সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে