রোকন উদ্দীন, ঢাকা

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এ ইস্যুতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে। অথচ এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়।
সরকারের ভাষায়, এই উত্তরণ আর পেছানোর সুযোগ নেই। জাতিসংঘের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠবে। এ জন্য চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে গঠন করা হয় ৬ সদস্যের স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়ন কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
যদিও উত্তরণের মূল চালক বেসরকারি খাতই এখন বড় আপত্তি জানাচ্ছে। তারা বলছে, ঘাটতি বহুমাত্রিক। সরকার প্রস্তুতির কথা বললেও মাঠপর্যায়ে কিছুই দৃশ্যমান নয়। তাদের মতে, শুধু অবকাঠামোর চিত্র নয়—ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হালকা প্রকৌশলসহ রপ্তানিমুখী প্রায় সব খাতেই ঘাটতি স্পষ্ট। মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারের কার্যকর যোগাযোগ নেই—অর্থাৎ, তাঁরা কার্যত অন্ধকারেই রয়েছেন। এত অল্প সময়ে কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবেন, তা নিয়েও শঙ্কা স্পষ্ট।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সরকারের নিজেদেরই নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি, রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে এফটিএ, আরটিএ ও পিটিএর মতো নতুন বাণিজ্য চুক্তি হয়নি; বরং ব্যবসার খরচ বাড়ছে। ঋণের সুদ বেশি, বন্দর ব্যবহারের খরচও বাড়ছে। গার্মেন্টস ছাড়া অন্য খাতে শ্রমিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হয়নি। এগুলোর উন্নয়নে সরকার-ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয়েছে, তা কেবল লোকদেখানো। কার্যকর কিছু হয়নি।’
সরকারি উদ্যোগে ধীরগতি
এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রশ্নে সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছিল—ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, জাতীয় শুল্কনীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন, জাতীয় লজিস্টিকস নীতি ২০২৪-এর মূল কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করা, সাভার ট্যানারিপল্লির ইটিপি সম্পন্ন করা এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক সম্পূর্ণ চালু করা; কিন্তু এগুলোর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশগুলোতে অগ্রগতি খুবই সীমিত। কমিটির বৈঠকও হয়েছে অল্প কয়েকটি। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয়।’
তবে কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘অর্থনীতি এখন অনেক গতিশীল। নেপাল ও লাওস যখন পেরেছে, তখন বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ নেই। অনেক সূচকেই উন্নতি হয়েছে, তাই উত্তরণে তেমন সমস্যা দেখছি না।’
ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত
বেসরকারি খাতের নেতারা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁদের অংশগ্রহণ নেই। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এগোচ্ছে। সমন্বয় নেই, তথ্য নেই, আলোচনাও নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৪ আগস্ট দেশের ১৬টি শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এলডিসি উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখনই উত্তরণ মানে বড় ধাক্কা। কিছুটা সময় পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আসিয়ান জোট ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পন্ন করা যেত।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে রপ্তানি ও ওষুধশিল্প
দেশের রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি মর্যাদা হারালে শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাবে। ফলে ইইউসহ বড় বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়মিত শুল্ক বসবে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রয়েছে ওষুধশিল্পে। বর্তমানে এলডিসি মর্যাদার কারণে খাতটি পেটেন্ট ছাড় পায়—ফলে নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ উৎপাদন করা যায়। উত্তরণের পর সেই ছাড় উঠে গেলে বিদেশি কোম্পানির লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদন সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হতে পারে।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ওষুধের অনুমোদন চেয়ে রেখেছি, যেন উত্তরণের আগে বাজারে আনতে পারি। কিন্তু প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, এতে বাজার হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।’

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এ ইস্যুতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে। অথচ এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়।
সরকারের ভাষায়, এই উত্তরণ আর পেছানোর সুযোগ নেই। জাতিসংঘের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠবে। এ জন্য চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে গঠন করা হয় ৬ সদস্যের স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়ন কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
যদিও উত্তরণের মূল চালক বেসরকারি খাতই এখন বড় আপত্তি জানাচ্ছে। তারা বলছে, ঘাটতি বহুমাত্রিক। সরকার প্রস্তুতির কথা বললেও মাঠপর্যায়ে কিছুই দৃশ্যমান নয়। তাদের মতে, শুধু অবকাঠামোর চিত্র নয়—ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হালকা প্রকৌশলসহ রপ্তানিমুখী প্রায় সব খাতেই ঘাটতি স্পষ্ট। মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারের কার্যকর যোগাযোগ নেই—অর্থাৎ, তাঁরা কার্যত অন্ধকারেই রয়েছেন। এত অল্প সময়ে কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবেন, তা নিয়েও শঙ্কা স্পষ্ট।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সরকারের নিজেদেরই নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি, রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে এফটিএ, আরটিএ ও পিটিএর মতো নতুন বাণিজ্য চুক্তি হয়নি; বরং ব্যবসার খরচ বাড়ছে। ঋণের সুদ বেশি, বন্দর ব্যবহারের খরচও বাড়ছে। গার্মেন্টস ছাড়া অন্য খাতে শ্রমিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হয়নি। এগুলোর উন্নয়নে সরকার-ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয়েছে, তা কেবল লোকদেখানো। কার্যকর কিছু হয়নি।’
সরকারি উদ্যোগে ধীরগতি
এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রশ্নে সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছিল—ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, জাতীয় শুল্কনীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন, জাতীয় লজিস্টিকস নীতি ২০২৪-এর মূল কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করা, সাভার ট্যানারিপল্লির ইটিপি সম্পন্ন করা এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক সম্পূর্ণ চালু করা; কিন্তু এগুলোর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশগুলোতে অগ্রগতি খুবই সীমিত। কমিটির বৈঠকও হয়েছে অল্প কয়েকটি। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয়।’
তবে কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘অর্থনীতি এখন অনেক গতিশীল। নেপাল ও লাওস যখন পেরেছে, তখন বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ নেই। অনেক সূচকেই উন্নতি হয়েছে, তাই উত্তরণে তেমন সমস্যা দেখছি না।’
ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত
বেসরকারি খাতের নেতারা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁদের অংশগ্রহণ নেই। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এগোচ্ছে। সমন্বয় নেই, তথ্য নেই, আলোচনাও নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৪ আগস্ট দেশের ১৬টি শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এলডিসি উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখনই উত্তরণ মানে বড় ধাক্কা। কিছুটা সময় পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আসিয়ান জোট ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পন্ন করা যেত।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে রপ্তানি ও ওষুধশিল্প
দেশের রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি মর্যাদা হারালে শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাবে। ফলে ইইউসহ বড় বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়মিত শুল্ক বসবে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রয়েছে ওষুধশিল্পে। বর্তমানে এলডিসি মর্যাদার কারণে খাতটি পেটেন্ট ছাড় পায়—ফলে নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ উৎপাদন করা যায়। উত্তরণের পর সেই ছাড় উঠে গেলে বিদেশি কোম্পানির লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদন সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হতে পারে।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ওষুধের অনুমোদন চেয়ে রেখেছি, যেন উত্তরণের আগে বাজারে আনতে পারি। কিন্তু প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, এতে বাজার হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।’
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এ ইস্যুতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে। অথচ এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়।
সরকারের ভাষায়, এই উত্তরণ আর পেছানোর সুযোগ নেই। জাতিসংঘের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠবে। এ জন্য চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে গঠন করা হয় ৬ সদস্যের স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়ন কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
যদিও উত্তরণের মূল চালক বেসরকারি খাতই এখন বড় আপত্তি জানাচ্ছে। তারা বলছে, ঘাটতি বহুমাত্রিক। সরকার প্রস্তুতির কথা বললেও মাঠপর্যায়ে কিছুই দৃশ্যমান নয়। তাদের মতে, শুধু অবকাঠামোর চিত্র নয়—ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হালকা প্রকৌশলসহ রপ্তানিমুখী প্রায় সব খাতেই ঘাটতি স্পষ্ট। মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারের কার্যকর যোগাযোগ নেই—অর্থাৎ, তাঁরা কার্যত অন্ধকারেই রয়েছেন। এত অল্প সময়ে কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবেন, তা নিয়েও শঙ্কা স্পষ্ট।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সরকারের নিজেদেরই নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি, রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে এফটিএ, আরটিএ ও পিটিএর মতো নতুন বাণিজ্য চুক্তি হয়নি; বরং ব্যবসার খরচ বাড়ছে। ঋণের সুদ বেশি, বন্দর ব্যবহারের খরচও বাড়ছে। গার্মেন্টস ছাড়া অন্য খাতে শ্রমিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হয়নি। এগুলোর উন্নয়নে সরকার-ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয়েছে, তা কেবল লোকদেখানো। কার্যকর কিছু হয়নি।’
সরকারি উদ্যোগে ধীরগতি
এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রশ্নে সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছিল—ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, জাতীয় শুল্কনীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন, জাতীয় লজিস্টিকস নীতি ২০২৪-এর মূল কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করা, সাভার ট্যানারিপল্লির ইটিপি সম্পন্ন করা এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক সম্পূর্ণ চালু করা; কিন্তু এগুলোর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশগুলোতে অগ্রগতি খুবই সীমিত। কমিটির বৈঠকও হয়েছে অল্প কয়েকটি। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয়।’
তবে কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘অর্থনীতি এখন অনেক গতিশীল। নেপাল ও লাওস যখন পেরেছে, তখন বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ নেই। অনেক সূচকেই উন্নতি হয়েছে, তাই উত্তরণে তেমন সমস্যা দেখছি না।’
ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত
বেসরকারি খাতের নেতারা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁদের অংশগ্রহণ নেই। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এগোচ্ছে। সমন্বয় নেই, তথ্য নেই, আলোচনাও নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৪ আগস্ট দেশের ১৬টি শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এলডিসি উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখনই উত্তরণ মানে বড় ধাক্কা। কিছুটা সময় পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আসিয়ান জোট ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পন্ন করা যেত।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে রপ্তানি ও ওষুধশিল্প
দেশের রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি মর্যাদা হারালে শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাবে। ফলে ইইউসহ বড় বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়মিত শুল্ক বসবে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রয়েছে ওষুধশিল্পে। বর্তমানে এলডিসি মর্যাদার কারণে খাতটি পেটেন্ট ছাড় পায়—ফলে নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ উৎপাদন করা যায়। উত্তরণের পর সেই ছাড় উঠে গেলে বিদেশি কোম্পানির লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদন সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হতে পারে।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ওষুধের অনুমোদন চেয়ে রেখেছি, যেন উত্তরণের আগে বাজারে আনতে পারি। কিন্তু প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, এতে বাজার হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।’

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এ ইস্যুতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে। অথচ এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়।
সরকারের ভাষায়, এই উত্তরণ আর পেছানোর সুযোগ নেই। জাতিসংঘের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠবে। এ জন্য চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে গঠন করা হয় ৬ সদস্যের স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়ন কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
যদিও উত্তরণের মূল চালক বেসরকারি খাতই এখন বড় আপত্তি জানাচ্ছে। তারা বলছে, ঘাটতি বহুমাত্রিক। সরকার প্রস্তুতির কথা বললেও মাঠপর্যায়ে কিছুই দৃশ্যমান নয়। তাদের মতে, শুধু অবকাঠামোর চিত্র নয়—ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হালকা প্রকৌশলসহ রপ্তানিমুখী প্রায় সব খাতেই ঘাটতি স্পষ্ট। মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারের কার্যকর যোগাযোগ নেই—অর্থাৎ, তাঁরা কার্যত অন্ধকারেই রয়েছেন। এত অল্প সময়ে কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবেন, তা নিয়েও শঙ্কা স্পষ্ট।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সরকারের নিজেদেরই নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি, রপ্তানি বাজার টিকিয়ে রাখতে এফটিএ, আরটিএ ও পিটিএর মতো নতুন বাণিজ্য চুক্তি হয়নি; বরং ব্যবসার খরচ বাড়ছে। ঋণের সুদ বেশি, বন্দর ব্যবহারের খরচও বাড়ছে। গার্মেন্টস ছাড়া অন্য খাতে শ্রমিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হয়নি। এগুলোর উন্নয়নে সরকার-ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয়েছে, তা কেবল লোকদেখানো। কার্যকর কিছু হয়নি।’
সরকারি উদ্যোগে ধীরগতি
এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রশ্নে সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছিল—ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, জাতীয় শুল্কনীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন, জাতীয় লজিস্টিকস নীতি ২০২৪-এর মূল কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করা, সাভার ট্যানারিপল্লির ইটিপি সম্পন্ন করা এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক সম্পূর্ণ চালু করা; কিন্তু এগুলোর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশগুলোতে অগ্রগতি খুবই সীমিত। কমিটির বৈঠকও হয়েছে অল্প কয়েকটি। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয়।’
তবে কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘অর্থনীতি এখন অনেক গতিশীল। নেপাল ও লাওস যখন পেরেছে, তখন বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ নেই। অনেক সূচকেই উন্নতি হয়েছে, তাই উত্তরণে তেমন সমস্যা দেখছি না।’
ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত
বেসরকারি খাতের নেতারা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁদের অংশগ্রহণ নেই। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এগোচ্ছে। সমন্বয় নেই, তথ্য নেই, আলোচনাও নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৪ আগস্ট দেশের ১৬টি শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এলডিসি উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখনই উত্তরণ মানে বড় ধাক্কা। কিছুটা সময় পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আসিয়ান জোট ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পন্ন করা যেত।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে রপ্তানি ও ওষুধশিল্প
দেশের রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি মর্যাদা হারালে শুল্কমুক্ত সুবিধা উঠে যাবে। ফলে ইইউসহ বড় বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়মিত শুল্ক বসবে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রয়েছে ওষুধশিল্পে। বর্তমানে এলডিসি মর্যাদার কারণে খাতটি পেটেন্ট ছাড় পায়—ফলে নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ উৎপাদন করা যায়। উত্তরণের পর সেই ছাড় উঠে গেলে বিদেশি কোম্পানির লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদন সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হতে পারে।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ওষুধের অনুমোদন চেয়ে রেখেছি, যেন উত্তরণের আগে বাজারে আনতে পারি। কিন্তু প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, এতে বাজার হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।’

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
১ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের...
০৭ অক্টোবর ২০২৫
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের...
০৭ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
১ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের...
০৭ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
১ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

দেশের অর্থনীতি এবং তার চালকেরা এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘের তালিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ২৬ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হাতে সময় মাত্র ১৪ মাস, তবু প্রশ্ন উঠছে—দেশ কি সত্যিই প্রস্তুত? জাতিসংঘের...
০৭ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
১ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে