
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৬ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৬ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৬ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে