অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। উল্লিখিত পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে এই প্রোগ্রামে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, এমফিল ও ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পৃথিবীব্যাপী পর্যটনকেন্দ্রিক পড়াশোনার কদর দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশেও। কারও যদি পর্যটন ও আতিথেয়তার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে ভর্তি হতে পারেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে। পর্যটনসংক্রান্ত পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের বেশির ভাগই ব্যবহারিক। তাই এ পেশায় অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইলে প্রয়োজন ব্যবহারিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ।
পড়ার যোগ্যতা কী
ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত ভর্তি প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষা ও মেধাক্রমের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বাংলাদেশে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নিতে আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থীদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের দেশগুলোতে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিষয়। বাংলাদেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ দেশে প্রথম এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তা ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধীনে অনেক কলেজে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক পড়ানো হয়। এমনকি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কিছু ইনস্টিটিউট এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়ে থাকে। ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা করার সুযোগ আছে সরকারিভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।
কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, হাউস কিপিং ম্যানেজমেন্ট, কালিনারি আর্টস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, লেইজার অ্যান্ড রিক্রিয়েশন সার্ভিসেস, ফাইন্যান্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি মার্কেটিং, ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ, রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট, রিসার্চ মেথটোডোলজি, গ্লোবাল ইস্যুজ ইন ট্যুরিজম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডামেন্টালস, অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, সার্ভিস ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
কর্মসংস্থান বা চাকরির সুযোগ
এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল ক্যারিয়ারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক চেইন তারকা হোটেল ও রিসোর্ট। দিনে দিনে বাড়ছে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপকের চাহিদা। শুধু ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন, রেনেসাঁ, লা মেরিডিয়ান, র্যাডিসন ব্লু, হানসা রেসিডেন্স, ঢাকা রিজেন্সিসহ আরও অনেক তারকা মানসম্পন্ন হোটেল গড়ে উঠেছে। ফলে এ বিষয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে দ্য প্যালেস, রয়্যাল টিউলিপ, গ্র্যান্ড সুলতান, অরুণিমা রিসোর্ট, দু-সাই রিসোর্টসহ উল্লেখযোগ্য রিসোর্টে প্রচুর দক্ষ কর্মীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সেবাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে (ব্যাংক, বিমা, টেলিকমিউনিকেশন, পাবলিক সার্ভিস ও অন্যান্য) ক্যারিয়ার গড়ার প্রচুর সুযোগ থাকছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইনস, এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ারসহ আন্তর্জাতিক প্রায় ৪০টি এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু, স্টুয়ার্ড হিসেবে যোগদান করার সুযোগ রয়েছে।
ট্যুরিজম বিভাগের প্রয়োজনীয়তা
ট্যুরিজম একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। সমগ্র বিশ্বে মানুষের মধ্যে ভ্রমণপ্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, থিম পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র। পর্যটনের সঙ্গে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ: সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট; হোটেল ম্যানেজমেন্ট; ট্যুরিজম ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চেইন তারকা হোটেল ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরু করেছে। এসব হোটেল ও রিসোর্টে প্রচুর দক্ষ কর্মীর দরকার। পর্যটনের সঙ্গে একান্তভাবে যোগসূত্র রয়েছে হোটেল ম্যানেজমেন্টের। তাই বলা হয়, আগামীর পেশা পর্যটন ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট। দিন দিন পর্যটক ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর গাইডের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ডোমেস্টিক এয়ারলাইনসের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের সংখ্যা বাড়ায় দক্ষ জনশক্তির চাহিদা অনেক বেড়েছে। ফলে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও সারা বিশ্বই পর্যটনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, জীবনযাপন ও প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইবে। তাই ভবিষ্যতে এই খাতে বিপুল পরিমাণে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে।
পড়াশোনার খরচ কেমন পড়বে
পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোতে নামমাত্র খরচে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। তবে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। ডিপ্লোমা ডিগ্রির জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরকার হয়। তবে খুব অল্প খরচে ডিপ্লোমা করা যায় সরকারিভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যায়। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ এশিয়ার দেশগুলোর অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। উল্লিখিত পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে এই প্রোগ্রামে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, এমফিল ও ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পৃথিবীব্যাপী পর্যটনকেন্দ্রিক পড়াশোনার কদর দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশেও। কারও যদি পর্যটন ও আতিথেয়তার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে ভর্তি হতে পারেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে। পর্যটনসংক্রান্ত পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের বেশির ভাগই ব্যবহারিক। তাই এ পেশায় অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইলে প্রয়োজন ব্যবহারিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ।
পড়ার যোগ্যতা কী
ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত ভর্তি প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষা ও মেধাক্রমের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বাংলাদেশে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নিতে আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থীদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের দেশগুলোতে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিষয়। বাংলাদেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ দেশে প্রথম এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তা ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধীনে অনেক কলেজে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক পড়ানো হয়। এমনকি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কিছু ইনস্টিটিউট এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়ে থাকে। ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা করার সুযোগ আছে সরকারিভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।
কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, হাউস কিপিং ম্যানেজমেন্ট, কালিনারি আর্টস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, লেইজার অ্যান্ড রিক্রিয়েশন সার্ভিসেস, ফাইন্যান্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি মার্কেটিং, ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ, রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট, রিসার্চ মেথটোডোলজি, গ্লোবাল ইস্যুজ ইন ট্যুরিজম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডামেন্টালস, অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, সার্ভিস ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
কর্মসংস্থান বা চাকরির সুযোগ
এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল ক্যারিয়ারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক চেইন তারকা হোটেল ও রিসোর্ট। দিনে দিনে বাড়ছে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপকের চাহিদা। শুধু ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন, রেনেসাঁ, লা মেরিডিয়ান, র্যাডিসন ব্লু, হানসা রেসিডেন্স, ঢাকা রিজেন্সিসহ আরও অনেক তারকা মানসম্পন্ন হোটেল গড়ে উঠেছে। ফলে এ বিষয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে দ্য প্যালেস, রয়্যাল টিউলিপ, গ্র্যান্ড সুলতান, অরুণিমা রিসোর্ট, দু-সাই রিসোর্টসহ উল্লেখযোগ্য রিসোর্টে প্রচুর দক্ষ কর্মীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সেবাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে (ব্যাংক, বিমা, টেলিকমিউনিকেশন, পাবলিক সার্ভিস ও অন্যান্য) ক্যারিয়ার গড়ার প্রচুর সুযোগ থাকছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এর পাশাপাশি এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইনস, এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ারসহ আন্তর্জাতিক প্রায় ৪০টি এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু, স্টুয়ার্ড হিসেবে যোগদান করার সুযোগ রয়েছে।
ট্যুরিজম বিভাগের প্রয়োজনীয়তা
ট্যুরিজম একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। সমগ্র বিশ্বে মানুষের মধ্যে ভ্রমণপ্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, থিম পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র। পর্যটনের সঙ্গে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ: সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট; হোটেল ম্যানেজমেন্ট; ট্যুরিজম ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চেইন তারকা হোটেল ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরু করেছে। এসব হোটেল ও রিসোর্টে প্রচুর দক্ষ কর্মীর দরকার। পর্যটনের সঙ্গে একান্তভাবে যোগসূত্র রয়েছে হোটেল ম্যানেজমেন্টের। তাই বলা হয়, আগামীর পেশা পর্যটন ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট। দিন দিন পর্যটক ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর গাইডের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ডোমেস্টিক এয়ারলাইনসের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের সংখ্যা বাড়ায় দক্ষ জনশক্তির চাহিদা অনেক বেড়েছে। ফলে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও সারা বিশ্বই পর্যটনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, জীবনযাপন ও প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইবে। তাই ভবিষ্যতে এই খাতে বিপুল পরিমাণে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে।
পড়াশোনার খরচ কেমন পড়বে
পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোতে নামমাত্র খরচে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। তবে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। ডিপ্লোমা ডিগ্রির জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরকার হয়। তবে খুব অল্প খরচে ডিপ্লোমা করা যায় সরকারিভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যায়। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ এশিয়ার দেশগুলোর অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে