Ajker Patrika

শিক্ষার্থী ২২৭, শিক্ষক-কর্মচারী ১৩০

রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৪: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
  • ছয় কলেজের মধ্যে অধ্যক্ষ আছেন মাত্র একটিতে
  • অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় কাজে স্থবিরতা
  • ৪৩ প্রভাষকের কারও পদ ও চাকরি স্থায়ী হয়নি
  • ছয় কলেজে শিক্ষার্থীদের মোট আসন ১,১২০

বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে আসনসংখ্যা ১২০। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৬ শিক্ষার্থী। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ নয়, এটিসহ সারা দেশে থাকা ছয়টি শারীরিক শিক্ষা কলেজেরই প্রায় একই চিত্র। পাঁচটি কলেজে অধ্যক্ষ নেই। দীর্ঘদিনেও পদ ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কলেজগুলোর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এগুলোর প্রভাবে স্থবিরতা বিরাজ করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রমে। শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও স্নাতক কোর্স চালু না হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে হাতে গোনা। চলতি শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ১২০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন।

সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলো হলো ঢাকার মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, রাজশাহীর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ময়মনসিংহের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, চট্টগ্রামের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এবং বরিশালের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ। এসব কলেজ পরিচালিত হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গত বুধবার ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তফা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধি পাবে। স্নাতক কোর্স চালু ও শিক্ষকদের পদ ও চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে কাজ চলছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ হাজার ৩১৬টি। এগুলোর প্রতিটিতে একটি করে শারীরিক শিক্ষক পদ রয়েছে। তবে এসব পদে কত শিক্ষক কর্মরত আছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণ শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা এসব পদে চাকরির সুযোগ পান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষক পদে ২ হাজার ৫৮৩ জনের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

ক্রীড়া পরিদপ্তরের তথ্য বলছে, ছয়টি শারীরিক শিক্ষা কলেজে মোট আসন ১ হাজার ১২০টি। চলতি শিক্ষাবর্ষে এসব কলেজে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন। এসব কলেজে প্রভাষকের ৫৬টি পদের মধ্যে কর্মরত ৪৩ জন এবং কর্মচারী আছেন ৮৭ জন। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও বাগেরহাটের শারীরিক শিক্ষা কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬৯ জন। বাকি তিনটিতে ভর্তি হয়েছেন ১৫৮ শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ রয়েছেন। বাকিগুলোর অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শারীরিক শিক্ষা কলেজের অন্তত ১০ শিক্ষক জানান, পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকায় কলেজগুলো চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকায় প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০১৬ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে অধিকাংশ প্রভাষক নিয়োগ পেলেও এখনো তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি।

কারণ, শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে প্রভাষক পদই সৃষ্টি করা হয়নি। অর্থাৎ প্রভাষক পদের জনবলকাঠামো চূড়ান্ত হয়নি। তাঁরা বলেন, পাঁচ শারীরিক শিক্ষা কলেজে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে পড়াশোনায়। দিন দিন শিক্ষার্থী কমার এটি অন্যতম কারণ।

স্নাতক কোর্স না থাকায় শিক্ষার্থী কম: চাকরির বাজারে শারীরিক শিক্ষায় চার বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্সের চাহিদা থাকলেও সরকারি ছয়টি কলেজের একটিতেও স্নাতক কোর্স নেই। এ কারণে এসব কলেজে পড়তে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম।

জানা যায়, ঢাকার শারীরিক শিক্ষা কলেজে এক বছর মেয়াদি দুটি কোর্স চালু আছে। এগুলো হলো ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশন। বাকি পাঁচটি কলেজে শুধু ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন কোর্স চালু রয়েছে।

ক্রীড়া পরিদপ্তর থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে চার বছর মেয়াদি স্নাতক প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি দেওয়া হলেও এখনো চালু হয়নি। চারটি পাবলিক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক কোর্স থাকায় শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলো।

জানতে চাইলে ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরির বাজারের জন্য চার বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্স প্রয়োজন। অথচ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা (অবকাঠামো-শিক্ষক) থাকার পরও স্নাতক কোর্স চালু করা হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, নানা সমস্যার কারণে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, পর্যাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুবিতে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। ‘এ’ ইউনিটে ৮৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ চারটি অনুষদের ভবনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ১২টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকার বাইরে কুমিল্লা, খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষায় ভূমিকা রয়েছে বিএসএমের

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন জামাল ভূঁইয়া

জবি প্রতিনিধি 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ‎

আজ ‎বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার। ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’ ‎

‎এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’ ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত