Ajker Patrika

জলবিদ্যুৎ দিয়ে বিটকয়েন সংগ্রহের প্রকল্পে ভুটান

আপডেট : ০৫ মে ২০২৩, ১১: ১৩
জলবিদ্যুৎ দিয়ে বিটকয়েন সংগ্রহের প্রকল্পে ভুটান

কয়েক বছর ধরে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ঠিক কতটা বিনিয়োগ করেছে, তা নিয়ে ধোয়াঁশা থাকলেও প্রকল্প নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আগাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ পেয়েছে।

সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ভুটানিজকে ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম যখন ৫ হাজার ডলার ছিল, তখন সংগ্রহ শুরু করেছিল সরকার। ঠিক কবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই সূত্রের তথ্য ঠিক হলে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়, কারণ ওই বছর বিটকয়েনের এই দাম ছিল।

বিটকয়েন মাইনিং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রাটির বিনিময়কে যাচাই করে এমন মারাত্মক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। এই ধাঁধার যিনি সমাধান করেন, তাঁকে মাইনার বলা হয়। মাইনারদের মধ্যে যিনি সবার আগে সমাধান করবেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন ও ফি দেওয়া হবে।

বিটকয়েন মাইনিংয়ের এই প্রকল্পে সাবেক চীনা কোটিপতি উ জিহান প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম মাইনিং কোম্পানি বিটডিয়ারের সঙ্গেও কাজ করছে ভুটান। এ বছর এপ্রিলের এই কোম্পানি ১১০ কোটি ডলার জমা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক স্টক মার্কেট নাসডাকের তালিকাভুক্ত হয়। 

গত ১৯ এপ্রিল বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তারা ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়ন করতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটির মালিক কে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, বিটডিয়ার ও ভুটান সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

ভুটানের সরকারি তথ্য থেকেও বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। স্থলবেষ্টিত এ দেশের বাণিজ্যে সাধারণত প্রভাব ফেলে পেট্রোল, ইস্পাত এবং চালের বাজার। কিন্তু শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোটি কোটি ডলার খরচ করে দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কম্পিউটার চিপ আমদানি করা হয়, যা দেশটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ১১ লাখ ডলার।

বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এমন আকাশছোঁয়া দামে শুধু ২০২১ সালে যে পরিমাণ কম্পিউটার চিপ আমদানি করেছে দেশটি, তাতে কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান ডেটাসেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব। কম্পিউটার চিপের এমন আকাশচুম্বী অমদানির কারণে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও টান পড়ে। এসব ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল, দেশটি গোপনে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। 

বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার গোপনে বিনিয়োগ করেছিল ড্রাক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্লকফাই এবং সেলসিয়াসের অসাবধানতার কারণে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। তবে ‘গোপনীয়তার’ কথা বলে এ নিয়ে মুখ খোলেনি ড্রাক। বার্ষিক প্রতিবেদনও একই অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ, ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও বা বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে ভেবে ব্লকচেইনে আগ্রহী হয়ে উঠে ভুটান। তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিপলের সঙ্গে বিনিময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল মুদ্রার’ প্রচলন করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এসব উদ্যোগের কথা সব সময় গোপন রাখা হয়েছে। 

হিমালয়ের হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বিদ্যুৎ খাত। ৮ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনেরও (জিডিপি) প্রায় ৩০ শতাংশ এখাত থেকে অর্জন করে দেশটি। এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চাইছে তারা। এটি হলে এল সালভাদরের পর ভুটান হবে বিটকয়েন স্বীকৃতিদাতা দ্বিতীয় দেশ।

কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভুটান। সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর, মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ। স্বল্প জনসংখ্যা ও টেকসই জলবিদ্যুৎ ক্ষমতাও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা আছে; কাজাখস্তান ও সুইডেনও বিট কয়েন মাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপর থেকেই সস্তা বিদ্যুতের অনুসন্ধানে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে বিটকয়েনের দাম কমায় এবং গত বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোর সায়েন্টিফিক এবং কম্পিউট নর্থের মতো মাইনিং কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনও করেছে। 

আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুক্সরের বিটকয়েন মাইনিং বিশ্লেষক জারান মেলেরুড বলেন, ‘ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং হবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। কারণ দেশটিতে রয়েছে টেকসই জলবিদ্যুৎ। তা ছাড়া জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই দেশটিতে জনপ্রতি বিদ্যুতের চাহিদা আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সমান। তাই এমন সস্তা ও আটকে থাকা জলবিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে বিটকয়েন মাইনারদের কাছে খুবই লোভনীয়। কারণ তাঁদের কাজই হলো অবমূল্যায়িত বিদ্যুৎকে বিটকয়েনে পরিণত করা।’ 
 
ভুটানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পর্যটন খাত করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মহমারি ঠেকাতে প্রায় দুই বছর সীমান্ত পুরো বন্ধ রেখেছিল ভুটান। এমন পরিস্থিতিতে চীন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও ভুটানের রাজপরিবারের এক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্লাব ‘সিঙ্গাপুর-ভুটান অ্যাসোসিয়েশন’ বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাবে ৭০০ কিলোওয়াট মাইনিং রিগ দিয়ে তৈরি শিপিং কনটেইনারগুলোতে ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের রাজকীয় সহায়তা এবং সস্তায় বিদ্যুৎ সরবাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। 

তবে ভুটানের বর্তমান রাজার চাচা দাশো উগেন সেচুপ দরজি ফোর্বসকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে আটকে আছে। সরকার এ ধরনের ব্যবসার জন্য বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দেয়নি।’ 

সিঙ্গাপুর ভুটান অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য হামফেরি চ্যান বলেছেন, ‘এফটিএক্সের পতন এবং স্থলবেষ্টিত দেশটিতে খনির পরিবহন ও পরিচালনার সঙ্গে লজিস্টিক সমস্যাগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।’ 

আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির গবেষক অ্যালেক্স ডি ভ্রিস বলছেন, ‘ভুটান প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীগুলো শুকিয়ে যায়, তখন দেশটিকে উলটো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। এরকম পরিস্থিতে মাইনিং যদি দীর্ঘ সময়ের বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে লগ্নি করা অর্থ তুলে আনাটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, মাইনিং বন্ধ মানে কিন্তু আয়ও বন্ধ থাকবে।’  

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফোর্বস থেকে অনুবাদ করেছেন তুষার পাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

জাহিদ হাসান, যশোর
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।

শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।

উৎপাদন ও বাজারের চিত্র

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।

গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।

ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।

উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।

কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।

সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত