আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে