Ajker Patrika

আজকের পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করছে: ড. মো. গোলাম রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক ও সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০: ০৬
আজকের পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করছে: ড. মো. গোলাম রহমান

আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেছেন, ‘আজকের পত্রিকা বাংলাদেশের অনেকগুলো পত্রিকার মধ্যে সাম্প্রতিক একটি পত্রিকা। অল্প দিনে এই পত্রিকা পাঠকেরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। পত্রিকাটি সুধীমহলে প্রশংসিত হয়েছে। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এই সংবাদপত্রকে একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে দৃষ্টিনিরপেক্ষ, নির্মোহভাবে সংবাদটি উপস্থাপন করে সংবাদের বিভিন্ন বিষয়-আশয় আলোচনা-পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করার। পাঠকসমাজ কত সময় পত্রিকা পড়ে, কী চায়, সেটা গবেষণা করে আমরা পত্রিকায় সংবাদ উপস্থাপন করে থাকি। পাঠকের আগ্রহ-উৎসাহকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু নিয়ে আমরা আমাদের পত্রিকার পৃষ্ঠাগুলো সাজানোর চেষ্টা করি।’ 

আজ শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের হক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় আজকের পত্রিকার সিলেট অফিস উদ্বোধন-পূর্ব আলোচনায় ড. মো. গোলাম রহমান এসব কথা বলেন। 

ড. মো. গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘স্থানীয় সংবাদের যে গুরুত্ব, সেটা যারা যে স্থানে থাকে, তারাই বোঝে। মানুষ তার আশপাশের সংবাদকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, দূরের সংবাদকে ততটা গুরুত্ব দেয় না। মানুষের সংবাদ জানার যে চাহিদা, সেটা তার মনোজাগতিক একটি প্রয়োজন। যে কারণে আমাদের আজকের পত্রিকা সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক। আমাদের পত্রিকায় দেশসেরা বিভিন্ন অভিজ্ঞ সাংবাদিক রয়েছেন। সংবাদ বা তথ্যের যে চাহিদা, সেটা আমরা মাথায় রেখেছি। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমাদের অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা কাজ করে যাচ্ছেন।’ 

আজকের পত্রিকার সিলেট অফিস উদ্বোধনের সময় আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন ড. মো. গোলাম রহমানআলোচনা সভায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট) ইয়াহ্ইয়া মারুফ সঞ্চালনা করেন। পত্রিকাটি নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সভায় বক্তব্য দেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, স্থানীয় দৈনিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নূর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মু. আনোয়ার হোসেন রনি, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, সংবাদপত্র পরিবেশক সিকান্দর আলী প্রমুখ। 

পরে একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীতশিল্পী সুষমা দাশসহ অতিথিদের নিয়ে অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান ফিতা কেটে অফিস উদ্বোধন করেন। 

আলোচনায় সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘দুই বছর ধরে আজকের পত্রিকা পড়ছি। ট্র্যাডিশনাল ধারা থেকে বর্তমানে পত্রিকাগুলো বেরিয়ে গেছে। উপসম্পাদকীয় লেখা এখন পত্রিকায় তেমন হয় না। সংবাদপত্রের অতিকথনে বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। পত্রিকা এবং সাংবাদিকের ইতিকথা যদি এক না হয়, তাহলে সমস্যা। আজকের পত্রিকা প্রগতিশীল একটি পত্রিকা। সবাই এক হয়ে কাজ করলে পত্রিকাটি এগিয়ে যাবে।’ 

সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নুর বলেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক একজন সাংবাদিকতার শিক্ষক। তিনি বাসসের চেয়ারম্যান ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধও করেছেন। বর্তমানে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পত্রিকাগুলো কোনোরকম ঠিকে আছে। সেই করোনার সময়ে প্রতিষ্ঠা হওয়া আজকের পত্রিকা বর্তমানে দেশের প্রথম সারির মিডিয়ায় ভালো অবস্থানে আছে। সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য পত্রিকায় রাখতে পারলে ভালো হয়। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো প্রধান ও লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমনকুমার দাশ, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাস, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সিলেটের সভাপতি বিলকিস আক্তার সুমি, সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবর্ণা হামিদ, কবি ও ব্যাংকার সুমন বনিক, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ডেইলি স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দ্বোহা চৌধুরী, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিলেট প্রতিনিধি বাপ্পা মৈত্র, দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার মিঠু দাশ জয়, মাই টিভির সিলেট প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দাস, সাংবাদিক শাহিন আহমদ, সুব্রত দাস, ফারুক আহমদ, ব্যবসায়ী মো. লুৎফুর রহমান মোহন, আজকের পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি লবীব আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবিদুর রহমান, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি মিনহাজ মির্জা, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি জামাল মিয়া, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভীর হাসানসহ সিলেটের সুশীল, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার: বিএনপিএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।

বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।

‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন

­যশোর প্রতিনিধি
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।

এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।

এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।

আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত