মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে