আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব, হিরু, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক পার্টনারসহ মোট ১০ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজির তদন্ত করে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেয়ারটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যার মূল কারণ ছিল সিরিজ ট্রেডিং। একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) হিসাব ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়। এই কারসাজির পেছনে ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু, যাঁরা এতে বিশাল অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করেন।
বিএসইসির এই দীর্ঘ তদন্ত শেষে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনার জন্য উল্লেখিত জরিমানা ধার্য করেছে। যেখানে সাকিব আল হাসান এবং আবুল খায়ের হিরু, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দণ্ড আরোপ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর পার্টনার হিরু, তাঁদের পরিবার এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, পুঁজিবাজারে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো ডিআইটি কো-অপারেটিভ, আবুল কালাম মাতবর, কাজী সাদিয়া হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, মোনার্ক হোল্ডিংস, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং সফটভেশন লিমিটেড। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি বড় পরিমাণের জরিমানা রয়েছে। একটির পরিমাণ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যটির পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। এর মানে হচ্ছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজিসংক্রান্ত একটি পৃথক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এই জরিমানা শেয়ার কারসাজি ছাড়াও শেয়ার অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণসংক্রান্ত বিধিমালা ভঙ্গ করার জন্যও আরোপিত হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের, যেমন আবুল খায়েরসহ অন্যদের, প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার মোট পরিমাণ ১৩ লাখ টাকা।
সাকিব আল হাসান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের হিরুর মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি নিয়ে অনেক বছর ধরে গুঞ্জন ছিল, তবে বিএসইসি তদন্ত শুরু করার পরই প্রমাণ মিলেছে। সাকিব আল হাসানের মতো জাতীয় তারকা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় তাঁর বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। যদিও সাকিব বা তাঁর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে এটি তাঁর পেশাদারি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি প্রমাণিত এবং জরিমানা ঘোষণা করার পর বিএসইসি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও এটি পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তবে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের জন্য সতর্কবার্তা এবং এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সহায়তা করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব, হিরু, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক পার্টনারসহ মোট ১০ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজির তদন্ত করে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেয়ারটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যার মূল কারণ ছিল সিরিজ ট্রেডিং। একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) হিসাব ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়। এই কারসাজির পেছনে ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু, যাঁরা এতে বিশাল অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করেন।
বিএসইসির এই দীর্ঘ তদন্ত শেষে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনার জন্য উল্লেখিত জরিমানা ধার্য করেছে। যেখানে সাকিব আল হাসান এবং আবুল খায়ের হিরু, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দণ্ড আরোপ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর পার্টনার হিরু, তাঁদের পরিবার এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, পুঁজিবাজারে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো ডিআইটি কো-অপারেটিভ, আবুল কালাম মাতবর, কাজী সাদিয়া হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, মোনার্ক হোল্ডিংস, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং সফটভেশন লিমিটেড। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি বড় পরিমাণের জরিমানা রয়েছে। একটির পরিমাণ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যটির পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। এর মানে হচ্ছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজিসংক্রান্ত একটি পৃথক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এই জরিমানা শেয়ার কারসাজি ছাড়াও শেয়ার অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণসংক্রান্ত বিধিমালা ভঙ্গ করার জন্যও আরোপিত হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের, যেমন আবুল খায়েরসহ অন্যদের, প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার মোট পরিমাণ ১৩ লাখ টাকা।
সাকিব আল হাসান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের হিরুর মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি নিয়ে অনেক বছর ধরে গুঞ্জন ছিল, তবে বিএসইসি তদন্ত শুরু করার পরই প্রমাণ মিলেছে। সাকিব আল হাসানের মতো জাতীয় তারকা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় তাঁর বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। যদিও সাকিব বা তাঁর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে এটি তাঁর পেশাদারি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি প্রমাণিত এবং জরিমানা ঘোষণা করার পর বিএসইসি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও এটি পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তবে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের জন্য সতর্কবার্তা এবং এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সহায়তা করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব, হিরু, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক পার্টনারসহ মোট ১০ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজির তদন্ত করে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেয়ারটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যার মূল কারণ ছিল সিরিজ ট্রেডিং। একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) হিসাব ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়। এই কারসাজির পেছনে ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু, যাঁরা এতে বিশাল অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করেন।
বিএসইসির এই দীর্ঘ তদন্ত শেষে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনার জন্য উল্লেখিত জরিমানা ধার্য করেছে। যেখানে সাকিব আল হাসান এবং আবুল খায়ের হিরু, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দণ্ড আরোপ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর পার্টনার হিরু, তাঁদের পরিবার এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, পুঁজিবাজারে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো ডিআইটি কো-অপারেটিভ, আবুল কালাম মাতবর, কাজী সাদিয়া হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, মোনার্ক হোল্ডিংস, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং সফটভেশন লিমিটেড। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি বড় পরিমাণের জরিমানা রয়েছে। একটির পরিমাণ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যটির পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। এর মানে হচ্ছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজিসংক্রান্ত একটি পৃথক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এই জরিমানা শেয়ার কারসাজি ছাড়াও শেয়ার অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণসংক্রান্ত বিধিমালা ভঙ্গ করার জন্যও আরোপিত হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের, যেমন আবুল খায়েরসহ অন্যদের, প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার মোট পরিমাণ ১৩ লাখ টাকা।
সাকিব আল হাসান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের হিরুর মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি নিয়ে অনেক বছর ধরে গুঞ্জন ছিল, তবে বিএসইসি তদন্ত শুরু করার পরই প্রমাণ মিলেছে। সাকিব আল হাসানের মতো জাতীয় তারকা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় তাঁর বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। যদিও সাকিব বা তাঁর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে এটি তাঁর পেশাদারি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি প্রমাণিত এবং জরিমানা ঘোষণা করার পর বিএসইসি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও এটি পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তবে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের জন্য সতর্কবার্তা এবং এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সহায়তা করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব, হিরু, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক পার্টনারসহ মোট ১০ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজির তদন্ত করে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেয়ারটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যার মূল কারণ ছিল সিরিজ ট্রেডিং। একাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) হিসাব ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়। এই কারসাজির পেছনে ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু, যাঁরা এতে বিশাল অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করেন।
বিএসইসির এই দীর্ঘ তদন্ত শেষে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনার জন্য উল্লেখিত জরিমানা ধার্য করেছে। যেখানে সাকিব আল হাসান এবং আবুল খায়ের হিরু, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এবং ব্যবসায়িক সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দণ্ড আরোপ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর পার্টনার হিরু, তাঁদের পরিবার এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, পুঁজিবাজারে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো ডিআইটি কো-অপারেটিভ, আবুল কালাম মাতবর, কাজী সাদিয়া হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, মোনার্ক হোল্ডিংস, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং সফটভেশন লিমিটেড। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি বড় পরিমাণের জরিমানা রয়েছে। একটির পরিমাণ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যটির পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। এর মানে হচ্ছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজিসংক্রান্ত একটি পৃথক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এই জরিমানা শেয়ার কারসাজি ছাড়াও শেয়ার অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণসংক্রান্ত বিধিমালা ভঙ্গ করার জন্যও আরোপিত হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের, যেমন আবুল খায়েরসহ অন্যদের, প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার মোট পরিমাণ ১৩ লাখ টাকা।
সাকিব আল হাসান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের হিরুর মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি নিয়ে অনেক বছর ধরে গুঞ্জন ছিল, তবে বিএসইসি তদন্ত শুরু করার পরই প্রমাণ মিলেছে। সাকিব আল হাসানের মতো জাতীয় তারকা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় তাঁর বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। যদিও সাকিব বা তাঁর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে এটি তাঁর পেশাদারি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি প্রমাণিত এবং জরিমানা ঘোষণা করার পর বিএসইসি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও এটি পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তবে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের জন্য সতর্কবার্তা এবং এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সহায়তা করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল...
০২ মার্চ ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল...
০২ মার্চ ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল...
০২ মার্চ ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে তাঁর সহযোগী ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল...
০২ মার্চ ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে