রেজাউর রহিম, ঢাকা

পোশাক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের দখলে আছে ৩ হাজার কোটি ডলারের কম। করোনা পরিস্থিতিতে এই রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। আগে চীনের পরই একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান থাকলেও এখন সে অবস্থান ভিয়েতনামের দখলে। এ অবস্থায় পোশাক রপ্তানিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হলে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সব দেশেরই অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিস্থিতি সামলাতে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও গত বছর নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ। করোনায় সবাই যখন পোশাক রপ্তানি নিয়ে ধুঁকেছে, তখন ভিয়েতনাম পোশাক পণ্যের বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়িয়েছে। পণ্য, আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য থাকার কারণেই দেশটি এই খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে আয় এখনো কিছু দেশ ও অঞ্চলে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ৬০ শতাংশই হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে, যেখানে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোটা সুবিধা দিত। পরে তা বাতিল হলে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) দিত। কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ। এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো ফল আসেনি।
দেশের মোট রপ্তানির বড় অংশই তৈরি পোশাক পণ্য। দীর্ঘদিন এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখলেও গত বছর এক ধাপ নেমে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে ভিয়েতনাম। এই অবনমনের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই বাজারের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কথা। একই সঙ্গে একক দেশ হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা কম থাকাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। মোট বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির প্রায় ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল চীনের। ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে শীর্ষ অবস্থানের সঙ্গে তফাৎটি বেশ স্পষ্ট। এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষে এই কয়েক দিন আগেই ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেল আশ্বস্তও করেন। কিন্তু সংশয় কাটেনি।
বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে এভরিথিং বাট নট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়ন করছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও শঙ্কা রয়েছে। এখনো এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্বের আটটি দেশ এরই মধ্যে এই সুবিধা পাচ্ছে, যার মধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও রয়েছে।
জিএসপি প্লাস পেতে কী চাই
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। উদাহরণ হিসেবে সুতার কথা বলা যায়। শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দ্বারা তৈরি হতে হবে। নিট পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই শর্ত পূরণ করলেও ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৫০ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশ আসছে আমদানি উৎস থেকে।
জিএসপি প্লাসের শর্ত অনুযায়ী, একটি দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশই আসছে জিএসপির আওতায় পণ্য রপ্তানি থেকে। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সূচকে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাসের জন্য আরেকটি শর্তে বলা হচ্ছে, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। ফলে এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
রয়েছে আরও সংকট
এ তো গেল জিএসপি প্লাসের শর্ত ও এর বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়টি। সঙ্গে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি করা পোশাকের ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য। ফলে অঞ্চলটিতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা না থাকলে তা রপ্তানি বাণিজ্য এবং প্রতিযোগী সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিকল্প প্রয়োজন
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় থাকতে হলে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আর এ ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে আমদানি উৎসের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দিচ্ছেন খাতটির নেতারা।
এ বিষয়ে ইএবি সভাপতি ও সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বাজার সম্প্রসারণে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে সক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের চীন, ভিয়েতনামের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসগুলোকে নতুন বাজার সৃষ্টির কাজে লাগাতে হবে।’
তবে আমদানি উৎসের বিকল্প খোঁজার পাশাপাশি দেশেই তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য দরকারি কাঁচামাল উৎপাদনের ওপর জোর দিলেন বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই আমদানিনির্ভর। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়টির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই কাঁচামাল আমদানির ব্যয় মেটাতে চলে যায়। এতে অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।’
দেশেই কাঁচামাল তৈরির বিষয়টি আবার জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে। যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের কথা এতে রয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামালের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আছে। ফলে এ ক্ষেত্রে মনোযোগ দিলে সাত বছর পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাও অনেকটা কেটে যাবে।
একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নতারা। পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে নীতি সহায়তার পাশাপাশি জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত তাঁদের।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তবে কোন দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে? শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে ‘অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসি’ চালাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সাবেক রাষ্ট্রদূত, যারা বাংলাদেশে ছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতের অবস্থান তুলে ধরাও জরুরি। পাশাপাশি জিএসপি প্লাসের নতুন নীতিমালায় যাতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই কূটনৈতিকভাবে ইইউর সঙ্গে দেন-দরবার জোরালো করতে হবে। একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারে স্থায়ীভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে যেতে হবে।

পোশাক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের দখলে আছে ৩ হাজার কোটি ডলারের কম। করোনা পরিস্থিতিতে এই রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। আগে চীনের পরই একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান থাকলেও এখন সে অবস্থান ভিয়েতনামের দখলে। এ অবস্থায় পোশাক রপ্তানিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হলে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সব দেশেরই অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিস্থিতি সামলাতে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও গত বছর নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ। করোনায় সবাই যখন পোশাক রপ্তানি নিয়ে ধুঁকেছে, তখন ভিয়েতনাম পোশাক পণ্যের বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়িয়েছে। পণ্য, আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য থাকার কারণেই দেশটি এই খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে আয় এখনো কিছু দেশ ও অঞ্চলে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ৬০ শতাংশই হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে, যেখানে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোটা সুবিধা দিত। পরে তা বাতিল হলে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) দিত। কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ। এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো ফল আসেনি।
দেশের মোট রপ্তানির বড় অংশই তৈরি পোশাক পণ্য। দীর্ঘদিন এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখলেও গত বছর এক ধাপ নেমে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে ভিয়েতনাম। এই অবনমনের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই বাজারের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কথা। একই সঙ্গে একক দেশ হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা কম থাকাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। মোট বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির প্রায় ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল চীনের। ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে শীর্ষ অবস্থানের সঙ্গে তফাৎটি বেশ স্পষ্ট। এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষে এই কয়েক দিন আগেই ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেল আশ্বস্তও করেন। কিন্তু সংশয় কাটেনি।
বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে এভরিথিং বাট নট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়ন করছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও শঙ্কা রয়েছে। এখনো এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্বের আটটি দেশ এরই মধ্যে এই সুবিধা পাচ্ছে, যার মধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও রয়েছে।
জিএসপি প্লাস পেতে কী চাই
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। উদাহরণ হিসেবে সুতার কথা বলা যায়। শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দ্বারা তৈরি হতে হবে। নিট পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই শর্ত পূরণ করলেও ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৫০ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশ আসছে আমদানি উৎস থেকে।
জিএসপি প্লাসের শর্ত অনুযায়ী, একটি দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশই আসছে জিএসপির আওতায় পণ্য রপ্তানি থেকে। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সূচকে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাসের জন্য আরেকটি শর্তে বলা হচ্ছে, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। ফলে এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
রয়েছে আরও সংকট
এ তো গেল জিএসপি প্লাসের শর্ত ও এর বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়টি। সঙ্গে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি করা পোশাকের ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য। ফলে অঞ্চলটিতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা না থাকলে তা রপ্তানি বাণিজ্য এবং প্রতিযোগী সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিকল্প প্রয়োজন
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় থাকতে হলে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আর এ ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে আমদানি উৎসের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দিচ্ছেন খাতটির নেতারা।
এ বিষয়ে ইএবি সভাপতি ও সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বাজার সম্প্রসারণে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে সক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের চীন, ভিয়েতনামের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসগুলোকে নতুন বাজার সৃষ্টির কাজে লাগাতে হবে।’
তবে আমদানি উৎসের বিকল্প খোঁজার পাশাপাশি দেশেই তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য দরকারি কাঁচামাল উৎপাদনের ওপর জোর দিলেন বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই আমদানিনির্ভর। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়টির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই কাঁচামাল আমদানির ব্যয় মেটাতে চলে যায়। এতে অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।’
দেশেই কাঁচামাল তৈরির বিষয়টি আবার জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে। যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের কথা এতে রয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামালের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আছে। ফলে এ ক্ষেত্রে মনোযোগ দিলে সাত বছর পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাও অনেকটা কেটে যাবে।
একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নতারা। পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে নীতি সহায়তার পাশাপাশি জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত তাঁদের।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তবে কোন দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে? শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে ‘অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসি’ চালাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সাবেক রাষ্ট্রদূত, যারা বাংলাদেশে ছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতের অবস্থান তুলে ধরাও জরুরি। পাশাপাশি জিএসপি প্লাসের নতুন নীতিমালায় যাতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই কূটনৈতিকভাবে ইইউর সঙ্গে দেন-দরবার জোরালো করতে হবে। একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারে স্থায়ীভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে যেতে হবে।

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৩ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৩ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৩ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৩ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১৫ ঘণ্টা আগে