Ajker Patrika

ওয়েবসাইট যখন পড়ালেখার সহায়ক

আরাফাত শাহরিয়ার
আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ১৭: ৪৬
ওয়েবসাইট যখন পড়ালেখার সহায়ক

শিক্ষার্থীদের জন্য আছে দরকারি অনেক ওয়েবসাইট। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ভূগোল, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়সহ প্রায় সব বিষয়ের সমাধান, লেকচার, টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় এসব ওয়েব ঠিকানায়। অডিও, ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে শেখা যায় সুবিধাজনক সময়ে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও আছে অনেক কনটেন্ট। সবার জন্য উন্মুক্ত এসব সাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই দেওয়া যায় কুইজ, মডেল টেস্ট। ঘুরে আসা যাক দরকারি সব ওয়েবসাইটের শিক্ষামূলক কনটেন্টের ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।

খান একাডেমি
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভার্চুয়াল পাঠশালা ‘খান একাডেমি’র যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা সালমান খান। বিশ্বজুড়ে এর কোটি ছাত্র! সব বয়সের শিক্ষার্থীর জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির তৈরি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর হাজার হাজার ভিডিও লেকচার, টিউটোরিয়াল আছে। যে কেউ খুব সহজে বিনা পয়সায় তাঁদের প্রয়োজনীয় বিষয়টি জেনে নিতে পারেন। এসব লেকচার ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, পর্তুগিজ, ফরাসিসহ প্রায় অর্ধশত ভাষায় সহজলভ্য।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

শিক্ষক বাতায়ন
বাংলায় তৈরি উন্মুক্ত অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘শিক্ষক বাতায়ন’। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ সরকারের এই শিক্ষামূলক ডিজিটাল ওয়েবসাইটের। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের ওপর কনটেন্ট তৈরি করে এতে আপলোড করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় পড়ানো হয় এমন সব বিষয়ের হাজার হাজার সমাধান পাওয়া যায় শিক্ষক বাতায়নে। লক্ষাধিক শিক্ষক এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

টেন মিনিট স্কুল
অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’, যেখানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠা করেন আয়মান সাদিক। প্রাথমিক, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসির দরকারি অনেক কোর্স ও শিক্ষা উপকরণ রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল কোর্স সম্পর্কেও শিক্ষা দেওয়া হয় এতে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

শিক্ষক ডটকম
২০১২ সালে ড. রাগিব হাসান প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিক্ষক ডটকম’ ওয়েবসাইটটি। যে কেউ বিনা মূল্যে এখানে নানা বিষয় শিখতে পারেন। এতে আছে কম্পিউটারবিজ্ঞান থেকে শুরু করে পদার্থ, রসায়ন, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ নানান বিষয়ের লেকচার। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা পর্যায়ের বিবিধ টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় শিক্ষক ডটকমে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান
‘চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান ডটকম’ নামের শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে ইংরেজি ও বাংলা উভয় মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজির ওপর বিভিন্ন ধরনের টেস্ট রয়েছে। রয়েছে শিক্ষা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, অ্যাপস ও গেইম, জীবনযাত্রা, খেলাধুলা, বিনোদন-সম্পর্কিত নানা কনটেন্ট, খবরাখবর ও ভিডিও।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

অন্যরকম পাঠশালা
ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘অন্যরকম পাঠশালা’। প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগ। জ্ঞান শিক্ষার প্রকৃত রসদ দেশের সব প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এর উদ্দেশ্য। প্ল্যাটফর্মটিতে নবম-দশম শ্রেণি থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত, পদার্থ, রসায়ন, বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো খুব সহজে ব্যবহারিক জ্ঞানের সাহায্যে পাঠদান করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিখতে পারে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

সৃজনশীল ডটকম
একজন শিক্ষার্থী যাতে ঘরে বসেই তার সুবিধামতো সময়ে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী অধ্যায় ও টার্মভিত্তিক যত খুশি তত পরীক্ষা দিতে পারে, সে লক্ষ্যে চালু হয়েছে ‘সৃজনশীল ডটকম’। এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নিজের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে তা জানতে পারে। এ ছাড়া এই সাইটে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অডিও ভিজ্যুয়াল টিউটোরিয়ালও রয়েছে। সৃজনশীল ডটকমে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী অধ্যায় ও টার্মভিত্তিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

কিশোর বাতায়ন
কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন বিষয় দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘কিশোর বাতায়ন’। ২০১৮ সালে এর যাত্রা শুরু। বাংলাভাষী কিশোর-কিশোরীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে ডিজিটাল এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে পারে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

মুক্ত পাঠ
২০১৬ সালে ‘মুক্ত পাঠ’ নামের জাতীয় ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। এই শিক্ষা বাতায়ন সবার জন্য উন্মুক্ত, শেখাও যায় যখন-তখন। মুক্ত পাঠ এমন একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে কেবল ছাত্রছাত্রী নয়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, বিদেশগামী কর্মী, প্রবাসী কর্মী, গৃহিণী, তরুণ, বয়স্ক থেকে শুরু করে সবাই ই-লার্নিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

বিবিসি জানালা
ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম ‘বিবিসি জানালা’। যাঁরা প্রাথমিকভাবে ইংরেজি শেখা শুরু ও ইংরেজি দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইছেন, মূলত তাঁদের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন লেসন। ‘বিবিসি জানালা’র ইংরেজি শেখার অনলাইন কোর্সগুলো বর্তমানে ‘ঘুড়ি লার্নিং’-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

এডুটিউববিডি
শিক্ষামূলক কনটেন্ট শেয়ারিং পোর্টাল এডুটিউববিডি ডটকম। ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ভিডিও লেকচার। স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়েও আছে বেশ কিছু ভিডিও। এতে ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলে নোট, প্রশ্ন, সাজেশন, যা ওয়ার্ড, পিডিএফ ফাইলে বা ভিডিও হিসেবে রাখা যায়। অন্যরা কী ধরনের কনটেন্ট আপলোড করছে, তা-ও দেখা যায়। ডাউনলোড করা যায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ। শিক্ষকেরা অ্যাকাউন্ট খুলে কনটেন্ট আপলোড করতে পারেন।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

ই-শিখন
এই ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে পঞ্চম থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব বিষয়। শুধু তা-ই নয়, সাইটে যুক্ত আছে সোশ্যাল মিডিয়া, অর্থাৎ ইশিখন. কম ক্লাসমেটদের বন্ধু বানানো যায়। এ ছাড়া রয়েছে কোর্সভিত্তিক গ্রুপ, ফোরাম, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট, সার্টিফিকেট, ব্যাজ। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, গিটার, ছবি আঁকা, রান্নার মতো ব্যতিক্রমী কিছু কোর্সও রয়েছে। ই-শিখনের এসব কোর্সের জন্য অবশ্য ফি গুনতে হবে।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

আইএক্সএল
আন্তর্জাতিক ওয়েব প্ল্যাটফর্ম আইএক্সএল ডটকমে আছে প্রাক-কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের প্রয়োজনীয় কনটেন্ট। এ ছাড়া ভাষা শিক্ষার ওপরও অনুশীলন করা যায়। এই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো শিখে নেওয়া যাবে। দরকারি এ ওয়েবসাইটটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ কাজের।

ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।

শিক্ষা সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষায় ভূমিকা রয়েছে বিএসএমের

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন জামাল ভূঁইয়া

জবি প্রতিনিধি 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ‎

আজ ‎বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার। ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’ ‎

‎এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’ ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত