জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু অবলোপণ ঋণের গোলক ধাঁধায় অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে। দিন শেষে অবলোপন ঋণ আদায় অনেকটা চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকছে। কেননা, চুক্তির তুলনায় আদায় একেবারে নগণ্য।
এই চার ব্যাংকের গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তির বিপরীতে আদায় মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পন্ন চুক্তি অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা যা ১০ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলো চুক্তির ধারের কাছেও পৌঁছতে পারেনি। এই চার ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে চার ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের তুলনায় এই আদায়ের পরিমাণ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছিল ৫৯১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর শতকরা হিসাবে কম আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রক্ষা করছে না। অপরদিকে উচ্চমাত্রার অবলোপন ও খেলাপির ভারে ব্যাংকগুলো অর্থ আদায় করতে না পারায় হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২২ সালে আদায়ের জন্য সমঝোতা চুক্তিতে (এমইউ) বাংলাদেশ লক্ষ্য বেধে দেয় ৬৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ১৬ শতাংশ। যদিও সোনালি ব্যাংকের জন্য ২০২১ সালে লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছিল ৭০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করেছিল ১৬৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। সেই তুলনায় বিদায়ী বছরের কম আদায় হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। একইভাবে, জনতা ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপনকৃত ঋণ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটির লক্ষ্য ৩৪১ কোটি টাকা হলেও আদায় করেছে ১১২ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ। তার আগের বছরের লক্ষ্য ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এবং ব্যাংকটি আদায় করেছিল ৮৮ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা জানায়, মূলত ব্যাংক পরিচালকদের নামে–বেনামে ঋণ ছাড়ের কারণে বছরের পর বছর ঋণ আদায় হয় না। একটা পর্যায়ে ঋণ অবলোপন করা হয়। সেই অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন রক্ষা করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিতে হয়। এতে ব্যাংকের গ্রাহক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের চিত্র সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। গত ২০ বছরে ৬০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংগুলোর ৩৫ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। বিপরীতে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ৪ হাজার ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে গত বছরে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪০৫ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি আদায় করে ৮৮ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি আগের বছর বেধে দেওয়া ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৭৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। যা লক্ষ্যর তুলনায় ১৭ শতাংশ। তবে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ অন্য তিন ব্যাংকের তুলনায় একেবারে কম অর্থাৎ মাত্র ৫৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সোনালি ব্যাংকের তুলনায় কম ৬ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা বা ৯১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটির অবলোপন ঋণের আদায়ের হার চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে অবস্থান করছে। ব্যাংকটির ৫৯১ কোটি টাকা অবলোপকৃত ঋণের বিপরীতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকটি টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম তথা কেবল ১১ কোটি টাকা আদায় করেছে। তবে এটি শতকরা হিসাবে ১৯ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি এর আগের বছরের ৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যর বিপরীতে ৭ কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ আদায় করতে পেরেছিল।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় এমন হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকেই অনেক খেলাপিকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ বিতরণ ও তদারকির অভাব এবং অপর্যাপ্ত জামানত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা ব্যাংকিং খাতের জন্য বাড়তি বোঝা।’
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪০ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি কমাতে বলা হলেও উল্টো বেড়েছে। এখানেও চুক্তি কার্যকর হয়নি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আবদুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জয়েন করেছি। ব্যাংক ভালো চলছে। তবে অবলোপন ঋণ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। সাধ্যমতো আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।’
তবে সোনালি, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের এমডির বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৭ জানুয়ারি খেলাপি ঋণ কম দেখাতে ঋণ অবলোপন (রাইট অফ) নীতিমালা শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ৫ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ মামলা না করে অবলোপন করে ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র থেকে বাদ দিতে পারবে ব্যাংক। যা আগে ছিল ২ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু অবলোপণ ঋণের গোলক ধাঁধায় অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে। দিন শেষে অবলোপন ঋণ আদায় অনেকটা চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকছে। কেননা, চুক্তির তুলনায় আদায় একেবারে নগণ্য।
এই চার ব্যাংকের গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তির বিপরীতে আদায় মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পন্ন চুক্তি অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা যা ১০ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলো চুক্তির ধারের কাছেও পৌঁছতে পারেনি। এই চার ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে চার ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের তুলনায় এই আদায়ের পরিমাণ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছিল ৫৯১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর শতকরা হিসাবে কম আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রক্ষা করছে না। অপরদিকে উচ্চমাত্রার অবলোপন ও খেলাপির ভারে ব্যাংকগুলো অর্থ আদায় করতে না পারায় হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২২ সালে আদায়ের জন্য সমঝোতা চুক্তিতে (এমইউ) বাংলাদেশ লক্ষ্য বেধে দেয় ৬৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ১৬ শতাংশ। যদিও সোনালি ব্যাংকের জন্য ২০২১ সালে লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছিল ৭০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করেছিল ১৬৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। সেই তুলনায় বিদায়ী বছরের কম আদায় হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। একইভাবে, জনতা ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপনকৃত ঋণ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটির লক্ষ্য ৩৪১ কোটি টাকা হলেও আদায় করেছে ১১২ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ। তার আগের বছরের লক্ষ্য ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এবং ব্যাংকটি আদায় করেছিল ৮৮ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা জানায়, মূলত ব্যাংক পরিচালকদের নামে–বেনামে ঋণ ছাড়ের কারণে বছরের পর বছর ঋণ আদায় হয় না। একটা পর্যায়ে ঋণ অবলোপন করা হয়। সেই অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন রক্ষা করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিতে হয়। এতে ব্যাংকের গ্রাহক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের চিত্র সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। গত ২০ বছরে ৬০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংগুলোর ৩৫ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। বিপরীতে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ৪ হাজার ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে গত বছরে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪০৫ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি আদায় করে ৮৮ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি আগের বছর বেধে দেওয়া ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৭৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। যা লক্ষ্যর তুলনায় ১৭ শতাংশ। তবে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ অন্য তিন ব্যাংকের তুলনায় একেবারে কম অর্থাৎ মাত্র ৫৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সোনালি ব্যাংকের তুলনায় কম ৬ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা বা ৯১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটির অবলোপন ঋণের আদায়ের হার চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে অবস্থান করছে। ব্যাংকটির ৫৯১ কোটি টাকা অবলোপকৃত ঋণের বিপরীতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকটি টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম তথা কেবল ১১ কোটি টাকা আদায় করেছে। তবে এটি শতকরা হিসাবে ১৯ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি এর আগের বছরের ৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যর বিপরীতে ৭ কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ আদায় করতে পেরেছিল।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় এমন হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকেই অনেক খেলাপিকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ বিতরণ ও তদারকির অভাব এবং অপর্যাপ্ত জামানত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা ব্যাংকিং খাতের জন্য বাড়তি বোঝা।’
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪০ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি কমাতে বলা হলেও উল্টো বেড়েছে। এখানেও চুক্তি কার্যকর হয়নি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আবদুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জয়েন করেছি। ব্যাংক ভালো চলছে। তবে অবলোপন ঋণ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। সাধ্যমতো আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।’
তবে সোনালি, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের এমডির বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৭ জানুয়ারি খেলাপি ঋণ কম দেখাতে ঋণ অবলোপন (রাইট অফ) নীতিমালা শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ৫ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ মামলা না করে অবলোপন করে ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র থেকে বাদ দিতে পারবে ব্যাংক। যা আগে ছিল ২ লাখ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
১৭ মে ২০২৩
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
১৭ মে ২০২৩
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
১৭ মে ২০২৩
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
১৭ মে ২০২৩
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে