মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন। দুই পাশে সবুজ বন, মাঝখানে বয়ে গেছে খুব সুন্দর নদী। দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের মতোই। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর সোনাদিয়ার এই সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার ওপর ভর করে ‘সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক’ গড়ার পরিকল্পনা নেয় সরকার। কিন্তু যে বনকে ঘিরে এত পরিকল্পনা, সেটিই এখন ধ্বংসের মুখে।
চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরির জন্য এরই মধ্যে প্রায় ৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে উজাড় করে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। বন উজাড়ে প্রকাশ্যে ও আড়ালে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম, বড় মহেশখালী ও পৌরসভা এলাকার ২৫-৩০ জন প্রভাবশালী।
গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে প্যারাবন ধ্বংসের ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়েছে। দুপুর ১২টার পর তিন-চারটি ট্রলারে করে শতাধিক নারী-পুরুষকে সংরক্ষিত বন এলাকা থেকে ঘটিভাঙ্গায় ফিরতে দেখা যায়। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ছিল দা, কুড়াল ও করাত। কথা বলে জানা যায়, নতুন ঘোনা (চিংড়িঘের) থেকেই ফিরছিলেন তাঁরা।
ওই শ্রমিকদের কয়েকজন জানান, প্যারাবন কেটে গত এক মাসে ২৫টি নতুন চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরি করেছেন তাঁরা। একেকটি ঘেরের আয়তন ১৫০ থেকে ৩০০ একর। শুধু এই শ্রমিকেরা নন, তাঁদের মতো আরও অনেকেই প্রতিদিন প্রভাবশালীদের হয়ে দলে দলে গিয়ে প্যারাবন কাটার কাজ করছেন। প্যারাবনে ৩০টির মতো এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকজন অভিযানে গেলে তার আগেই খবর পৌঁছে যায় বনে। তখন প্যারাবনের ভেতর এসব এক্সকাভেটর লুকিয়ে রাখা হয়।
সোনাদিয়ায় প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরির প্রতিযোগিতায় খুনখারাবির ঘটনাও ঘটছে। গত ২ মার্চ দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে সাদ্দাম ও সাইফুল নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বন উজাড়ে প্রভাবশালী রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিরা মহেশখালীতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি মহল আছে, যারা আড়ালে থেকেই প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ করছে। অনেকেই আবার বিভিন্ন সমিতির নাম দিয়ে বনের জমি দখলে রাখছে। এ রকম দুটি সমিতির নাম ‘ঘটিভাঙ্গা পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’ এবং ‘ঘটিভাঙ্গা পশ্চিমপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’। এই সমিতি দুটির নামে অন্তত ৩০০ একর প্যারাবন উজাড় করে চিংড়িঘেরে পরিণত করা হয়েছে।
বন উজাড়ে যাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও আড়ালে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হলেন মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, মহসীন আনোয়ার চৌধুরী, কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য ছিদ্দিকী রিমন, সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুজ্জামান আনজু, বিএনপি নেতা আলী আকবর, সোনাদিয়ার ছাবের আহমদ, সোলতান আহমদ, জাফর আলম, মোনাফ, ফারুক প্রমুখ।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিমের বিরুদ্ধে আগেও প্যারাবন উজাড়ের অভিযোগে মামলা আছে। তবে বন উজাড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের তৈরিতে আমি জড়িত নই।’
কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমও নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের অধীনে থাকতে এভাবে বন উজাড় হয়নি। এখন কেন হচ্ছে, তা তদন্ত করা প্রয়োজন। বন উজাড়ে বাস্তবে কারা জড়িত, তা সবাই জানে।’
প্যারাবন দখলে নেতৃত্ব দেওয়াদের একজন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন। যোগাযোগ করা হলে তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটিভাঙ্গার মোহাম্মদ মালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ১০ বছরের জন্য জায়গা ইজারা নিয়েছেন।মালেকের কাছে জেলা প্রশাসনের ইজারার কাগজ আছে কি না—জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘১৯৯১ সালের আগে মালেক ইজারা পেয়েছিলেন।’
নির্বিকার বেজা, দায় নিচ্ছে না বন বিভাগ
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর সমুদ্র উপকূলে প্যারাবন সৃজন করেছিল উপকূলীয় বন বিভাগ। এসব প্যারাবন ও সোনাদিয়া দ্বীপের অনন্য সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে সরকার এখানে মালয়েশিয়ার আদলে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা এলাকায় বন বিভাগের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু জমি গ্রহণের সাত বছরেও বেজা কোনো স্থাপনা তৈরি করেনি, নেয়নি প্যারাবন রক্ষার কোনো উদ্যোগ। এদিকে বেজার হাতে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর বন বিভাগও সেদিকে আর নজর দিচ্ছে না। এই সুযোগটাই নিচ্ছে দখলদারেরা। এর মধ্যে তারা বনের কেওড়া, বাইন, নুইন্যা, হারগোজাসহ অন্তত ১০ প্রজাতির কয়েক লাখ গাছ ও লতাগুল্ম সাবাড় করে ফেলেছে।
জানতে চাইলে বন বিভাগের গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আয়ুব আলী বলেন, সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা মৌজায় ১৪ হাজার একরের মতো প্যারাবন আছে। সেখান থেকে সাড়ে ৯ হাজার একর বন বেজার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেদখল হওয়া বেশির ভাগ বনই বেজার। তিনি আরও বলেন, ‘বেজাকে দেওয়ার আগে এই বন আমাদের দু-তিনজন স্টাফ দিয়েই পাহারা দিয়ে রক্ষা করা হয়েছে। এখন বেজা কেন পারছে না, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।’
বেজার সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের দায়িত্বে আছেন সহকারী ব্যবস্থাপক হাবিব উল্লাহ। তিনি প্যারাবন উজাড়ের সত্যতা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যারাবন উজাড়ের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বন উজাড়ে কারা জড়িত, তার তথ্য সংগ্রহ চলছে। বন দেখভালের জন্য আমাদের ৫ জন স্টাফ আছে। এ মাসের মধ্যে বন রক্ষায় ১০-১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্যারাবন উজাড় ঠেকাতে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানের সময় দখলদারের লোকেরা পালিয়ে গেলেও পরে ঠিকই এসে একই কাজ করে তারা। জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা বলেন, ‘আমাদের সাধ্যমতো বন রক্ষায় চেষ্টা করছি। খবর পেলেই উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। প্যারাবন এতই দুর্গম যে সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে বেজাকে জানানো হয়েছে।’
উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরা
দু-তিন দিন আগে সরেজমিন প্যারাবন উজাড়ের দৃশ্য দেখে এসেছেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বিচারে প্যারাবন উজাড় অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি।’ কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন,‘সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গার সমৃদ্ধ প্যারাবন ও জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের জমি থেকে কোন শক্তির ইশারায় বন উজাড় হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। না হলে অচিরেই প্যারাবনশূন্য হয়ে যাবে কক্সবাজার উপকূল।

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন। দুই পাশে সবুজ বন, মাঝখানে বয়ে গেছে খুব সুন্দর নদী। দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের মতোই। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর সোনাদিয়ার এই সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার ওপর ভর করে ‘সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক’ গড়ার পরিকল্পনা নেয় সরকার। কিন্তু যে বনকে ঘিরে এত পরিকল্পনা, সেটিই এখন ধ্বংসের মুখে।
চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরির জন্য এরই মধ্যে প্রায় ৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে উজাড় করে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। বন উজাড়ে প্রকাশ্যে ও আড়ালে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম, বড় মহেশখালী ও পৌরসভা এলাকার ২৫-৩০ জন প্রভাবশালী।
গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে প্যারাবন ধ্বংসের ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়েছে। দুপুর ১২টার পর তিন-চারটি ট্রলারে করে শতাধিক নারী-পুরুষকে সংরক্ষিত বন এলাকা থেকে ঘটিভাঙ্গায় ফিরতে দেখা যায়। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ছিল দা, কুড়াল ও করাত। কথা বলে জানা যায়, নতুন ঘোনা (চিংড়িঘের) থেকেই ফিরছিলেন তাঁরা।
ওই শ্রমিকদের কয়েকজন জানান, প্যারাবন কেটে গত এক মাসে ২৫টি নতুন চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরি করেছেন তাঁরা। একেকটি ঘেরের আয়তন ১৫০ থেকে ৩০০ একর। শুধু এই শ্রমিকেরা নন, তাঁদের মতো আরও অনেকেই প্রতিদিন প্রভাবশালীদের হয়ে দলে দলে গিয়ে প্যারাবন কাটার কাজ করছেন। প্যারাবনে ৩০টির মতো এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকজন অভিযানে গেলে তার আগেই খবর পৌঁছে যায় বনে। তখন প্যারাবনের ভেতর এসব এক্সকাভেটর লুকিয়ে রাখা হয়।
সোনাদিয়ায় প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ তৈরির প্রতিযোগিতায় খুনখারাবির ঘটনাও ঘটছে। গত ২ মার্চ দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে সাদ্দাম ও সাইফুল নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বন উজাড়ে প্রভাবশালী রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিরা মহেশখালীতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি মহল আছে, যারা আড়ালে থেকেই প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের ও লবণের মাঠ করছে। অনেকেই আবার বিভিন্ন সমিতির নাম দিয়ে বনের জমি দখলে রাখছে। এ রকম দুটি সমিতির নাম ‘ঘটিভাঙ্গা পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’ এবং ‘ঘটিভাঙ্গা পশ্চিমপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’। এই সমিতি দুটির নামে অন্তত ৩০০ একর প্যারাবন উজাড় করে চিংড়িঘেরে পরিণত করা হয়েছে।
বন উজাড়ে যাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও আড়ালে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হলেন মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, মহসীন আনোয়ার চৌধুরী, কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য ছিদ্দিকী রিমন, সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুজ্জামান আনজু, বিএনপি নেতা আলী আকবর, সোনাদিয়ার ছাবের আহমদ, সোলতান আহমদ, জাফর আলম, মোনাফ, ফারুক প্রমুখ।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিমের বিরুদ্ধে আগেও প্যারাবন উজাড়ের অভিযোগে মামলা আছে। তবে বন উজাড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের তৈরিতে আমি জড়িত নই।’
কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমও নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের অধীনে থাকতে এভাবে বন উজাড় হয়নি। এখন কেন হচ্ছে, তা তদন্ত করা প্রয়োজন। বন উজাড়ে বাস্তবে কারা জড়িত, তা সবাই জানে।’
প্যারাবন দখলে নেতৃত্ব দেওয়াদের একজন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন। যোগাযোগ করা হলে তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটিভাঙ্গার মোহাম্মদ মালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ১০ বছরের জন্য জায়গা ইজারা নিয়েছেন।মালেকের কাছে জেলা প্রশাসনের ইজারার কাগজ আছে কি না—জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘১৯৯১ সালের আগে মালেক ইজারা পেয়েছিলেন।’
নির্বিকার বেজা, দায় নিচ্ছে না বন বিভাগ
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর সমুদ্র উপকূলে প্যারাবন সৃজন করেছিল উপকূলীয় বন বিভাগ। এসব প্যারাবন ও সোনাদিয়া দ্বীপের অনন্য সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে সরকার এখানে মালয়েশিয়ার আদলে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা এলাকায় বন বিভাগের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু জমি গ্রহণের সাত বছরেও বেজা কোনো স্থাপনা তৈরি করেনি, নেয়নি প্যারাবন রক্ষার কোনো উদ্যোগ। এদিকে বেজার হাতে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর বন বিভাগও সেদিকে আর নজর দিচ্ছে না। এই সুযোগটাই নিচ্ছে দখলদারেরা। এর মধ্যে তারা বনের কেওড়া, বাইন, নুইন্যা, হারগোজাসহ অন্তত ১০ প্রজাতির কয়েক লাখ গাছ ও লতাগুল্ম সাবাড় করে ফেলেছে।
জানতে চাইলে বন বিভাগের গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আয়ুব আলী বলেন, সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা মৌজায় ১৪ হাজার একরের মতো প্যারাবন আছে। সেখান থেকে সাড়ে ৯ হাজার একর বন বেজার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেদখল হওয়া বেশির ভাগ বনই বেজার। তিনি আরও বলেন, ‘বেজাকে দেওয়ার আগে এই বন আমাদের দু-তিনজন স্টাফ দিয়েই পাহারা দিয়ে রক্ষা করা হয়েছে। এখন বেজা কেন পারছে না, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।’
বেজার সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের দায়িত্বে আছেন সহকারী ব্যবস্থাপক হাবিব উল্লাহ। তিনি প্যারাবন উজাড়ের সত্যতা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যারাবন উজাড়ের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বন উজাড়ে কারা জড়িত, তার তথ্য সংগ্রহ চলছে। বন দেখভালের জন্য আমাদের ৫ জন স্টাফ আছে। এ মাসের মধ্যে বন রক্ষায় ১০-১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্যারাবন উজাড় ঠেকাতে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানের সময় দখলদারের লোকেরা পালিয়ে গেলেও পরে ঠিকই এসে একই কাজ করে তারা। জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা বলেন, ‘আমাদের সাধ্যমতো বন রক্ষায় চেষ্টা করছি। খবর পেলেই উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। প্যারাবন এতই দুর্গম যে সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে বেজাকে জানানো হয়েছে।’
উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরা
দু-তিন দিন আগে সরেজমিন প্যারাবন উজাড়ের দৃশ্য দেখে এসেছেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বিচারে প্যারাবন উজাড় অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি।’ কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন,‘সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গার সমৃদ্ধ প্যারাবন ও জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের জমি থেকে কোন শক্তির ইশারায় বন উজাড় হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। না হলে অচিরেই প্যারাবনশূন্য হয়ে যাবে কক্সবাজার উপকূল।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন।
০৬ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন।
০৬ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন।
০৬ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

মহেশখালী পৌরসভা থেকে পাকা সড়ক ধরে কুতুবজোম ইউনিয়নের দিকে ৮ কিলোমিটার গেলেই ঘটিভাঙ্গা খেয়াঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সোনাদিয়া দ্বীপের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে নয়নাভিরাম প্যারাবন।
০৬ মে ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে