আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া প্রস্তাবে এ সুপারিশ করে কমিটি।
জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি এর মধ্যে ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করছে। কেন্দ্রগুলো হলো ভারতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের ১৫০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগের পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিটের ইউনিট মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট, ইউনাইটেড গ্রুপের আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট, এস আলমের বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট, সামিটের মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট, ইউনিকের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, চুক্তিগুলোর আইনগত ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখার জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। কমিটি এমন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করার মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। কমিটি বলছে, এই পর্যালোচনার বিষয়টি যাতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিসে গ্রহণযোগ্য হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় তারা।
শেখ হাসিনা আমলে চুক্তি হওয়া ৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সব থেকে বেশি সুযোগ পাওয়া সামিট, ইউনাইটেড, ওরিয়নসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রতিটি চুক্তি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানির বিশেষ আইন করে। ওই আইনের অধীনে বিনা দরপত্রে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই আইনের অধীনে বেসরকারি খাতে ৮৯টি বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতীয় কমিটি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে, চুক্তিতে দেশের স্বার্থ কোথাও নষ্ট হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে তারা।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ জ্বালানির বিশেষ আইনের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিপুল অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের ভাষায়, বিগত সরকারের সময় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ‘অনিয়মের মহোৎসব’ হয়েছে।
সামিট গ্রুপের সব চুক্তি খতিয়ে দেখার পরামর্শ
বিদ্যুৎ খাতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে সামিট গ্রুপ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির যৌথ অংশীদার ছিল প্রতিষ্ঠানটি। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সামিট গ্রুপ ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, যার সম্মিলিত ক্ষমতা ২ হাজার ১১০ মেগাওয়াট। সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া নিয়েছে সামিট। বছরে সামিট এখন ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্র ভাড়া নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা গোপালগঞ্জ-১ আসনের একাধিকবারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের পারিবারিক ব্যবসা সামিট গ্রুপ।
সামিট গ্রুপের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নিয়ে জাতীয় কমিটি পর্যালোচনা করছে, এ দুটি কেন্দ্র হলো মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ও মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামিটের সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করা উচিত। সব বিদ্যুৎকেন্দ্রে তারা বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলেন, সামিটকে ১০৫ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রথমে অনুমতি দেওয়া হয় রংপুরে। রংপুরে জ্বালানি তেল বহন করা কঠিন, সে কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন ব্যয়ও বেশি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে লোডশেডিং সামাল দিতে সরকার তখন এই পরিকল্পনা করে। সামিট প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রটি বরিশালে নদীর পাড়ে স্থাপন করে, তারা এ সময় কেন্দ্রটির ক্ষমতাও বাড়িয়ে নেয় ৫ মেগাওয়াট। নদীর পাড়ে জ্বালানি পরিবহন সহজ হওয়ায় কেন্দ্রটির উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ার কথা, কিন্তু সামিট রংপুরের সমান উৎপাদন ব্যয় নেয় বরিশালে। তাঁরা বলছেন, সামিটের প্রতিটি চুক্তি খতিয়ে দেখলে এর সত্য মিলবে।
পেট্রোবাংলার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে প্রথম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সাগরে ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট। বিনা দরপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানিকে এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এই টার্মিনাল দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ বিদেশ থেকে জাহাজে করে আনা হবে এলএনজি, সেটি পুনরায় গ্যাসে পরিণত করে পাইপ লাইনে সরবরাহ করবে এক্সিলারেট। যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানিটির সারা দুনিয়ায় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সামিটকে সরকার কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়া এ রকম একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমতি দেয় বিশেষ আইনে। এরপর সামিট চুক্তি করে এক্সিলারেটের সঙ্গে। এক্সিলারেট সামিটের হয়ে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে পেট্রোবাংলাকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। সামিট যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেটকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ দেয়, আর মাঝখান থেকে কমিশন নেয় সামিট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামিটের অভিজ্ঞতা না থাকায় এলএনজি টার্মিনাল দেওয়ার পর তারা সেই অনুমতি ভাড়া দিয়েছে এক্সিলারেটকে। এই চুক্তি খতিয়ে দেখার প্রতি জোর দিয়েছে তারা।
অন্য আলোচিত যারা
ইউনাইটেড গ্রুপ গত ১৫ বছরে ১ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে ৬৬৫ মেগাওয়াটের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই গ্রুপের ১৪৯ মেগাওয়াট আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চুক্তি খতিয়ে দেখছে জাতীয় কমিটি, তবে এই গ্রুপের অন্য কেন্দ্রের ব্যাপারে তারা কিছু বলেনি।
গত সাড়ে ১৫ বছরে অনুমতি পাওয়া কেন্দ্রের মধ্যে ওরিয়নের ৫০৫ মেগাওয়াটের ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। আলোচিত এই গ্রুপের কোনো কেন্দ্রের বিষয়ে জাতীয় কমিটি খতিয়ে দেখছে না এখনো।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডরিন পাওয়ারের ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, এসব কেন্দ্রের চুক্তিও খতিয়ে দেখছে কি না তা জানা যায়নি।
২০১৯ সালে জুলাই মাসে অনুমোদন পায় ইউনিকের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি। এটি পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক চেয়ারম্যান) চৌধুরী নাফিজ শরাফাতের মালিকানাধীন ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড। নাফিজ শরাফত বিদ্যুতের ব্যবসা করেননি আগে, এ বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাও নেই। শুধু সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি এত বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাগিয়ে নেন। এই কেন্দ্রটির চুক্তি অবশ্য খতিয়ে দেখছে জাতীয় কমিটি।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে যত চুক্তি হয়েছে, এর প্রতিটির চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। কাউকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই এ ক্ষেত্রে।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া প্রস্তাবে এ সুপারিশ করে কমিটি।
জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি এর মধ্যে ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করছে। কেন্দ্রগুলো হলো ভারতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের ১৫০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগের পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিটের ইউনিট মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট, ইউনাইটেড গ্রুপের আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট, এস আলমের বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট, সামিটের মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট, ইউনিকের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, চুক্তিগুলোর আইনগত ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখার জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। কমিটি এমন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করার মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। কমিটি বলছে, এই পর্যালোচনার বিষয়টি যাতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিসে গ্রহণযোগ্য হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় তারা।
শেখ হাসিনা আমলে চুক্তি হওয়া ৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সব থেকে বেশি সুযোগ পাওয়া সামিট, ইউনাইটেড, ওরিয়নসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রতিটি চুক্তি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানির বিশেষ আইন করে। ওই আইনের অধীনে বিনা দরপত্রে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই আইনের অধীনে বেসরকারি খাতে ৮৯টি বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতীয় কমিটি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে, চুক্তিতে দেশের স্বার্থ কোথাও নষ্ট হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে তারা।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ জ্বালানির বিশেষ আইনের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিপুল অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের ভাষায়, বিগত সরকারের সময় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ‘অনিয়মের মহোৎসব’ হয়েছে।
সামিট গ্রুপের সব চুক্তি খতিয়ে দেখার পরামর্শ
বিদ্যুৎ খাতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে সামিট গ্রুপ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির যৌথ অংশীদার ছিল প্রতিষ্ঠানটি। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সামিট গ্রুপ ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, যার সম্মিলিত ক্ষমতা ২ হাজার ১১০ মেগাওয়াট। সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া নিয়েছে সামিট। বছরে সামিট এখন ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্র ভাড়া নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা গোপালগঞ্জ-১ আসনের একাধিকবারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের পারিবারিক ব্যবসা সামিট গ্রুপ।
সামিট গ্রুপের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নিয়ে জাতীয় কমিটি পর্যালোচনা করছে, এ দুটি কেন্দ্র হলো মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ও মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামিটের সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করা উচিত। সব বিদ্যুৎকেন্দ্রে তারা বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলেন, সামিটকে ১০৫ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রথমে অনুমতি দেওয়া হয় রংপুরে। রংপুরে জ্বালানি তেল বহন করা কঠিন, সে কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন ব্যয়ও বেশি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে লোডশেডিং সামাল দিতে সরকার তখন এই পরিকল্পনা করে। সামিট প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রটি বরিশালে নদীর পাড়ে স্থাপন করে, তারা এ সময় কেন্দ্রটির ক্ষমতাও বাড়িয়ে নেয় ৫ মেগাওয়াট। নদীর পাড়ে জ্বালানি পরিবহন সহজ হওয়ায় কেন্দ্রটির উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ার কথা, কিন্তু সামিট রংপুরের সমান উৎপাদন ব্যয় নেয় বরিশালে। তাঁরা বলছেন, সামিটের প্রতিটি চুক্তি খতিয়ে দেখলে এর সত্য মিলবে।
পেট্রোবাংলার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে প্রথম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সাগরে ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট। বিনা দরপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানিকে এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এই টার্মিনাল দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ বিদেশ থেকে জাহাজে করে আনা হবে এলএনজি, সেটি পুনরায় গ্যাসে পরিণত করে পাইপ লাইনে সরবরাহ করবে এক্সিলারেট। যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানিটির সারা দুনিয়ায় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সামিটকে সরকার কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়া এ রকম একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমতি দেয় বিশেষ আইনে। এরপর সামিট চুক্তি করে এক্সিলারেটের সঙ্গে। এক্সিলারেট সামিটের হয়ে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে পেট্রোবাংলাকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। সামিট যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেটকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ দেয়, আর মাঝখান থেকে কমিশন নেয় সামিট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামিটের অভিজ্ঞতা না থাকায় এলএনজি টার্মিনাল দেওয়ার পর তারা সেই অনুমতি ভাড়া দিয়েছে এক্সিলারেটকে। এই চুক্তি খতিয়ে দেখার প্রতি জোর দিয়েছে তারা।
অন্য আলোচিত যারা
ইউনাইটেড গ্রুপ গত ১৫ বছরে ১ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে ৬৬৫ মেগাওয়াটের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই গ্রুপের ১৪৯ মেগাওয়াট আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চুক্তি খতিয়ে দেখছে জাতীয় কমিটি, তবে এই গ্রুপের অন্য কেন্দ্রের ব্যাপারে তারা কিছু বলেনি।
গত সাড়ে ১৫ বছরে অনুমতি পাওয়া কেন্দ্রের মধ্যে ওরিয়নের ৫০৫ মেগাওয়াটের ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। আলোচিত এই গ্রুপের কোনো কেন্দ্রের বিষয়ে জাতীয় কমিটি খতিয়ে দেখছে না এখনো।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডরিন পাওয়ারের ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে, এসব কেন্দ্রের চুক্তিও খতিয়ে দেখছে কি না তা জানা যায়নি।
২০১৯ সালে জুলাই মাসে অনুমোদন পায় ইউনিকের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি। এটি পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক চেয়ারম্যান) চৌধুরী নাফিজ শরাফাতের মালিকানাধীন ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড। নাফিজ শরাফত বিদ্যুতের ব্যবসা করেননি আগে, এ বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাও নেই। শুধু সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি এত বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাগিয়ে নেন। এই কেন্দ্রটির চুক্তি অবশ্য খতিয়ে দেখছে জাতীয় কমিটি।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে যত চুক্তি হয়েছে, এর প্রতিটির চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। কাউকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই এ ক্ষেত্রে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
২৫ নভেম্বর ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
২৫ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
২৫ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
২৫ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে