ফারুক মেহেদী, ঢাকা

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না। অথচ ঠিকই ছাড় দিলেন কালোটাকার মালিকদের। ফলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী—কেউই।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সংকটের সময়ে বাজেটের আকার নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর গতানুগতিক বাজেটে সৃজনশীল কিছু না থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে। পাশাপাশি সমালোচনা হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকা ও কালো-টাকার বৈধতা নিয়েও। কেউ কেউ বিপুল অঙ্কের ব্যাংকঋণ, শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপসহ মোটাদাগে অসংখ্য পণ্যে শুল্ক-কর বসিয়ে মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানোর বিষয়টি নিয়েও সরব রয়েছেন।
বর্তমানে দেশে সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাজেটে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে আনার সংকল্প নিয়েছেন। যদিও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে কীভাবে কমবে, সে পথনকশা নেই তাঁর প্রস্তাবিত বাজেটে।
ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কিছুই পেলাম না বাজেটে। বাজারে এমনিতেই জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম। এর মধ্যে শুল্ক-কর আরোপের ফলে আরেক দফা দাম বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উচিত ছিল কার্যকর কিছু পদক্ষেপ জানানো।’
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কার কার গুদামে মজুত করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, সেগুলো
খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সব রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করতে হবে। শ্রীলঙ্কা যদি আকাশে উঠে যাওয়া মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৪-৫ শতাংশের ঘরে আনতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারি না।’
এফিবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর বাড়ালে স্বাভাবিকভাবেই তা ভোক্তার ওপরই পড়ে। আপনি যতই ট্যাক্স বাড়ান, ঋণ বাড়ান—যা কিছুই করবেন না কেন, খরচ বাড়বে জনগণের।
তা পণ্যের ওপর যোগ হয়ে দাম বাড়বে। সরকার যতই বলুক, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারবে—আসলে তো মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে।
অবাস্তব রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা
বাজেটে গতানুগতিকভাবে আবারও বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আগেরটির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায়ও ১০ মাসে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। সেখানে নতুন অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে অর্থমন্ত্রী আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে অনেক করছাড় কমিয়েছেন। নতুন নতুন খাতে কর বসিয়েছেন। মানুষের নিত্য ব্যবহার হয়, এমন অনেক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়িয়েছেন। ফলে সামনে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। নতুন করদাতা খোঁজা বা কর ফাঁকিবাজদের করের জালে আনার তেমন পদক্ষেপ নেই বলেও সমালোচনা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়ের নীতির সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম বলেন, ‘বাজেটে কর ফাঁকিবাজদের ধরতে তেমন কোনো কৌশলের দেখা পাইনি। নতুন করদাতা খুঁজতে হবে। আর বিদ্যমান কর কাঠামোতে কোনোভাবেই বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। এ জন্য সৃজনশীল করনীতির দরকার ছিল। বাজেটে এ নিয়ে নতুন তেমন কিছুই দেখিনি।’
ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণে নির্ভরতা
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে শুধু ব্যাংক থেকেই ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গিয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে সরকারের পৌনে ৭ শতাংশের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্য, তা পূরণ হবে না বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘সংকটের সময় বাজেটটি আরও ছোট করা দরকার ছিল। তাতে রাজস্ব আয়ের ওপর চাপ কম হতো। আর ঘাটতি বাজেট মেটাতে ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। এখন সরকার ব্যাংক থেকে বেশি ধার করবে। ফলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না।’
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ
বাজেটে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সৎ করদাতার ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। অভিযোগ করা হচ্ছে, এতে যাঁরা সৎ উপায়ে আয় করেন তাঁরা ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেবেন, এটা তাঁদের ওপর অবিচার করা হচ্ছে। এটা অনৈতিক। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কালোটাকা সাদা করার সুযোগের সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, এ ধরনের অনৈতিক সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিমও মনে করেন, এ ধরনের সুযোগ অনৈতিক কাজ, এটা হওয়া উচিত নয়। সম্ভবত সরকার বাধ্য হয়েই সুযোগটি দিয়েছে। কারণ দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠেকিয়ে অর্থনীতির মূলধারায় বিনিয়োগের সুযোগ দিতেই এটা করা হয়ে থাকতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে চুরি করবে। তারপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবে। এটা তো চোরদের উৎসাহিত করা এবং সৎ লোকদের সাজা দেওয়ার সমান।’
শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক
এত দিন শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শূন্য শুল্ক ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এতে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন এ খাতসংশ্লিষ্টরা। নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে খুবই সাদামাটা একটি বাজেট। সত্যি বলতে, আমি এতে কিছুই পাইনি। শুধু শিল্পের কাঁচামালেই নয়; বিভিন্ন খাতে কর আরোপ করা হয়েছে।
এমন একটা সময়ে এটা দরকার ছিল না।’ একই বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইমেনের প্রেসিডেন্ট মৌসুমী ইসলাম বলেন, শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক বসালে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। খরচ বেড়ে যাবে। ট্যারিফে যে সমতা থাকার কথা ছিল, সেটা রাখা হয়নি। এতে দেশীয় শিল্পের প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে।
সবার জন্য বাধ্যতামূলক পেনশন স্কিম
সরকারি চাকরিতে ঢুকলেই বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে থাকতে হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চলতি অর্থবছরে চালু হলেও এর নানা প্যাকেজে অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এ নিয়ে আন্দোলনও করছেন। তবে সাবেক সচিব ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা হতে পারে। তবে দেখতে হবে সুযোগ-সুবিধা যাতে না কমে; বরং সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবেশে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।’
সহায়তার বদলে পুঁজিবাজারে গেইন ট্যাক্স
বাজেটে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয় হলে ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স আরোপের কথা বলেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এ প্রস্তাব দিলেন, যখন পুঁজিবাজারে বড় পতনের ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বাজারে যেখানে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করার কথা বা প্রণোদনা দেওয়ার দাবি, সেখানে নতুন করে গেইন ট্যাক্স বাজারকে আরও অস্থির করবে বলে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।
বরাবরের মতো এবারও বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সহায়ক নীতি-সহায়তা নেই জানিয়ে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে কিছু নেই। নীতি-সহায়তা না দিলে হবে না। এমন সময় আমাদের শেয়ারবাজার ছিল জিডিপির ৩৩ শতাংশ। এখন ১২ শতাংশে চলে।’

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না। অথচ ঠিকই ছাড় দিলেন কালোটাকার মালিকদের। ফলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী—কেউই।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সংকটের সময়ে বাজেটের আকার নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর গতানুগতিক বাজেটে সৃজনশীল কিছু না থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে। পাশাপাশি সমালোচনা হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকা ও কালো-টাকার বৈধতা নিয়েও। কেউ কেউ বিপুল অঙ্কের ব্যাংকঋণ, শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপসহ মোটাদাগে অসংখ্য পণ্যে শুল্ক-কর বসিয়ে মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানোর বিষয়টি নিয়েও সরব রয়েছেন।
বর্তমানে দেশে সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাজেটে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে আনার সংকল্প নিয়েছেন। যদিও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে কীভাবে কমবে, সে পথনকশা নেই তাঁর প্রস্তাবিত বাজেটে।
ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কিছুই পেলাম না বাজেটে। বাজারে এমনিতেই জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম। এর মধ্যে শুল্ক-কর আরোপের ফলে আরেক দফা দাম বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উচিত ছিল কার্যকর কিছু পদক্ষেপ জানানো।’
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কার কার গুদামে মজুত করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, সেগুলো
খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সব রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করতে হবে। শ্রীলঙ্কা যদি আকাশে উঠে যাওয়া মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৪-৫ শতাংশের ঘরে আনতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারি না।’
এফিবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর বাড়ালে স্বাভাবিকভাবেই তা ভোক্তার ওপরই পড়ে। আপনি যতই ট্যাক্স বাড়ান, ঋণ বাড়ান—যা কিছুই করবেন না কেন, খরচ বাড়বে জনগণের।
তা পণ্যের ওপর যোগ হয়ে দাম বাড়বে। সরকার যতই বলুক, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারবে—আসলে তো মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে।
অবাস্তব রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা
বাজেটে গতানুগতিকভাবে আবারও বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আগেরটির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায়ও ১০ মাসে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। সেখানে নতুন অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে অর্থমন্ত্রী আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে অনেক করছাড় কমিয়েছেন। নতুন নতুন খাতে কর বসিয়েছেন। মানুষের নিত্য ব্যবহার হয়, এমন অনেক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়িয়েছেন। ফলে সামনে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। নতুন করদাতা খোঁজা বা কর ফাঁকিবাজদের করের জালে আনার তেমন পদক্ষেপ নেই বলেও সমালোচনা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়ের নীতির সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম বলেন, ‘বাজেটে কর ফাঁকিবাজদের ধরতে তেমন কোনো কৌশলের দেখা পাইনি। নতুন করদাতা খুঁজতে হবে। আর বিদ্যমান কর কাঠামোতে কোনোভাবেই বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। এ জন্য সৃজনশীল করনীতির দরকার ছিল। বাজেটে এ নিয়ে নতুন তেমন কিছুই দেখিনি।’
ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণে নির্ভরতা
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে শুধু ব্যাংক থেকেই ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গিয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে সরকারের পৌনে ৭ শতাংশের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্য, তা পূরণ হবে না বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘সংকটের সময় বাজেটটি আরও ছোট করা দরকার ছিল। তাতে রাজস্ব আয়ের ওপর চাপ কম হতো। আর ঘাটতি বাজেট মেটাতে ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। এখন সরকার ব্যাংক থেকে বেশি ধার করবে। ফলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না।’
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ
বাজেটে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সৎ করদাতার ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। অভিযোগ করা হচ্ছে, এতে যাঁরা সৎ উপায়ে আয় করেন তাঁরা ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেবেন, এটা তাঁদের ওপর অবিচার করা হচ্ছে। এটা অনৈতিক। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কালোটাকা সাদা করার সুযোগের সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, এ ধরনের অনৈতিক সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিমও মনে করেন, এ ধরনের সুযোগ অনৈতিক কাজ, এটা হওয়া উচিত নয়। সম্ভবত সরকার বাধ্য হয়েই সুযোগটি দিয়েছে। কারণ দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠেকিয়ে অর্থনীতির মূলধারায় বিনিয়োগের সুযোগ দিতেই এটা করা হয়ে থাকতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে চুরি করবে। তারপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবে। এটা তো চোরদের উৎসাহিত করা এবং সৎ লোকদের সাজা দেওয়ার সমান।’
শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক
এত দিন শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শূন্য শুল্ক ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এতে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন এ খাতসংশ্লিষ্টরা। নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে খুবই সাদামাটা একটি বাজেট। সত্যি বলতে, আমি এতে কিছুই পাইনি। শুধু শিল্পের কাঁচামালেই নয়; বিভিন্ন খাতে কর আরোপ করা হয়েছে।
এমন একটা সময়ে এটা দরকার ছিল না।’ একই বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইমেনের প্রেসিডেন্ট মৌসুমী ইসলাম বলেন, শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক বসালে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। খরচ বেড়ে যাবে। ট্যারিফে যে সমতা থাকার কথা ছিল, সেটা রাখা হয়নি। এতে দেশীয় শিল্পের প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে।
সবার জন্য বাধ্যতামূলক পেনশন স্কিম
সরকারি চাকরিতে ঢুকলেই বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে থাকতে হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চলতি অর্থবছরে চালু হলেও এর নানা প্যাকেজে অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এ নিয়ে আন্দোলনও করছেন। তবে সাবেক সচিব ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আজিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা হতে পারে। তবে দেখতে হবে সুযোগ-সুবিধা যাতে না কমে; বরং সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবেশে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।’
সহায়তার বদলে পুঁজিবাজারে গেইন ট্যাক্স
বাজেটে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয় হলে ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স আরোপের কথা বলেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এ প্রস্তাব দিলেন, যখন পুঁজিবাজারে বড় পতনের ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বাজারে যেখানে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করার কথা বা প্রণোদনা দেওয়ার দাবি, সেখানে নতুন করে গেইন ট্যাক্স বাজারকে আরও অস্থির করবে বলে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।
বরাবরের মতো এবারও বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সহায়ক নীতি-সহায়তা নেই জানিয়ে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে কিছু নেই। নীতি-সহায়তা না দিলে হবে না। এমন সময় আমাদের শেয়ারবাজার ছিল জিডিপির ৩৩ শতাংশ। এখন ১২ শতাংশে চলে।’

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
১৬ মিনিট আগে
নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
১৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় রিহ্যাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও মিডিয়া স্টানিং কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে চারটি ডায়মন্ড স্পনসর, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ১০টি কো-স্পনসর, ১৪টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ও ১২টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ টিকিটের মূল্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা ও মাল্টিপল এন্ট্রি ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থ রিহ্যাবের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন রাত ৯টায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
রিহ্যাব নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ আবাসন খাতে নতুন গতি আনবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছে না; বরং সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রড-সিমেন্টসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে নির্মাণ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার ক্রেতাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ফ্ল্যাট ও প্লট কেনাবেচা, গৃহঋণ সুবিধা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক নির্মাণসামগ্রী যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ব্যস্ত জীবনে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে এ মেলা ক্রেতাদের জন্য সময় ও সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা, ২০২৫-এ পুরোনো জটিলতা ও বৈষম্য অনেকাংশে দূর করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ ও বিধিমালা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং আবাসন খাতকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
তিন দিন ছুটি থাকায় এবারের মেলায় লোকসমাগম অনেক বাড়বে—এমন প্রত্যাশা করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু একটি প্রদর্শনী নয়; এটি ক্রেতা ও ডেভেলপারদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মান, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় রিহ্যাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও মিডিয়া স্টানিং কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে চারটি ডায়মন্ড স্পনসর, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ১০টি কো-স্পনসর, ১৪টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ও ১২টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ টিকিটের মূল্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা ও মাল্টিপল এন্ট্রি ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থ রিহ্যাবের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন রাত ৯টায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
রিহ্যাব নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ আবাসন খাতে নতুন গতি আনবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছে না; বরং সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রড-সিমেন্টসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে নির্মাণ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার ক্রেতাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ফ্ল্যাট ও প্লট কেনাবেচা, গৃহঋণ সুবিধা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক নির্মাণসামগ্রী যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ব্যস্ত জীবনে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে এ মেলা ক্রেতাদের জন্য সময় ও সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা, ২০২৫-এ পুরোনো জটিলতা ও বৈষম্য অনেকাংশে দূর করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ ও বিধিমালা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং আবাসন খাতকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
তিন দিন ছুটি থাকায় এবারের মেলায় লোকসমাগম অনেক বাড়বে—এমন প্রত্যাশা করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু একটি প্রদর্শনী নয়; এটি ক্রেতা ও ডেভেলপারদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মান, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না।
০৮ জুন ২০২৪
নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
১৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সিমের ওপর কর ও ভ্যাট কমানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, নগদবিহীন লেনদেন প্রসারে একক ও আন্তসংযোগ-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম চালুর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন অংশগ্রহণকারীরা। প্রস্তাবগুলো পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত আকারে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলা কিউআর’ চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাপ ব্যবহার করে নগদবিহীন লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ৪৩টি ব্যাংক, ৫টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ৩টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) যুক্ত রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অভাব, সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট ব্যয় এবং অতিরিক্ত চার্জের কারণে প্রান্তিক ও সাধারণ গ্রাহকদের বড় একটি অংশ এই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে।
এই বাস্তবতায় স্মার্টফোন কেনায় নগদ সহায়তা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। পাশাপাশি মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাকে সাশ্রয়ী করতে অপারেটরদের জন্য ভ্যাট ও করছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের খুচরা লেনদেনের অন্তত ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে সব ধরনের লেনদেন ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর চার স্তম্ভ—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ বাস্তবায়নের অংশ। এই লক্ষ্যে ব্যাংক, এমএফএস, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেমেন্ট সেবাদাতাকে একটি একক আন্তসংযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ চলছে। ইন্টারঅপারেবিলিটি পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সহজে টাকা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরিই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশকে ক্যাশলেস করতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছাতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিগগির সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা ‘রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেম’ চালুর কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পেমেন্ট সিস্টেম প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে এখনো ৭২ শতাংশের বেশি লেনদেন নগদে হচ্ছে। যদিও ছোট ও মাঝারি অঙ্কের লেনদেনে ডিজিটাল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নিশ্চিত করা ছাড়া ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নগদনির্ভরতা কমাতে হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। একবার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে মুদ্রণ ব্যয়সহ আর্থিক ব্যবস্থাপনার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাশ ইজ কিং’ ধারণা এখনো বাস্তবতা। দেশের অধিকাংশ লেনদেন অনানুষ্ঠানিক খাতে হয়। এসব খাতকে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় না আনলে ক্যাশলেস সমাজ গড়া কঠিন। নগদে স্বচ্ছন্দ থাকার পুরোনো মানসিকতার কারণে এই রূপান্তরে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।

নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সিমের ওপর কর ও ভ্যাট কমানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, নগদবিহীন লেনদেন প্রসারে একক ও আন্তসংযোগ-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম চালুর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন অংশগ্রহণকারীরা। প্রস্তাবগুলো পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত আকারে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলা কিউআর’ চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাপ ব্যবহার করে নগদবিহীন লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ৪৩টি ব্যাংক, ৫টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ৩টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) যুক্ত রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অভাব, সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট ব্যয় এবং অতিরিক্ত চার্জের কারণে প্রান্তিক ও সাধারণ গ্রাহকদের বড় একটি অংশ এই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে।
এই বাস্তবতায় স্মার্টফোন কেনায় নগদ সহায়তা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। পাশাপাশি মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাকে সাশ্রয়ী করতে অপারেটরদের জন্য ভ্যাট ও করছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের খুচরা লেনদেনের অন্তত ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে সব ধরনের লেনদেন ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর চার স্তম্ভ—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ বাস্তবায়নের অংশ। এই লক্ষ্যে ব্যাংক, এমএফএস, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেমেন্ট সেবাদাতাকে একটি একক আন্তসংযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ চলছে। ইন্টারঅপারেবিলিটি পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সহজে টাকা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরিই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশকে ক্যাশলেস করতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছাতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিগগির সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা ‘রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেম’ চালুর কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পেমেন্ট সিস্টেম প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে এখনো ৭২ শতাংশের বেশি লেনদেন নগদে হচ্ছে। যদিও ছোট ও মাঝারি অঙ্কের লেনদেনে ডিজিটাল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নিশ্চিত করা ছাড়া ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নগদনির্ভরতা কমাতে হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। একবার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে মুদ্রণ ব্যয়সহ আর্থিক ব্যবস্থাপনার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাশ ইজ কিং’ ধারণা এখনো বাস্তবতা। দেশের অধিকাংশ লেনদেন অনানুষ্ঠানিক খাতে হয়। এসব খাতকে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় না আনলে ক্যাশলেস সমাজ গড়া কঠিন। নগদে স্বচ্ছন্দ থাকার পুরোনো মানসিকতার কারণে এই রূপান্তরে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না।
০৮ জুন ২০২৪
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
১৬ মিনিট আগে
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
১৭ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১ দিন আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না।
০৮ জুন ২০২৪
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
১৬ মিনিট আগে
নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশাও ছিল নতুন কিছুর; কিন্তু তা আর হলো না। পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। করের জাল বিছিয়ে চাপ বাড়ালেন জনগণের ওপর। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়ে মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা, তা থেকে মুক্তির কোনো দিশা দেখাতে পারলেন না।
০৮ জুন ২০২৪
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট
১৬ মিনিট আগে
নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
১৭ ঘণ্টা আগে