Ajker Patrika

শিক্ষার্থী ২২৭, শিক্ষক-কর্মচারী ১৩০

রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৪: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
  • ছয় কলেজের মধ্যে অধ্যক্ষ আছেন মাত্র একটিতে
  • অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় কাজে স্থবিরতা
  • ৪৩ প্রভাষকের কারও পদ ও চাকরি স্থায়ী হয়নি
  • ছয় কলেজে শিক্ষার্থীদের মোট আসন ১,১২০

বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে আসনসংখ্যা ১২০। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৬ শিক্ষার্থী। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ নয়, এটিসহ সারা দেশে থাকা ছয়টি শারীরিক শিক্ষা কলেজেরই প্রায় একই চিত্র। পাঁচটি কলেজে অধ্যক্ষ নেই। দীর্ঘদিনেও পদ ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কলেজগুলোর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এগুলোর প্রভাবে স্থবিরতা বিরাজ করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রমে। শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও স্নাতক কোর্স চালু না হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে হাতে গোনা। চলতি শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ১২০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন।

সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলো হলো ঢাকার মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, রাজশাহীর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ময়মনসিংহের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, চট্টগ্রামের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এবং বরিশালের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ। এসব কলেজ পরিচালিত হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গত বুধবার ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তফা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধি পাবে। স্নাতক কোর্স চালু ও শিক্ষকদের পদ ও চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে কাজ চলছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ হাজার ৩১৬টি। এগুলোর প্রতিটিতে একটি করে শারীরিক শিক্ষক পদ রয়েছে। তবে এসব পদে কত শিক্ষক কর্মরত আছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণ শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা এসব পদে চাকরির সুযোগ পান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষক পদে ২ হাজার ৫৮৩ জনের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

ক্রীড়া পরিদপ্তরের তথ্য বলছে, ছয়টি শারীরিক শিক্ষা কলেজে মোট আসন ১ হাজার ১২০টি। চলতি শিক্ষাবর্ষে এসব কলেজে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন। এসব কলেজে প্রভাষকের ৫৬টি পদের মধ্যে কর্মরত ৪৩ জন এবং কর্মচারী আছেন ৮৭ জন। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও বাগেরহাটের শারীরিক শিক্ষা কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬৯ জন। বাকি তিনটিতে ভর্তি হয়েছেন ১৫৮ শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ রয়েছেন। বাকিগুলোর অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শারীরিক শিক্ষা কলেজের অন্তত ১০ শিক্ষক জানান, পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকায় কলেজগুলো চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকায় প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০১৬ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে অধিকাংশ প্রভাষক নিয়োগ পেলেও এখনো তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি।

কারণ, শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে প্রভাষক পদই সৃষ্টি করা হয়নি। অর্থাৎ প্রভাষক পদের জনবলকাঠামো চূড়ান্ত হয়নি। তাঁরা বলেন, পাঁচ শারীরিক শিক্ষা কলেজে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে পড়াশোনায়। দিন দিন শিক্ষার্থী কমার এটি অন্যতম কারণ।

স্নাতক কোর্স না থাকায় শিক্ষার্থী কম: চাকরির বাজারে শারীরিক শিক্ষায় চার বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্সের চাহিদা থাকলেও সরকারি ছয়টি কলেজের একটিতেও স্নাতক কোর্স নেই। এ কারণে এসব কলেজে পড়তে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম।

জানা যায়, ঢাকার শারীরিক শিক্ষা কলেজে এক বছর মেয়াদি দুটি কোর্স চালু আছে। এগুলো হলো ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশন। বাকি পাঁচটি কলেজে শুধু ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন কোর্স চালু রয়েছে।

ক্রীড়া পরিদপ্তর থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে চার বছর মেয়াদি স্নাতক প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি দেওয়া হলেও এখনো চালু হয়নি। চারটি পাবলিক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক কোর্স থাকায় শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলো।

জানতে চাইলে ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরির বাজারের জন্য চার বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্স প্রয়োজন। অথচ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা (অবকাঠামো-শিক্ষক) থাকার পরও স্নাতক কোর্স চালু করা হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, নানা সমস্যার কারণে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, পর্যাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত