ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:
ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি কমিটি সংশ্লিষ্টদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। এবার সে নাম চূড়ান্ত করতে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে ইউজিসি।
শিগগির প্রস্তাবিত এ নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করা হবে। এরপর ‘প্রস্তাবিত’ নাম উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির আদেশে কার্যকর হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্করণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ‘প্রস্তাবিত’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত সভাগুলোতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত টিম লিডারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য, সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র প্রতিনিধি টিম লিডারদের উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসি একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে শতাধিক নামের প্রস্তাবনা পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নামের বিষয়ে তারা বেশি মেইল পেয়েছে। সব মিলিয়ে যেসব নামের পক্ষে বেশি জনমত ছিল, এমন পাঁচটি নাম নিয়ে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর শর্ট লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নাম বাছাই করা হবে। নাম বাছাইয়ের পর ইউজিসি চূড়ান্ত নামটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সেটা আগামীকাল রোববারও দেওয়া হতে পারে। আর ঈদের আগেই দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো। বাকি মডেল ও আইনসহ বাকি প্রক্রিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত হবে।
ইউজিসির চাহিদা অনুযায়ী নিজের পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নাম শুধু একটি পরিচিতির মাধ্যম নয়; এটি মর্যাদার প্রতীক। একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমার পছন্দের নাম ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা এমন একটি নাম নির্বাচন করবে, যেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বিতর্ক বা বিভেদ সৃষ্টি হবে না।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ সালমান বলেন, ‘সাত কলেজের মুক্তির আন্দোলনে আমি শুরু থেকে সক্রিয় ছিলাম। আমরা এখন চূড়ান্ত মুক্তির দারপ্রান্তে রয়েছি। ইউজিসি আমাদের কাছ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে। আমি ইউজিসির ঠিকানায় একটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেটি হলো “ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি”। নাম যা-ই হোক, ইউজিসির কাছ থেকে আমরা একটি কোয়ালিটিফুল বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি। যেটি হবে আমাদের স্বপ্নে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবো।’
ইউজিসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তির বাইরেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আগামীকাল রোববারের সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ফোনকল পেয়েছেন। সেই কলে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি কলেজের টিম লিডারদের রোববার সকাল ১০টায় ইউজিসিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
নাম চূড়ান্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো নাম চাপিয়ে দেবে না। শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা যেসব নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ কাজে ইউজিসি সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। রোববার যে সভা আহ্বান করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই নাম অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমরা একটি নাম প্রস্তাব করব। এরপর একটি মডেল দেব। এ মডেলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরি হবে। এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই এ আইন উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। এ পুরো কার্যক্রম আমাদের যে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রস্তাবিত নাম আইনসিদ্ধ হবে না। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে সাত কলেজের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনও চূড়ান্ত করতে পারব। একই সঙ্গে আইন প্রস্তুত হলে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পাবে সাত কলেজ।’
এদিকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের চেয়ে মানে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ইউজিসি হয়তো এখন একটি বাস্তবতা বিবেচনায় সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এটার ফলাফল কেমন হবে, তা পরে দেখা যাবে। তবে এখন যেহেতু সময় নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ রয়েছে, তাই আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক জিন্নাহ বলেন, ‘নামের বিষয়টি যেটি বলেছেন, ইউজিসি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছে যে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো পদক্ষেপ হয়েছে। তবে আমি বলব, নাম যেটা হোক, এসব কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতে যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের পাঠদান যেন সত্যিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে আমরা যেমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে শুনেছি, এমন কোনো কিছু যেন আর না ফেরে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তাঁরা যেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এখানে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হবে।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাজ কত দূর
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় এ সহায়তা এগিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কেমন হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
ইউজিসির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল চূড়ান্ত করেছে। মডেল চূড়ান্তের সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মডেলগুলো কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশ মডেলটি এখানে প্রয়োগ করব। এটা আমরা দেখেছি। এ মডেলের নীতিবাক্য ঠিক করেছি—Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মডেলটি প্রয়োগের জন্য আমরা সাতটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছি। বাস্তবতা হলো, ক্যাম্পাসগুলোর একটিও ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের জন্য মানানসই নয়। এ জন্য আমরা একটি হাইব্রিড মডেল ঠিক করেছি। যেটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছে। নতুন কাঠামোর অধীনে একটি শক্তিশালী আইটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। হাইব্রিড মডেলে অনলাইন-অফলাইন পাঠদান কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই প্ল্যাটফর্ম সমন্বয় করবে।
আরও খবর পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৫ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৫ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৭ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৫ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
১৫ মার্চ ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১২ ঘণ্টা আগে