়, সেটা জানতে চেয়েও চিঠি লিখতে পারেন। বিরোধী দলের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সম্পৃক্ততার কারণে বাদ দেওয়া হলে সেটা জানার পর রিট করা যেতে পারে। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি জানতেও রিট করা যেতে পারে। বাদপড়ারা আইনের দ্বারস্থ না হওয়ায় বছরের পর বছর এভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবার কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে নিয়োগ দেওয়া না হলে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাবার কারণে সন্তান ভুগবে কেন?’

জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার নীতি ঠিক করতে গিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এসব করছে। এ কাজগুলো করতে থাকলে সরকার পরিবর্তন হলেও তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে কখনো আর জনকর্মচারী হয়ে ওঠে না। সেটার প্রভাব এখন আমরা প্রত্যেক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত