
আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১২ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৯ ঘণ্টা আগে