Ajker Patrika

১ অক্টোবর হলে ওঠার হুঁশিয়ারি জাবি শিক্ষার্থীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১: ৫৫
১ অক্টোবর হলে ওঠার হুঁশিয়ারি জাবি শিক্ষার্থীদের

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে ১ অক্টোবরের মধ্যে আবাসিক হলে ওঠার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে’ অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে এ মন্তব্য করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।

সরেজমিনে জানা যায়, মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার থেকে আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। মশাল মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হল খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। অথচ প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে আবারও ১৫ দিনের সময় চাচ্ছে। এটি ছাত্রদের হতাশ করেছে। কারণ এই প্রশাসন দুই ঘণ্টার নোটিশে হল ভ্যাকেন্টের সামর্থ্য দেখালেও হল খুলতে গড়িমসি করছে।

জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল রনি বলেন, হল খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের গড়িমসি নিন্দনীয়। প্রশাসনের কাজে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা কোনোমতে এ বছরের শেষে ক্যাম্পাস খুলতে চান। যত দিনে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে এবং বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকার টেন্ডার নির্বিঘ্নে শেষ হবে ততক্ষণ তাঁরা অপেক্ষা করতে চান। তবে আমরা স্পষ্ট বলতে চাই যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে ১ অক্টোবরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। এর জন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শোভন রহমান বলেন, আমাদের অত্যন্ত স্পষ্ট দাবি হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেওয়া। এর পরে আর একদিনও হলের বাইরে শিক্ষার্থীরা থাকবে না।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৩৪টি বিভাগ তথ্য দিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি অর্ধেক শিক্ষার্থী ২ ডোজ, অর্ধেক ১ ডোজ এবং বাদবাকি নিবন্ধন করেছে। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের কারণে নিবন্ধন করতে পারেনি। যে সংখ্যাটি মুষ্টিমেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে আছে তাদের টিকা দিতে একদিনও লাগবে না। ফলে এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কোনো টালবাহানা শিক্ষার্থীরা মানবে না।

এর আগে আজ দুপুরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম সশরীরে চালুসহ ১ অক্টোবরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনায় জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় করোনার কারণে হলের বাইরে অবস্থান করেছি। তবে এখন সংক্রমণ কমে আসায় আমরা সশরীরে ক্লাসে ফিরতে চাই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি দ্রুত হলে ফিরে যেতে আজকে দাবি নিয়ে এসেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, বায়েজিদ রানা কলিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজ ও ইসমাইল, রাফা, আলী, ইমরান, সোহেল, তৃষা, এনাম, আরিফ, আলম, সুজন, আবির, আসাদ, চিন্ময়, রাশেদ প্রমুখ।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তারপর টিকা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হলে তো সাত-আট দিন লাগবে। টিকা ছাড়াই যদি হলে ওঠানো যেতো তাহলে কেন এত দিন বন্ধ রাখলাম? অন্তত এক ডোজ টিকা নিতেই হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। হল খুলে দেওয়ার পর যাতে আবার বন্ধ করতে না হয় সে জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ দিন ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত