
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে