আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।
বাজেটে জনবান্ধব শুল্ককাঠামো থাকছে বলে দাবি করছেন বাজেট প্রণয়নে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনস্বার্থ বিবেচনায় হচ্ছে এবারের বাজেট। বাজেটে যেমন রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প, পরিবেশবান্ধব খাতসহ উৎপাদন খাতকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতে স্বস্তি মিলবে।
শুল্ক ব্যবস্থাপনার এসব পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে কর আদায় করতেই হবে। সব জিনিসের ওপর থেকে তো আর তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার কাছে এগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে। কারণ, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সহজ করা হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক ও বিলাসপণ্যে বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
শুল্ককাঠামোর রূপান্তর
দেশে প্রচলিত ৬টি স্তরের পরিবর্তে ৭টি শুল্ক স্তর করা হচ্ছে আগামী বাজেটে। শুল্ক স্তরগুলো হলো ০, ১, ৩, ৫, ১০, ১৫ এবং ২৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক (এসডি) স্তর ১২টি থেকে ১৩টি করা হচ্ছে। এগুলো হলো ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৪৫, ৬০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ৫০০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নতুন সংযোজন। এ ছাড়া আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কহারের সব পণ্যে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ বহাল রাখা হচ্ছে। তবে রেয়াতি সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডি প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সুপারিশ অনুযায়ী শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের ৭৯টি নতুন পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, ৩৬টি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধের কাঁচামাল এবং ২০ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) মওকুফ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া টোল ফর্মুলেশন সুবিধার (টিএফএফ) বাইরে আমদানি হওয়া ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। এখন থেকে টিএফএফ প্রক্রিয়ায় আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ হবে। ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ইনফিউশন ইত্যাদি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মেডিকেল প্লাস্টিক টিউব বা অংশের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর, কাপলার, অ্যাডাপ্টর, সিলিন্ডার সংযোগ অংশের থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটারিয়ালে বন্ড সুবিধায় ব্যবহৃত কাঁচামালের সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত স্টেরাইল কানেক্টরের কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে এটি উচ্চ শুল্কহারযুক্ত জেনারেল ক্যাটাগরিতে আমদানির কারণে খরচ বেড়ে যায়। বাড়তি খরচ এড়াতে এটির জন্য আলাদা কোডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে ক্যানসারের ওষুধ ও ইনসুলিন, ডায়ালাইসিস ও অপারেশন সরঞ্জামের দাম কমতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিনির শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টনে ৫০০ টাকা কমানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আমদানি ব্যয় কমবে, এতে বাজারে চিনির দাম কমতে পারে।
শিশুর খেলনার শুল্কায়ন মূল্য প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক ৫০ ডলার বাড়িয়ে ৪ ডলার নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ খেলনার দাম বাড়তে পারে।
যানবাহন খাতে ১৬ থেকে ৪০ সিটের বাস আমদানিতে সিডি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার আমদানিতে সিডি শূন্য থেকে ১০, ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণের সুপারিশ থাকছে।
প্রসাধন খাতের বিভিন্ন পণ্যে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানো হচ্ছে ১৫ শতাংশ। প্রসাধনীতে বর্তমানে ৩৫ শতাংশ এসডি থাকলেও তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে পারফিউম, বডি স্প্রে, বিলাসী ক্রিম ও মেকআপ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
ফ্রুট জুসের পানীয়তে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মোট করভার ২৮৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশে।
প্লাস্টিক ও পলিমারশিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল অ্যাডিটিভে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ৭৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন ডিসি মোটরের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ করা হচ্ছে।
কাগজ দিয়ে তৈরি ছোট-বড় প্যাকেট, ব্যাগ, লিফলেট প্যাকেজিং—যেগুলো সাধারণত খাবার, খুচরা পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক কমছে। আরেকা, শাল, সিয়ালি, পলাশপাতার পণ্যের জন্য নতুন এইচএস কোড চালু করা হচ্ছে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তুলনামূলক কম। এতে প্লাস্টিকে বিকল্প পণ্য জনপ্রিয় হবে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইস্পাতের কাঁচামালে শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা এবং ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রড, স্টিলের দাম কমবে; নির্মাণ খাতে খরচ হ্রাস পাবে।
নীতি সংস্কার
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক ফাঁকি রোধে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবার। একটি প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি ৩০ ইউনিট পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেফারেন্স ভ্যালু সিস্টেম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কাস্টমস রুল সহজীকরণ, গেজেট হালনাগাদের সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এতে নীতিনির্ধারণ দ্রুত হবে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।
বাজেটে জনবান্ধব শুল্ককাঠামো থাকছে বলে দাবি করছেন বাজেট প্রণয়নে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনস্বার্থ বিবেচনায় হচ্ছে এবারের বাজেট। বাজেটে যেমন রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প, পরিবেশবান্ধব খাতসহ উৎপাদন খাতকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতে স্বস্তি মিলবে।
শুল্ক ব্যবস্থাপনার এসব পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে কর আদায় করতেই হবে। সব জিনিসের ওপর থেকে তো আর তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার কাছে এগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে। কারণ, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সহজ করা হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক ও বিলাসপণ্যে বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
শুল্ককাঠামোর রূপান্তর
দেশে প্রচলিত ৬টি স্তরের পরিবর্তে ৭টি শুল্ক স্তর করা হচ্ছে আগামী বাজেটে। শুল্ক স্তরগুলো হলো ০, ১, ৩, ৫, ১০, ১৫ এবং ২৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক (এসডি) স্তর ১২টি থেকে ১৩টি করা হচ্ছে। এগুলো হলো ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৪৫, ৬০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ৫০০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নতুন সংযোজন। এ ছাড়া আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কহারের সব পণ্যে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ বহাল রাখা হচ্ছে। তবে রেয়াতি সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডি প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সুপারিশ অনুযায়ী শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের ৭৯টি নতুন পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, ৩৬টি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধের কাঁচামাল এবং ২০ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) মওকুফ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া টোল ফর্মুলেশন সুবিধার (টিএফএফ) বাইরে আমদানি হওয়া ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। এখন থেকে টিএফএফ প্রক্রিয়ায় আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ হবে। ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ইনফিউশন ইত্যাদি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মেডিকেল প্লাস্টিক টিউব বা অংশের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর, কাপলার, অ্যাডাপ্টর, সিলিন্ডার সংযোগ অংশের থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটারিয়ালে বন্ড সুবিধায় ব্যবহৃত কাঁচামালের সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত স্টেরাইল কানেক্টরের কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে এটি উচ্চ শুল্কহারযুক্ত জেনারেল ক্যাটাগরিতে আমদানির কারণে খরচ বেড়ে যায়। বাড়তি খরচ এড়াতে এটির জন্য আলাদা কোডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে ক্যানসারের ওষুধ ও ইনসুলিন, ডায়ালাইসিস ও অপারেশন সরঞ্জামের দাম কমতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিনির শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টনে ৫০০ টাকা কমানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আমদানি ব্যয় কমবে, এতে বাজারে চিনির দাম কমতে পারে।
শিশুর খেলনার শুল্কায়ন মূল্য প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক ৫০ ডলার বাড়িয়ে ৪ ডলার নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ খেলনার দাম বাড়তে পারে।
যানবাহন খাতে ১৬ থেকে ৪০ সিটের বাস আমদানিতে সিডি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার আমদানিতে সিডি শূন্য থেকে ১০, ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণের সুপারিশ থাকছে।
প্রসাধন খাতের বিভিন্ন পণ্যে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানো হচ্ছে ১৫ শতাংশ। প্রসাধনীতে বর্তমানে ৩৫ শতাংশ এসডি থাকলেও তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে পারফিউম, বডি স্প্রে, বিলাসী ক্রিম ও মেকআপ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
ফ্রুট জুসের পানীয়তে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মোট করভার ২৮৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশে।
প্লাস্টিক ও পলিমারশিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল অ্যাডিটিভে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ৭৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন ডিসি মোটরের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ করা হচ্ছে।
কাগজ দিয়ে তৈরি ছোট-বড় প্যাকেট, ব্যাগ, লিফলেট প্যাকেজিং—যেগুলো সাধারণত খাবার, খুচরা পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক কমছে। আরেকা, শাল, সিয়ালি, পলাশপাতার পণ্যের জন্য নতুন এইচএস কোড চালু করা হচ্ছে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তুলনামূলক কম। এতে প্লাস্টিকে বিকল্প পণ্য জনপ্রিয় হবে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইস্পাতের কাঁচামালে শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা এবং ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রড, স্টিলের দাম কমবে; নির্মাণ খাতে খরচ হ্রাস পাবে।
নীতি সংস্কার
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক ফাঁকি রোধে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবার। একটি প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি ৩০ ইউনিট পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেফারেন্স ভ্যালু সিস্টেম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কাস্টমস রুল সহজীকরণ, গেজেট হালনাগাদের সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এতে নীতিনির্ধারণ দ্রুত হবে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।
বাজেটে জনবান্ধব শুল্ককাঠামো থাকছে বলে দাবি করছেন বাজেট প্রণয়নে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনস্বার্থ বিবেচনায় হচ্ছে এবারের বাজেট। বাজেটে যেমন রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প, পরিবেশবান্ধব খাতসহ উৎপাদন খাতকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতে স্বস্তি মিলবে।
শুল্ক ব্যবস্থাপনার এসব পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে কর আদায় করতেই হবে। সব জিনিসের ওপর থেকে তো আর তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার কাছে এগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে। কারণ, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সহজ করা হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক ও বিলাসপণ্যে বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
শুল্ককাঠামোর রূপান্তর
দেশে প্রচলিত ৬টি স্তরের পরিবর্তে ৭টি শুল্ক স্তর করা হচ্ছে আগামী বাজেটে। শুল্ক স্তরগুলো হলো ০, ১, ৩, ৫, ১০, ১৫ এবং ২৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক (এসডি) স্তর ১২টি থেকে ১৩টি করা হচ্ছে। এগুলো হলো ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৪৫, ৬০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ৫০০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নতুন সংযোজন। এ ছাড়া আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কহারের সব পণ্যে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ বহাল রাখা হচ্ছে। তবে রেয়াতি সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডি প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সুপারিশ অনুযায়ী শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের ৭৯টি নতুন পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, ৩৬টি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধের কাঁচামাল এবং ২০ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) মওকুফ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া টোল ফর্মুলেশন সুবিধার (টিএফএফ) বাইরে আমদানি হওয়া ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। এখন থেকে টিএফএফ প্রক্রিয়ায় আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ হবে। ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ইনফিউশন ইত্যাদি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মেডিকেল প্লাস্টিক টিউব বা অংশের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর, কাপলার, অ্যাডাপ্টর, সিলিন্ডার সংযোগ অংশের থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটারিয়ালে বন্ড সুবিধায় ব্যবহৃত কাঁচামালের সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত স্টেরাইল কানেক্টরের কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে এটি উচ্চ শুল্কহারযুক্ত জেনারেল ক্যাটাগরিতে আমদানির কারণে খরচ বেড়ে যায়। বাড়তি খরচ এড়াতে এটির জন্য আলাদা কোডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে ক্যানসারের ওষুধ ও ইনসুলিন, ডায়ালাইসিস ও অপারেশন সরঞ্জামের দাম কমতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিনির শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টনে ৫০০ টাকা কমানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আমদানি ব্যয় কমবে, এতে বাজারে চিনির দাম কমতে পারে।
শিশুর খেলনার শুল্কায়ন মূল্য প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক ৫০ ডলার বাড়িয়ে ৪ ডলার নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ খেলনার দাম বাড়তে পারে।
যানবাহন খাতে ১৬ থেকে ৪০ সিটের বাস আমদানিতে সিডি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার আমদানিতে সিডি শূন্য থেকে ১০, ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণের সুপারিশ থাকছে।
প্রসাধন খাতের বিভিন্ন পণ্যে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানো হচ্ছে ১৫ শতাংশ। প্রসাধনীতে বর্তমানে ৩৫ শতাংশ এসডি থাকলেও তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে পারফিউম, বডি স্প্রে, বিলাসী ক্রিম ও মেকআপ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
ফ্রুট জুসের পানীয়তে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মোট করভার ২৮৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশে।
প্লাস্টিক ও পলিমারশিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল অ্যাডিটিভে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ৭৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন ডিসি মোটরের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ করা হচ্ছে।
কাগজ দিয়ে তৈরি ছোট-বড় প্যাকেট, ব্যাগ, লিফলেট প্যাকেজিং—যেগুলো সাধারণত খাবার, খুচরা পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক কমছে। আরেকা, শাল, সিয়ালি, পলাশপাতার পণ্যের জন্য নতুন এইচএস কোড চালু করা হচ্ছে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তুলনামূলক কম। এতে প্লাস্টিকে বিকল্প পণ্য জনপ্রিয় হবে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইস্পাতের কাঁচামালে শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা এবং ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রড, স্টিলের দাম কমবে; নির্মাণ খাতে খরচ হ্রাস পাবে।
নীতি সংস্কার
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক ফাঁকি রোধে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবার। একটি প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি ৩০ ইউনিট পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেফারেন্স ভ্যালু সিস্টেম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কাস্টমস রুল সহজীকরণ, গেজেট হালনাগাদের সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এতে নীতিনির্ধারণ দ্রুত হবে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।
বাজেটে জনবান্ধব শুল্ককাঠামো থাকছে বলে দাবি করছেন বাজেট প্রণয়নে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনস্বার্থ বিবেচনায় হচ্ছে এবারের বাজেট। বাজেটে যেমন রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প, পরিবেশবান্ধব খাতসহ উৎপাদন খাতকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতে স্বস্তি মিলবে।
শুল্ক ব্যবস্থাপনার এসব পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে কর আদায় করতেই হবে। সব জিনিসের ওপর থেকে তো আর তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার কাছে এগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে। কারণ, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সহজ করা হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক ও বিলাসপণ্যে বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
শুল্ককাঠামোর রূপান্তর
দেশে প্রচলিত ৬টি স্তরের পরিবর্তে ৭টি শুল্ক স্তর করা হচ্ছে আগামী বাজেটে। শুল্ক স্তরগুলো হলো ০, ১, ৩, ৫, ১০, ১৫ এবং ২৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক (এসডি) স্তর ১২টি থেকে ১৩টি করা হচ্ছে। এগুলো হলো ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৪৫, ৬০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ৫০০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নতুন সংযোজন। এ ছাড়া আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কহারের সব পণ্যে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ বহাল রাখা হচ্ছে। তবে রেয়াতি সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডি প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সুপারিশ অনুযায়ী শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের ৭৯টি নতুন পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, ৩৬টি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধের কাঁচামাল এবং ২০ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) মওকুফ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া টোল ফর্মুলেশন সুবিধার (টিএফএফ) বাইরে আমদানি হওয়া ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। এখন থেকে টিএফএফ প্রক্রিয়ায় আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ হবে। ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ইনফিউশন ইত্যাদি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মেডিকেল প্লাস্টিক টিউব বা অংশের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর, কাপলার, অ্যাডাপ্টর, সিলিন্ডার সংযোগ অংশের থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটারিয়ালে বন্ড সুবিধায় ব্যবহৃত কাঁচামালের সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।
চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত স্টেরাইল কানেক্টরের কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে এটি উচ্চ শুল্কহারযুক্ত জেনারেল ক্যাটাগরিতে আমদানির কারণে খরচ বেড়ে যায়। বাড়তি খরচ এড়াতে এটির জন্য আলাদা কোডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে ক্যানসারের ওষুধ ও ইনসুলিন, ডায়ালাইসিস ও অপারেশন সরঞ্জামের দাম কমতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা আরও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিনির শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টনে ৫০০ টাকা কমানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আমদানি ব্যয় কমবে, এতে বাজারে চিনির দাম কমতে পারে।
শিশুর খেলনার শুল্কায়ন মূল্য প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক ৫০ ডলার বাড়িয়ে ৪ ডলার নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ খেলনার দাম বাড়তে পারে।
যানবাহন খাতে ১৬ থেকে ৪০ সিটের বাস আমদানিতে সিডি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার আমদানিতে সিডি শূন্য থেকে ১০, ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণের সুপারিশ থাকছে।
প্রসাধন খাতের বিভিন্ন পণ্যে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানো হচ্ছে ১৫ শতাংশ। প্রসাধনীতে বর্তমানে ৩৫ শতাংশ এসডি থাকলেও তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে পারফিউম, বডি স্প্রে, বিলাসী ক্রিম ও মেকআপ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
ফ্রুট জুসের পানীয়তে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মোট করভার ২৮৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশে।
প্লাস্টিক ও পলিমারশিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল অ্যাডিটিভে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ৭৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন ডিসি মোটরের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ করা হচ্ছে।
কাগজ দিয়ে তৈরি ছোট-বড় প্যাকেট, ব্যাগ, লিফলেট প্যাকেজিং—যেগুলো সাধারণত খাবার, খুচরা পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক কমছে। আরেকা, শাল, সিয়ালি, পলাশপাতার পণ্যের জন্য নতুন এইচএস কোড চালু করা হচ্ছে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তুলনামূলক কম। এতে প্লাস্টিকে বিকল্প পণ্য জনপ্রিয় হবে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইস্পাতের কাঁচামালে শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা এবং ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রড, স্টিলের দাম কমবে; নির্মাণ খাতে খরচ হ্রাস পাবে।
নীতি সংস্কার
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক ফাঁকি রোধে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবার। একটি প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিটি ৩০ ইউনিট পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের প্রকৃত মূল্য যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেফারেন্স ভ্যালু সিস্টেম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কাস্টমস রুল সহজীকরণ, গেজেট হালনাগাদের সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এতে নীতিনির্ধারণ দ্রুত হবে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে।
৩১ মে ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে।
৩১ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে।
৩১ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে।
৩১ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৯ ঘণ্টা আগে