Ajker Patrika

আকাশসীমায় বেসামরিক ফ্লাইটের বিদ্যমান ঝুঁকি নিরসন করতে হবে, গোলটেবিলে বক্তারা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তা ও অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তা ও অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যাত্রীদের শতভাগ নিরাপত্তা হচ্ছে বেসামরিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর অন্যতম অগ্রাধিকার। তবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় বেসামরিক ফ্লাইটগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকিগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে অ্যাভিয়েশন খাত নিয়ে এক গোলটেবিলে বক্তারা এমন কথা বলেন।

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাভিয়েশন খাতে জরুরি অবস্থা এবং নাগরিক ঝুঁকি: বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রস্তুতির পুনর্বিবেচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে অ্যাভিয়েশন খাতের পত্রিকা দ্য বাংলাদেশ মনিটর ও শেরাটন ঢাকা। গোলটেবিল সঞ্চালনা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।

বাংলাদেশের আকাশসীমার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হলো বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এ বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তা পালনের জন্য যথেষ্ট সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে কি না, এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মফিজুর রহমান।

সামরিক ও বেসামরিক এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মফিজুর রহমান বলেন, ‘এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কী হবে, তা সুনির্দিষ্ট। দুঃখজনকভাবে সামরিক ও বেসামরিক উড়োজাহাজের সহযোগিতা কীভাবে হবে, তা নেই। শান্তির সময় বেসামরিক উড়োজাহাজ অগ্রাধিকার পাবে, আর যুদ্ধের সময় সামরিক। যদিও আমাদের অভ্যাস হলো, সামরিক বিমানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের লম্বা লাইন হয়ে গিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের অবতরণের সময় নিয়ম অনুযায়ী অন্য উড়োজাহাজের সঙ্গে কমপক্ষে ১ হাজার ফুট উচ্চতা দূরত্ব থাকার কথা। এমন অনেকবার হয়েছে, বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ১ হাজার ফুটে রয়েছে, আর সামরিক বিমান এত কাছে চলে আসে যে, উচ্চতা দূরত্ব ৫০০ ফুট হয়। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে, যাতে অন্য কোনো উড়োজাহাজ যদি তার কাছাকাছি চলে আসে, ঝুঁকি বিবেচনায় উড়োজাহাজটি পাইলট থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতা অর্জন করতে থাকে। এমন ঘটনা ডজনের ওপর ঘটেছে।’

মফিজুর রহমান বলেন, ‘যখন আমাদের বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ নকশা তৈরি করা হয়েছিল। তখন আমাদের আকাশসীমায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট কম ছিল। এখন সময় এসেছে এ নকশাগুলো নতুন করে তৈরি করার। ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাণিজ্যিক ফ্লাইট রুটের পাশে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ রুট রয়েছে। যার কারণে বেশ কয়েকবার সামরিক ট্রাফিকের সঙ্গে বাণিজ্যিকের ঝামেলা হয়েছে। প্রায় ১৫ মাইল ঘুরে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোকে যেতে হয়। একই অবস্থা সৈয়দপুরের ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও হয়। এতে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করতে হয়, খরচ বাড়ায় ও কার্বন নিঃসরণ বাড়ায়। সংশ্লিষ্টদের বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনায় নিতে হবে।’

বক্তারা বলেন, ‘মাইলস্টোন ঘটনা আমাদের জন্য একটি বার্তা দিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটতে না দেওয়াটা আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আর যদি ঘটে যায়, তাহলে কী করতে হবে, সে বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। যদি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দুর্ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হবে। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলোর অন্যমত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ করা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শতভাগ ঝুঁকি নিরসনের বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটার আগে আগাম প্রস্তুতি থাকা উচিত।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারিগরি বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন তানভির খুরশিদ বলেন, ‘সামরিক ফ্লাইটের কারণে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ঢাকা থেকে উড্ডয়নের সময়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয়। এর কারণে বিদেশে আমাদের অবতরণের স্লট হারিয়ে ফেলার মতো সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত তেল রাখি না, এ ধরনের অপেক্ষা আমাদের সমস্যায় ফেলে। যখন সামরিক ফ্লাইটগুলো শুরু হয়, তখন আগাম কোনো বার্তা আমরা পাই না। ফলে বেশির ভাগ সময়ে ট্যাক্সিপথে বসে থাকতে হয়। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে এবং প্রশিক্ষণ তো হবেই। তবে মাথায় রাখতে হবে, এ ধরনের ঘটনা যাত্রীদের জন্য বিরক্তিকর। বিষয়টি আমাদের উদ্বেগের।’

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে, শহরের বাইরে গিয়ে কোথায় আমরা ফ্লাইটের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। সবকিছু আমাদের ভেবেচিন্তে পরিকল্পনামাফিকভাবে কাজ করতে হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়ম অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর ট্রাফিকের কারণে অনেক কিছু করতে বেশ কিছু সময় লেগেছে। তারপরেও সবাই সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে।’

এয়ার কমোডর এ কে এম জিয়াউল হক বলেন, সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এমওইউয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। ফলে দুর্ঘটনা ও ইমার্জেন্সি অবস্থায় কার কী করণীয়, কী করতে হবে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।

ক্যাপ্টেন (অব.) সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা কোনো দিন তাদের এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারবে না। বিমানবন্দরের পাশে স্কুল কলেজ কোনোভাবেই গড়ে ওঠা ঠিক হয়নি, যারা অনুমোদন দিয়েছে তারাও ঠিক করেনি।

অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) তানজিম আনোয়ার বলেন, ‘দুর্নীতি করে বিমানবন্দর এলাকায় এসব স্থাপনা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সিভিল অ্যাভিয়েশন কী করল, তারা তো ব্রিফ করে বলল না, এখানে যেসব অবৈধ ভবন রয়েছে সেসবের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। এভাবে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়া আর কত দিন চলবে। এগুলো বিষয়ে নজরদারি করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এমন ঘটনা থেমে থাকবে না।’

বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিই, বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা তেমন কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করি না, সেভাবে ভাবিও না। এগুলো নিয়ে ভাবার এবং কর্মপদ্ধতি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। যা আমাদের যুগোপযোগী করে সাজাতে হবে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানবন্দর বিষয়টিও আমাদের সমস্যা বাড়ায়। আকাশে ফ্লাইট যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে ১০ বছর পরেই এমন স্থানে বিমানবন্দর রাখা কঠিন হয়ে যাবে, সরিয়ে নড়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা উচিত।’

এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান এয়ার কমোডর (অব.) শফিকুল ইসলাম, সাবেক উইং কমান্ডার এটিএম নজরুল ইসলাম, এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, কর্নেল (অব.) মো. সোহেল রানা, ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনসহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত