সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।
সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে