Ajker Patrika

চূড়ান্ত হচ্ছে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, শিগগির ঘোষণা

ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯: ২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।

শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্‌করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।

ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’

সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’

ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।

নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’

এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’

অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল

ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে মুখোমুখি শিক্ষক-অভিভাবকেরা

  • পিরোজপুর, পাবনায় শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের সংঘর্ষ।
  • অনেক জায়গায় স্কুলের তালা ভেঙে পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
  • শিক্ষকনেতাদের বদলি। প্রতিবাদে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।

বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।

একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।

জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’

সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।

সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য: (পর্ব-১)

শিক্ষা ডেস্ক
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

  • Welcome to our bank. – আমাদের ব্যাংকে স্বাগতম।
  • May I have your name, please?– দয়া করে আপনার নাম বলবেন?
  • How can I assist you? – কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
  • Please fill out this form. – দয়া করে এই ফরমটি পূরণ করুন।
  • Do you have an account with us? – আপনার আমাদের সঙ্গে কোনো অ্যাকাউন্ট আছে কি?
  • I would like to open a new account. – আমি একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।
  • What type of account would you like to open? – আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান?
  • I’d like a savings account, please.– সেভিংস অ্যাকাউন্ট, অনুগ্রহ করে।
  • I want to deposit money. – আমি টাকা জমা দিতে চাই।
  • How much would you like to deposit? – কত টাকা জমা দিতে চান?
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।

সুযোগ-সুবিধা

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত