সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ হারাবে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান শ্রোডার্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল লেবার ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্নেল ইউনিভার্সিটি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি হারাতে পারে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে চাকরি হারাতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম তাপ এবং বন্যা অর্থনীতি বিশেষ করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তার বর্ণনায় গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম বৈরী আবহাওয়ার দিনগুলোতে কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে শিল্পে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে যা ওই সময় বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট পোশাক রপ্তানির ২২ শতাংশ কম। আর এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতে ৭১১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে, যা একই সময়ে সম্ভাব্য মোট রপ্তানির ৬৮ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
গবেষকেরা বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের পোশাক শিল্পের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এই চারটি দেশ বিশ্ব বাজারে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার পোশাক ও জুতার কারখানা আছে এই চারটি দেশে, যেখানে ১ কোটি ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অতি বন্যা প্রবণতার সঙ্গে এই চারটি দেশ কীভাবে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ শিল্প উৎপাদন মানিয়ে নিতে পারবে সেটির একটি চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত তাপ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের শ্রমিক ও প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশগুলোতে থাকা ছয়টি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পোশাকের সাপ্লাই চেইনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও বাকি তিনটি দেশে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তৈরি পোশাক খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার কম হবে। একই সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের চেয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার কম মানুষ কাজ পাবেন।
এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কম হবে প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম এবং কর্মসংস্থান কম হবে ৮৬ লাখ ৪ হাজার।
গবেষণায় বাংলাদেশের ৩২টি তৈরি পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণে করে গবেষকেরা দেখেছেন, গবেষণাধীন চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ২০৩০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের শারীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আগের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। স্পষ্টত, এতে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমবে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি ও প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ের মধ্যে ঢাকার ৩৭ শতাংশ মানুষ বন্যার সময় শূন্য দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার পানির কবলে পড়বে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ঢাকার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হবে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বন্যা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
অন্তত ১০ বছরের বন্যার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ দশমিক ৫ মিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার পানির বন্যার কারণে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। উপকূলীয় বন্যার চেয়ে অতিবৃষ্টি ও নদী উছলে সৃষ্টি বন্যার ভয়াবহতা হবে বেশি।
গবেষণায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শ্রমিকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শ্রমিকেরা দেরিতে কাজে যাওয়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কর্মশক্তি কমে যাওয়া, কর্মঘণ্টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব ইত্যাদি।
শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে বন্যার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিকেরা তাঁদের কাজে আনতে নৌকা পাঠিয়েছিলেন।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনের দিনগুলোতে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বন্যার কারণে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয়ের সুযোগ হারাতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে থাকা এশিয়ার চারটি দেশ এ খাত থেকে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে