Ajker Patrika

প্রথমবারের মতো কাঠমান্ডুতে মৎস্য মেলার আয়োজন করল বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৫
কাঠমান্ডুতে প্রথমবারের মতো মৎস্য মেলার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত
কাঠমান্ডুতে প্রথমবারের মতো মৎস্য মেলার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এক মৎস্য মেলার আয়োজন করেছিল। গত শুক্রবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ ফিশ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতের মাছ তুলে ধরা হয় দর্শনার্থীদের সামনে। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নেপালের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব কৃষ্ণ প্রসাদ ধাকাল উদ্যোগটির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের সংস্কৃতিকে ঘনিষ্ঠ করে এবং নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করে।

তিনি উল্লেখ করেন, নেপাল ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এখন আরও গভীর সম্পৃক্ততার দিকে এগোচ্ছে। জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, বাণিজ্য ও ট্রানজিট, জ্বালানি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোতে এই অগ্রগতি বিশেষভাবে দৃশ্যমান। পাশাপাশি মৎস্য, জলজ চাষ এবং খাদ্যনিরাপত্তা খাতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী মৎস্য খাতের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি উৎসবটিকে বাংলাদেশের নদীমাতৃক ঐতিহ্যের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে মাছ যুগ যুগ ধরে সংস্কৃতি, জীবিকা, সামাজিক গঠন ও জাতীয় পরিচয়ের একটি প্রতীক হয়ে আছে।

তিনি বলেন, এই উৎসব কেবল সাংস্কৃতিক উদ্‌যাপন নয়, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতা গভীর করা এবং ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব সম্প্রসারণের একটি সুযোগও। তিনি এটিকে বাংলাদেশ এবং নেপালের প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মিল ও সম্প্রীতির যৌথ স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন।

উৎসবটির আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল নেপালে উচ্চমানের সামুদ্রিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মাছ এবং সি ফুড পণ্যের বাজারের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা। এই প্রথমবারের মতো কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের দূতাবাস এমন একটি প্রদর্শনী আয়োজন করল, যেখানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সামনে বিভিন্ন বাংলাদেশি মাছের জাত তুলে ধরা হয়। উৎসবে দেড় শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...