Ajker Patrika

জবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন

জবি প্রতিনিধি, ঢাকা
জবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রমে উদ্বোধন করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী এখনো এনআইডি পাননি তারা এখান থেকেই নিবন্ধন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে পারবেন। আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এর মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, (IDEA-2) এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মাহফুজা আক্তার, ঢাকা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার জনাব মুনির হোসাইন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। 

IDEA-2 এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের বলেন, এনআইডি কার্ড নাগরিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সে জন্য এর তথ্য যাতে ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা যখন নিবন্ধন ফরম পূরণ করবেন তখন বাবা-মায়ের নাম, নিজের নাম, জন্মতারিখ সব সঠিকভাবে পূরণ করবেন। এসএসসি সনদের সঙ্গে মিল রেখে সবকিছু পূরণ করবেন, যাতে সবকিছুরই মিল থাকে। আর স্মার্ট কার্ডের পেছনে এখন বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। এই ঠিকানা অনুযায়ী কিন্তু আপনি সেই এলাকার ভোটার। অন্য জায়গায় গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তাই এ বিষয়টা ভেবে তারপর বর্তমান ঠিকানা দিয়ে ফরম পূরণ করবেন। 

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এর মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর বলেন, এনআইডি বা স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে ২২টি সেবা গ্রহণ করা যায়। দিনে দিনে এটা আরও বাড়বে। এমন একটা সময় আসবে একজন নাগরিকের যাবতীয় কাজ আপনার স্মার্টকার্ডের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। সকল ধরনের নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে স্মার্টকার্ডের প্রয়োজন হবে। আপনারা সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের সেবা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী। এটা হয়তো প্রতীকী একটা তারিখ হিসেবে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে ৷ কিন্তু তারপরও যদি বাকি থাকে, আপনারা দলবদ্ধভাবে একটা গাড়িতে করে আমার অফিসে যাবেন। আমরা আপনাদের সেবা প্রদান করব। 

এ কে এম হুমায়ূন কবীর বলেন, এনআইডি করতে গিয়ে আমাদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দিতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য দুষ্কৃতকারীরা আমাদের এনআইডি নিবন্ধন করে বাইরে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সে জন্য আমরা নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভেরিফিকেশন করব। বিভিন্ন কাগজপত্র চাইব। আশা করি আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ঢাকার আদি স্থান। এখানে আপনারা আমাদের শিক্ষার্থীদের এনআইডি কার্যক্রমে সেবা দিতে এসেছেন সে জন্য ধন্যবাদ। এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আমাদের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. নিয়াজ আলমগীরের সহধর্মিণী এনআইডি নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু করতে সহযোগিতা করেছেন। এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে এনআইডি নিবন্ধন করার জন্য আহ্বান করছি। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমি যখন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তখন করোনার জরুরি অবস্থা চলছিল, সরকার থেকেও টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হলো। তারপর সব সহকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে টিকার জন্য কাজ করেছি। টিকা দেওয়ার জন্য এনআইডির প্রয়োজন। আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরই এনআইডি নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গেই তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার ফলে ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীরা এনআইডি কার্ড করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই কাজটি সম্পন্ন করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে এনআইডি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সেবা নেবেন। 

উল্লেখ্য, এর আগে ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। টিকার রেজিস্ট্রেশনে এনআইডির প্রয়োজন হয় বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচন করে এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান থাকবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

শিক্ষা ডেস্ক
সাখাওয়াত হোসেন লিমন।
সাখাওয়াত হোসেন লিমন।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময়টায় অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে, কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে—এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে। এ সময় আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা ফার্স্ট টাইমার, তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সময় ব্যবস্থাপনায়। শুরুতে প্রশ্ন বুঝলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় ফল ভালো আসে না। তবে একটু কৌশলী হলেই এ সময়টা খুবই কার্যকরভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়। চলুন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে একনজরে দেখে নেওয়া যাক:

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পরীক্ষার আগমুহূর্তে নতুন কোনো টপিক না পড়াই ভালো। বরং আগের পড়া টপিকগুলো বারবার রিভিশন করতে হবে। প্রশ্নব্যাংক দেখে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভালো রেজাল্ট করতে হলে প্রতিটি বিষয়েই ভালো নম্বর তুলতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন ও পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। পরীক্ষার আগমুহূর্তে স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। অত্যন্ত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।

আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা

আত্মবিশ্বাস সফলতা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত অধ্যয়ন, পরিশ্রম ও নিজেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে করণীয়

পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ঘড়ি ইত্যাদি নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র (স্টুডেন্ট কপি ও অফিস কপি) এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।

প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর করণীয়

প্রশ্নপত্রে যদি সেটকোড থাকে তাহলে তা অবশ্যই আগে পূরণ করতে হবে। ৮০টি প্রশ্নের বিপরীতে সময় মাত্র ৬০ মিনিট। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট ভালো রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১.২৫ মার্ক অর্থ্যাৎ ৮০টি প্রশ্নের জন্য ১০০ মার্ক। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর প্রথম দিক থেকে সিরিয়ালে উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্নে কনফিউশন থাকলে সেটির জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা যাবে না। প্রশ্নের চারটি অপশন ভালো করে পড়ে তিনটি ভুল উত্তর খুঁজে বের করে সঠিক উত্তরটির বৃত্ত ভরাট করতে হবে। নেগেটিভ মার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

সবশেষে বলা যায়, জীবনে সফলতার ক্ষেত্রে নিজের প্রতি আস্থা, ধৈর্য ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। জীবনে সফল হওয়ার জন্য সব ধরনের বাধা-বিপত্তি পরিকল্পিতভাবে দমন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী, আত্মবিশ্বাসীরা কখনোই হেরে যায় না।

সাখাওয়াত হোসেন লিমন, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক ইউনিটে ৩৯তম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫২
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা

কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপ কর্মসূচিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।

যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য এ স্কলারশিপগুলো উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়াশোনার পথ আরও সহজ করে দেবে।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো কানাডার অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। টরন্টো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি ক্যাম্পাস সেন্ট জর্জ, স্কারবরো ও মিসিসাগায় হাজারো দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে নোবেলজয়ীসহ বহু খ্যাতিমান গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবী উঠে এসেছেন।

সুযোগ-সুবিধা

শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর স্কলারশিপ খুঁজে পেতে অ্যাওয়ার্ড এক্সপ্লোরার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও গ্র্যান্টের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। মেধা, যোগ্যতা ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বিবেচনায় এসব বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিটি বৃত্তির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বা দেশীয় শিক্ষার্থী, বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রাম, পড়াশোনার স্তরসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে উপযুক্ত স্কলারশিপ বেছে নিতে পারবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

কানাডার বিভিন্ন স্কলারশিপের ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্তও ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা ও শর্ত নির্ধারিত। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিষয়ভিত্তিক ফল, ভর্তি প্রোগ্রাম এবং কখনো কখনো জাতীয়তা বা শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসের ওপর এসব শর্ত নির্ভর করে। কোন স্কলারশিপে আবেদন করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হয়। আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের মৌলিক যোগ্যতার শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে যাচাই করা জরুরি। এসব প্রাথমিক যোগ্যতার তথ্য লিঙ্কে গিয়ে পাওয়া যাবে।

স্কলারশিপের ধরন

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ কর্মসূচি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কলার্স প্রোগ্রাম, প্রেসিডেন্টস স্কলার্স অব এক্সেলেন্স প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা লেস্টার বি. পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব স্কলারশিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হয় না। ভর্তি আবেদনের তথ্যের ভিত্তিতেই যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কলারশিপের জন্য বিবেচনা করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজ, অনুষদ ও বিভাগ প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি বৃত্তি দিয়ে থাকে। যার মোট আর্থিক মূল্য প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার। পাশাপাশি চলমান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার ইনকোর্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসব স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারেন, সেগুলো হলো ফার্মেসি, মেডিকেল রেডিয়েশন সায়েন্সেস, বায়োমেডিক্যাল কমিউনিকেশনস, মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ডিজাইন, ডেন্টিস্ট্রি, ফিজিক্যাল থেরাপি, ফরেস্ট্রি, ইনফরমেশন, নার্সিং, আইন (ল), ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সামাজিক বিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৪ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসুর প্রচারণা শেষ: সুষ্ঠু ও শঙ্কামুক্ত নির্বাচনের আশায় প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা

  • সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের কারও কারও সংশয়
  • অন্য ছাত্র সংসদ ভোটের মতো ‘বিশৃঙ্খলা’ চান না কেউ
  • ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর, ফল সেদিনই বা পরদিন
সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৪৭
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার গতকাল শেষ হয়েছে। শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের সামনে প্রচারে ব্যস্ত ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এ কে এম রাকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার গতকাল শেষ হয়েছে। শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের সামনে প্রচারে ব্যস্ত ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এ কে এম রাকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীসহ সবার প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।

প্রচার পর্বজুড়ে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। প্রচার করা হয়েছে ইশতেহার।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন একটাই প্রত্যাশা, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ নির্বাচন। অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আমরা চাই না।’

ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের প্রচারণা ছিল জোরদার। নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সমস্যা শুনেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় রয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’

তরুণদের নতুন দল এনসিপির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যেখানে গেছি, শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা সব সময় ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমাদের বারবার হতাশ করেছে। আশা করি, নির্বাচনের দিন আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গতকাল প্রচার চালান ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গতকাল প্রচার চালান ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘আমরা প্রচারণার জন্য খুব কম সময় পেয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরাও

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম ভোট। এজন্য খুবই উৎসুক রয়েছি। এমন কোনো কিছু দেখতে চাই না, যার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’

আরেক শিক্ষার্থী সাহেদ সিজান বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’

৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সম্ভব হলে সেদিনই বা ৩১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে, ১৮৬৩ সালে প্রথমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ শিক্ষায়তনটির। একপর্যায়ে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল চৌধুরীর ওপর স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে। তিনি তাঁর বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করেন। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে কলেজে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সরকারের অনুমোদন পায়। সেই থেকে এবারই প্রথম এর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশেষ নির্দেশনা

জবি প্রতিনিধি‎
‎সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশেষ নির্দেশনা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

গতকাল ‎শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।

‎‎নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।

‎নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।

ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।

‎নির্দেশনায় ‎নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।

‎ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।

‎উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত