Ajker Patrika

৭০০০-এ শুরু পসরায় এখন মাসে বিক্রি লাখ টাকা

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪১
৭০০০-এ শুরু পসরায় এখন মাসে বিক্রি লাখ টাকা

নুসরাত জাহানের শৈশবের বেড়ে ওঠা ঠাকুরগাঁওয়ের ছোট শহরে। পরিবারের ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট ও ভীষণ আদরের। ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল। নিজের মতো করে থাকতে পছন্দ করতেন। নিজে নিজেই তৈরি করতেন নানা রকমের জিনিস। সেসবের মধ্যে ছিল বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ করা সেলাই, ওয়ালমেট ও উলের তৈরি জিনিস। পাশাপাশি ছবি আঁকতেও পছন্দ করতেন তিনি। এই পছন্দের ক্ষেত্র নিয়েই মাত্র ৭০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘পসরা’, যা থেকে এখন মাসে লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করছেন নুসরাত। 

ছোটবেলা থেকে সৃজনশীল নানা দিকে আগ্রহ থাকলেও সেই চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করবেন—এমনটা কখনো ভাবেননি নুসরাত। আট বছরের টানা চাকরিতে নিজেকে যখন এলোমেলো মনে হলো, তখন ২০২০ সালে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘পসরা’-এর যাত্রা। পুঁজি ছিল মাত্র ৭ হাজার টাকা। 

 ‘পসরা’-এর কর্ণধার নুসরাত জাহান চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন একটা অস্থির সময়ে, যখন দেশে চলছে করোনা মহামারি। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি তখন বেশ এলোমেলো। সে সময় সম্পর্কে নুসরাত বলেন, ‘বলতে গেলে চাকরি জীবনে আমি কখনোই আত্মতুষ্টি পাইনি। সংসার, তিন মাসের সন্তান, চাকরি—সবকিছু মিলে আমার সংসার জীবনের অবস্থা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। জীবনের এই কঠিন সময়েই শুরু করলাম উদ্যোক্তাজীবন। উদ্যোক্তা হিসেবে দেড় বছরের জীবনে আমি পেয়েছি অনেক কিছু। নিজের মতো করে টুকটুক করে সংসারের পাশাপাশি পসরাকে এগিয়ে নিয়েছি। এ সময় খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি।’ 

অল্প পুঁজি হাতে নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিলেন নুসরাত। বললেন, ‘আমি পসরা-এর কাজ শুরু করেছিলাম ৭০০০ টাকা দিয়ে। এ টাকা দিয়েছিলেন বড় আপু। টাকাটা দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, “টাকাটা এমনভাবে কাজে লাগাবি যেন এটা তোর সম্পদে রূপান্তরিত হয়। ” আপু আসলে আমার বিপদের কথা ভেবেই এ কথা বলেছিলেন। আমি এই ৭ হাজার টাকা দিয়ে মিরপুরের শাড়ির দোকান থেকে শাড়ি কিনে আমার স্কুলের সহকর্মী ও পরিচিতজনের কাছে বিক্রি করি। বলে রাখা ভালো—আমি গামছা-শাড়ি দিয়ে পসরা-এর কাজ শুরু করেছিলাম।’ 

নিজের নকশা করা শাড়ি পরিহিত নুসরাত জাহানএখন অবশ্য নুসরাতের পসরা থেকে অনেক ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। নানা রকম পণ্যের সমাহার করবেন বলেই নাকি তিনি এ নাম বেছে নিয়েছিলেন। উদ্যোগের নাম বাছাইয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পেজের নাম পসরা, যার অর্থ বিভিন্ন রকমের মনোহারী জিনিস। এক-দুটি পণ্যের মধ্যে যেন পসরা আটকে না যায়, সে জন্যই এ নাম বেছে নেওয়া। কেবল পোশাক বা কেবল সাজসজ্জার পণ্য নয়। আমার মন যখন যা চাইবে, তা-ই যেন সব সময় তৈরি করতে পারি।’ 

নুসরাত এখন সেভাবেই কাজ করছেন। প্রায় সব ধরনের শাড়ি নিয়ে কাজ করেন তিনি। তিনি শাড়িতে নিজেই ডিজাইন করেন। জামদানি, মণিপুরী, কাতান, তাঁতের শাড়ি, বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না নিজের হাতে তৈরি করেন। আবার শাড়ি, গয়নার পাশাপাশি সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি ও ব্লাউজ নিয়েও কাজ করেন তিনি। 

পড়াশোনা শেষে আর দশজনের মতো চাকরিতে ঢুকেছিলেন। চাকরি বলতে শিক্ষকতা। এ পেশার জন্যও যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল তাঁর। নুসরাতের পড়ালেখার শুরু ঠাকুরগাঁওয়ে। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরিবার থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়ার উৎসাহ পান। ভর্তি হন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে। সেখান থেকেই বাংলা সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। এ ছাড়া চাকরির জন্য কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষা পাস করেন। পরে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড পাস করেন। 

নুসরাত এসেছেনও চাকরিজীবী পরিবার থেকে। শুধু তাই নয়, ব্যবসার প্রতি এক ধরনের বিরাগ ছিল তাঁর পরিবারে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার বরাবরই চাকরিজীবী। ব্যবসা করার বিষয়টাকে পরিবার কখনোই পছন্দ করত না। তাই আমি নিজে সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মানুষ হলেও নতুন কিছু করব—এটা কখনোই ভাবিনি। যদিও ছাত্রজীবন থেকেই শাড়ি ও পোশাকে হাতের কাজ করেছি। একপর্যায়ে আমার আট বছরের চাকরিজীবনে আমি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লাম। সময়টাকে তখন খুব অস্থির মনে হলো। এই কঠিন সময়ে আমার স্বামী আমাকে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে বলে। তাই শান্তি ও স্থিরতা খুঁজে পেতে স্বামীর কথায় রাজি হয়ে সাহস করে নিজেকে গুছিয়ে জবকে টাটা-বাই দিলাম। শুরু হলো আমার পেজ পসরা-এর যাত্রা। অনেকের কাছ থেকে শুনেছি, (এ ধরনের উদ্যোগ থেকে) পরিচিতরা নাকি কিছু কিনতে চায় না। আমার ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি উল্টো ঘটেছে। পসরা থেকে আমার আশপাশের পরিচিতজনেরা প্রতি মুহূর্তে পণ্য কিনছেন।’ 

আর কিনছেন বলেই খুব অল্প সময়ে পসরা একটা জায়গা করে নিতে পেরেছে। সেভাবে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ না দিলেও নুসরাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ, যাদের উপার্জনও এখন পসরা-এর ভালোমন্দে সঙ্গে জড়িয়ে। প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, পসরা থেকে প্রতি মাসে ৮৫ হাজার থেকে এক-দেড় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়। তবে বিভিন্ন উৎসবে আয় আরও বেশি হয়। এখানে ব্লকের কাজের জন্য দুজন, টেইলারিংয়ের জন্য একজন, হাতের কাজের জন্য একজন, আর কেনাকাটার জন্য একজন রয়েছেন। এদের সঙ্গে পসরা চুক্তিবদ্ধ না হলেও তাঁদের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। 

পসরার শাড়িগুলো নুসরাত নিজেই ডিজাইন করেনএই এতটা পথ আসতে নুসরাতকে অন্য সব নারীর মতোই একটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এ যাত্রায় অবশ্য তিনি সঙ্গে পেয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গী ও ভাইবোনদের। ব্যবসা শুরুর বিষয়ে মা-বাবাকে রাজি করানোটা একটু কঠিন ছিল। এর কারণও রয়েছে। বললেন, ‘পরিবারের সবাই চাকরিজীবী এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে বেশি জড়িত। বাবা ছিলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। মা সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার। মা সংস্কৃতিমনা বলে ছোটবেলা থেকেই কবিতা, গানসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আর বাবার কাছে থেকে পেয়েছি প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস। ফলে ব্যবসা নিয়ে পরিবার থেকে সেভাবে উৎসাহ পাওয়াটা কঠিন ছিল।’ 

তবে ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এবং বাবার গড়ে দেওয়া বই পড়ার অভ্যাস তাঁকে সুফল দিয়েছে। এমন অভ্যাসের কারণেই ভেতর থেকে দৃঢ়চেতা হয়ে বেড়ে উঠেছেন নুসরাত। আর উদ্যোগ গ্রহণ ও তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জীবনসঙ্গী বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নুসরাত বলেন, ‘এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা আসলে অনেক পিছিয়ে। প্রায় সময় শুনতে হয়, “তুমিতো এটা করতে পার না। তোমাকে দিয়ে একাজ সম্ভব না। ” আমি আমার মাকে দেখেছি, এ বিষয়ে হার স্বীকার করেননি। তাই আমিও কখনো হারতে শিখিনি। জীবনের প্রতিটি বাস্তবতায় নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করেছি। আমার জীবনসঙ্গী কখনোই আমাকে ছোট করে দেখেননি। বরং উৎসাহ দিয়েছেন, বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন। ভাইবোনদের মধ্যে আমি সবার ছোট ও ভীষণ আদরের। যখন ওরা দেখে—আমি পরিশ্রম করছি, লড়াই করছি, তখন ওরা কষ্ট পায়। আর এ লড়াইয়ে জিতে গেলে, আমাকে সফল হতে দেখলে তারা ভীষণ আনন্দিত হয়।’ 

নারী হিসেবে অনলাইন ব্যবসা করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নুসরাতকে। প্রথম প্রথম বেশ মুষড়ে পড়তেন। এখন দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়গুলো মোকাবিলা করেন। নুসরাতে ভাষ্য—‘আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় সত্যি কথা বলতে গেলে সবদিক দিয়েই বাধাগ্রস্ত হয় নারীরা। তাই বলে তো হতাশ হয়ে থেমে থাকা যাবে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, পেজের মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপে। প্রথমদিকে মন ভেঙে যেত। ভাবতাম এসব কারা করে? মাঝরাতে কারা ফোন দেয়? শাড়ি দেখতে চেয়ে লাইভে অন্য প্রান্ত থেকে বীভৎস কিছু দেখায়; অশ্লীল ছবি পাঠায়। এ ছাড়া শো-রুমে যেহেতু একা থাকি, তার সামনে বহু মানুষ এসে উল্টো-পাল্টা কথা বলে।’ 

এত সবকিছুর পরও নুসরাত হতাশ নন। নিজের চেষ্টায়, দৃঢ়তার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে চান। স্বপ্ন ‘পসরা’-কে অনেক দূর নিয়ে যাবেন। যারা সমালোচনা করে, যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, নিজের সাফল্য দিয়েই তাদের জবাব দিতে চান নুসরাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত