
গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৭ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৭ ঘণ্টা আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১ ঘণ্টা আগে