
এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে সব ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এক যুগ আগে চালু হওয়া মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ হয়ে উঠেছে এসব সেবা গ্রহণের প্রধান মাধ্যম। ফলে ছোট আর্থিক লেনদেন ও সেবা নিতে ভোগান্তি এখন ইতিহাস। আর্থিক সেবা চলে এসেছে সব শ্রেণির মানুষের হাতের মুঠোয়, যা জীবন সহজ করেছে। ডিজিটাল লেনদেনে নির্ভরতা বেড়েছে সব শ্রেণির মানুষের।
বিকাশ এখন শুধু টাকা স্থানান্তর বা বিল পরিশোধের মাধ্যম না। কেনাকাটা, সঞ্চয়, বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোসহ আরও অসংখ্য সেবা যুক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবার মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিকাশ। আর্থিক লেনদেনে জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আয়োজনে বা প্রয়োজনে বিকাশ এখন প্রতিটি পরিবারের সদস্য। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান একই ধরনের সেবা চালু করলেও মোবাইলে আর্থিক সেবা মানেই ‘বিকাশ করা’ এখন সুপরিচিত।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মোবাইল আর্থিক সেবা সহজলভ্য করতে এক যুগ ধরে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট নিয়ে বিকাশ তৈরি করেছে সবচেয়ে শক্তিশালী এজেন্ট নেটওয়ার্ক। এমএফএস সেবা দিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই এজেন্টরা তাঁদের এলাকার নির্ভরযোগ্য মানুষ হয়ে উঠেছেন। ‘হিউম্যান এটিএম’ খ্যাত এজেন্টরা কেবল গ্রাহকদের নন, এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের উন্নয়নেও সফল হয়েছেন। প্রশিক্ষিত বিকাশ এজেন্টদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবাও পৌঁছেছে। দেশের সাত কোটি গ্রাহকের প্রতিদিনের ডিজিটাল লেনদেন সঙ্গী হয়ে ওঠার পেছনে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, সব ধরনের ফোনে বিকাশ সেবা পাওয়া, সেবার মান, ধারাবাহিক বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবন।
বিকাশের এক যুগের এই পথচলা নিয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘১২ বছরের পথচলায় সাত কোটি ভেরিফাইড কাস্টমারের যে বিশাল পরিবার সৃষ্টি হয়েছে, এরাই নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে বিকাশের ওপরে তাদের আস্থা রেখে সেবাটি ব্যবহার করছেন। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা ও সরকারের দিকনির্দেশনা, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজটা সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একটা যথার্থ সহযোগী হিসেবে বিকাশ কাজটা করতে পেরে পুরো দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করি এই সাফল্য আজকে শুধু বিকাশের না—এটা পুরো বাংলাদেশের, প্রতিটি বাংলাদেশি এই অর্জনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।’
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন ২০১৪ সাল থেকে বিকাশের সেবা ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, ‘আগে ছেলেকে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংকে বা ডাক অফিসে গিয়ে লাইন দিতে হতো। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিল দিতেও আলাদা আলাদা লাইন দেওয়া লাগত। মাসে একাধিকবার মোবাইল রিচার্জ করতে এজেন্টের কাছে যেতে হতো। এ জন্য স্কুল থেকে অনেক সময় ছুটিও নিতে হতো। সেই দিন আর নেই। অ্যাপ দিয়েই ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে আসি। ঘরে বসেই সব বিল দিয়ে দিই। বিকাশ দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর মোবাইল রিচার্জ করি। মাঝে মাঝে নাতি-নাতনিদের জন্য বিকাশেই টাকা পাঠাই। শেষ বয়সে এসে জীবনটা সহজ করে দিয়েছে বিকাশ।’
বিকাশের গ্রাহকদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি নারী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ‘বিকাশ এখন আমার দৈনন্দিন সব লেনদেন এত সহজ করে দিয়েছে যে আমার সময় বাঁচিয়ে নিজের মতো করে অন্য কাজেও লাগাতে পারি। বিকাশ ছাড়া এসব সেবা নিতে সময় নষ্ট হতো অনেক।’
এদিকে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নোবেল বলেন, ‘আমার দৈনন্দিন প্রায় সব লেনদেনই বিকাশে হয়, বিকাশই আমার কাছে ক্যাশ টাকা।’
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত এমএফএস হিসেবে বিকাশ যাত্রা শুরু করে। এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। নিরাপদে ও কম সময়ে নতুন নতুন ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে এক যুগে মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা এবং সীমিত ব্যাংকিং সুবিধায় থাকা জনগোষ্ঠীকে গত এক যুগে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নিয়ে এসেছে বিকাশ। প্রত্যন্ত গ্রাম হোক বা ছোট গ্রাম্য বাজার কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র; বিকাশের মাধ্যমেই মূলধারার অর্থনৈতিক সেবায় যুক্ত হয়েছেন গ্রাহকেরা। বিকাশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে ৪৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ফলে বিকাশ থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক থেকে বিকাশ লেনদেন এখন গ্রাহকের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা আমূল বদলে দিয়েছে। একসময় দোকানে গিয়ে মোবাইল রিচার্জ করাই ছিল একমাত্র মাধ্যম। এক যুগের ব্যবধানে এখন বাংলাদেশে সব ধরনের মোবাইল রিচার্জে বিকাশ হয়ে উঠেছে মানুষের প্রথম পছন্দের মাধ্যম।
ছোট অঙ্কের বিল তবে পরিশোধে বড় ভোগান্তি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ সব ধরনের বিল পরিশোধ সাধারণের জন্য একদম সহজ করেছে বিকাশ। পাশাপাশি সব সরকারি সেবার ফি দেওয়াও চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা ভাতা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় খামারিদের প্রণোদনা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ভাতা এবং সেই সঙ্গে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের বেতনসহ সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি উপকারভোগীর কাছে ভাতা ও প্রণোদনা পৌঁছে দিয়েছে বিকাশ। সরকারের বেতন-ভাতা ও সহায়তা বিতরণের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ।
বিকাশ এখন শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ না, বিদেশে বসেও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে হিসাব খোলা যাচ্ছে। রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯০টির বেশি দেশ থেকে ৮০টির বেশি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান হয়ে দেশের ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এই রেমিট্যান্স। ২০২২ সালে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসে বিকাশে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসেই এই রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছাড়িয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা।
বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয়ী হিসাব খুলেছেন আফসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে বাসার খরচের টাকা থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে আগে জমা করতাম। এখন বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা করছি। ফলে তিন বছর পর মুনাফাসহ ভালো পরিমাণ টাকা পাব। তখন ছেলের শিক্ষার পেছনে তা খরচ করা যাবে। এটা হবে পরিবারে আমার প্রথম আর্থিক সহায়তা। আমি সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি।’
আফসানার মতো ১১ লাখ গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে মাসিক সঞ্চয় সেবা নিয়েছেন। ক্ষুদ্র সঞ্চয় করার সব ভোগান্তি দূর হয়েছে এই সেবার মাধ্যমে।
শুধু সঞ্চয় নয়, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষুদ্রঋণও মিলছে। এ জন্য সিটি ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে ২০২১ সালে দেশের প্রথম ডিজিটাল ন্যানো লোন চালু করে। এখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলছে। এখন পর্যন্ত গ্রাহকেরা ২৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, এর মধ্যে ২৩০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কাকে কখন টাকা পাঠাতে কোথায় যেতে হবে, কেনাকাটার পেমেন্ট কীভাবে হবে, ট্রেনের টিকিট কাটতে স্টেশনে যেতে হবে, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে যেতে হবে, ঘরের বিল পরিশোধ করতে হবে, মাসিক সঞ্চয়ের কিস্তি জমা দিতে হবে—এসব কোনো লেনদেন নিয়েই এখন আর ভাবতে হয় না। বিপদেও বিকাশেই থাকে ভরসা। বিকাশ যুগে এসে ডিজিটাল লেনদেন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় ভরসার প্রতীক।’

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে সব ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এক যুগ আগে চালু হওয়া মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ হয়ে উঠেছে এসব সেবা গ্রহণের প্রধান মাধ্যম। ফলে ছোট আর্থিক লেনদেন ও সেবা নিতে ভোগান্তি এখন ইতিহাস। আর্থিক সেবা চলে এসেছে সব শ্রেণির মানুষের হাতের মুঠোয়, যা জীবন সহজ করেছে। ডিজিটাল লেনদেনে নির্ভরতা বেড়েছে সব শ্রেণির মানুষের।
বিকাশ এখন শুধু টাকা স্থানান্তর বা বিল পরিশোধের মাধ্যম না। কেনাকাটা, সঞ্চয়, বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোসহ আরও অসংখ্য সেবা যুক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবার মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিকাশ। আর্থিক লেনদেনে জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আয়োজনে বা প্রয়োজনে বিকাশ এখন প্রতিটি পরিবারের সদস্য। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান একই ধরনের সেবা চালু করলেও মোবাইলে আর্থিক সেবা মানেই ‘বিকাশ করা’ এখন সুপরিচিত।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মোবাইল আর্থিক সেবা সহজলভ্য করতে এক যুগ ধরে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট নিয়ে বিকাশ তৈরি করেছে সবচেয়ে শক্তিশালী এজেন্ট নেটওয়ার্ক। এমএফএস সেবা দিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই এজেন্টরা তাঁদের এলাকার নির্ভরযোগ্য মানুষ হয়ে উঠেছেন। ‘হিউম্যান এটিএম’ খ্যাত এজেন্টরা কেবল গ্রাহকদের নন, এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের উন্নয়নেও সফল হয়েছেন। প্রশিক্ষিত বিকাশ এজেন্টদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবাও পৌঁছেছে। দেশের সাত কোটি গ্রাহকের প্রতিদিনের ডিজিটাল লেনদেন সঙ্গী হয়ে ওঠার পেছনে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, সব ধরনের ফোনে বিকাশ সেবা পাওয়া, সেবার মান, ধারাবাহিক বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবন।
বিকাশের এক যুগের এই পথচলা নিয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘১২ বছরের পথচলায় সাত কোটি ভেরিফাইড কাস্টমারের যে বিশাল পরিবার সৃষ্টি হয়েছে, এরাই নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে বিকাশের ওপরে তাদের আস্থা রেখে সেবাটি ব্যবহার করছেন। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা ও সরকারের দিকনির্দেশনা, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজটা সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একটা যথার্থ সহযোগী হিসেবে বিকাশ কাজটা করতে পেরে পুরো দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করি এই সাফল্য আজকে শুধু বিকাশের না—এটা পুরো বাংলাদেশের, প্রতিটি বাংলাদেশি এই অর্জনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।’
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন ২০১৪ সাল থেকে বিকাশের সেবা ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, ‘আগে ছেলেকে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংকে বা ডাক অফিসে গিয়ে লাইন দিতে হতো। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিল দিতেও আলাদা আলাদা লাইন দেওয়া লাগত। মাসে একাধিকবার মোবাইল রিচার্জ করতে এজেন্টের কাছে যেতে হতো। এ জন্য স্কুল থেকে অনেক সময় ছুটিও নিতে হতো। সেই দিন আর নেই। অ্যাপ দিয়েই ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে আসি। ঘরে বসেই সব বিল দিয়ে দিই। বিকাশ দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর মোবাইল রিচার্জ করি। মাঝে মাঝে নাতি-নাতনিদের জন্য বিকাশেই টাকা পাঠাই। শেষ বয়সে এসে জীবনটা সহজ করে দিয়েছে বিকাশ।’
বিকাশের গ্রাহকদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি নারী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ‘বিকাশ এখন আমার দৈনন্দিন সব লেনদেন এত সহজ করে দিয়েছে যে আমার সময় বাঁচিয়ে নিজের মতো করে অন্য কাজেও লাগাতে পারি। বিকাশ ছাড়া এসব সেবা নিতে সময় নষ্ট হতো অনেক।’
এদিকে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নোবেল বলেন, ‘আমার দৈনন্দিন প্রায় সব লেনদেনই বিকাশে হয়, বিকাশই আমার কাছে ক্যাশ টাকা।’
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত এমএফএস হিসেবে বিকাশ যাত্রা শুরু করে। এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। নিরাপদে ও কম সময়ে নতুন নতুন ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে এক যুগে মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা এবং সীমিত ব্যাংকিং সুবিধায় থাকা জনগোষ্ঠীকে গত এক যুগে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নিয়ে এসেছে বিকাশ। প্রত্যন্ত গ্রাম হোক বা ছোট গ্রাম্য বাজার কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র; বিকাশের মাধ্যমেই মূলধারার অর্থনৈতিক সেবায় যুক্ত হয়েছেন গ্রাহকেরা। বিকাশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে ৪৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ফলে বিকাশ থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক থেকে বিকাশ লেনদেন এখন গ্রাহকের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা আমূল বদলে দিয়েছে। একসময় দোকানে গিয়ে মোবাইল রিচার্জ করাই ছিল একমাত্র মাধ্যম। এক যুগের ব্যবধানে এখন বাংলাদেশে সব ধরনের মোবাইল রিচার্জে বিকাশ হয়ে উঠেছে মানুষের প্রথম পছন্দের মাধ্যম।
ছোট অঙ্কের বিল তবে পরিশোধে বড় ভোগান্তি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ সব ধরনের বিল পরিশোধ সাধারণের জন্য একদম সহজ করেছে বিকাশ। পাশাপাশি সব সরকারি সেবার ফি দেওয়াও চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা ভাতা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় খামারিদের প্রণোদনা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ভাতা এবং সেই সঙ্গে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের বেতনসহ সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি উপকারভোগীর কাছে ভাতা ও প্রণোদনা পৌঁছে দিয়েছে বিকাশ। সরকারের বেতন-ভাতা ও সহায়তা বিতরণের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ।
বিকাশ এখন শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ না, বিদেশে বসেও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে হিসাব খোলা যাচ্ছে। রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯০টির বেশি দেশ থেকে ৮০টির বেশি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান হয়ে দেশের ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এই রেমিট্যান্স। ২০২২ সালে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসে বিকাশে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসেই এই রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছাড়িয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা।
বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয়ী হিসাব খুলেছেন আফসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে বাসার খরচের টাকা থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে আগে জমা করতাম। এখন বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা করছি। ফলে তিন বছর পর মুনাফাসহ ভালো পরিমাণ টাকা পাব। তখন ছেলের শিক্ষার পেছনে তা খরচ করা যাবে। এটা হবে পরিবারে আমার প্রথম আর্থিক সহায়তা। আমি সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি।’
আফসানার মতো ১১ লাখ গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে মাসিক সঞ্চয় সেবা নিয়েছেন। ক্ষুদ্র সঞ্চয় করার সব ভোগান্তি দূর হয়েছে এই সেবার মাধ্যমে।
শুধু সঞ্চয় নয়, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষুদ্রঋণও মিলছে। এ জন্য সিটি ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে ২০২১ সালে দেশের প্রথম ডিজিটাল ন্যানো লোন চালু করে। এখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলছে। এখন পর্যন্ত গ্রাহকেরা ২৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, এর মধ্যে ২৩০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কাকে কখন টাকা পাঠাতে কোথায় যেতে হবে, কেনাকাটার পেমেন্ট কীভাবে হবে, ট্রেনের টিকিট কাটতে স্টেশনে যেতে হবে, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে যেতে হবে, ঘরের বিল পরিশোধ করতে হবে, মাসিক সঞ্চয়ের কিস্তি জমা দিতে হবে—এসব কোনো লেনদেন নিয়েই এখন আর ভাবতে হয় না। বিপদেও বিকাশেই থাকে ভরসা। বিকাশ যুগে এসে ডিজিটাল লেনদেন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় ভরসার প্রতীক।’

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে
২১ জুলাই ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে
২১ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে
২১ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে
২১ জুলাই ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে