সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ
লবীব আহমদ, সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। অভিযোগ, দেড় যুগ ধরে একই কর্মস্থলে থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে আবুল কালাম ২০০৬ সালের নভেম্বরে যোগদান করেন। তাঁর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণসহ ২০২৩ সালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকেরা মাউশি বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও দুবার মাউশি বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো কাজ হয়নি।
যেভাবে স্বাক্ষর জাল
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান আহমদ নিয়মিত অফিস করেন না। এ সুযোগে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজেটে স্বাক্ষর করে সেই টাকা হাতিয়ে নেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাঁর মাউশির একটি কাগজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জায়গায় তাঁর স্বাক্ষর জাল করেন আবুল কালাম।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘শুধু এটা নয়, এ রকম সবকিছুতেই শিক্ষা কর্মকর্তার পরিবর্তে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম আজাদ।’ আবুল কালামের এই জালিয়াতির কারণে নিজের স্বাক্ষর দুই-দুইবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান। স্বাক্ষর নিজে পরিবর্তন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে।
যত জাল-জালিয়াতি
উপজেলার বর্ণি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানের নিবন্ধনসহ বিএড ডিগ্রি না থাকার বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এটা জানতে পারেন আবুল কালাম। আর তখন সাজ্জাদুর রহমানকে নিবন্ধন, বিএড ডিগ্রির সার্টিফিকেট মিলিয়ে দেওয়াসহ সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন আবুল কালাম। তবে শর্ত দেন, তাঁর শ্যালিকা ইয়াছমিন আক্তারকে ওই স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাজ্জাদুর রহমানের জাল সার্টিফিকেটের কারণে তিনবার রিজেক্ট করলেও আবুল কালামের অবৈধ সুবিধা নিয়ে তিনি এখনো বহাল রয়েছেন কর্মস্থলে।
এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে নিজের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন আবুল কালাম। সেখানেও ব্যবহার করেছিলেন জাল সনদ। পরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মাউশিতে অভিযোগ করলে কমিটি কর্তৃক তাঁর বেতনাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুয়া সনদ দিয়ে তাঁর আরেক শ্যালিকা নাছরিন সুলতানাকে রনিখাই হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে একই পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই মাউশির পরিচালক বরাবর ৯টি স্কুল-মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক একটি অভিযোগ করেন। সেখানে তাঁরা ১০টি পয়েন্টে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ভালো থাকায় সেটার আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, ‘উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক আমার ওপর হিংসাত্মক হয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের জন্য আমার স্ত্রীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ বলেন, ‘আর আবুল কালামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও আমি আমার আগেরটা পরিবর্তন করেছি।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। অভিযোগ, দেড় যুগ ধরে একই কর্মস্থলে থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে আবুল কালাম ২০০৬ সালের নভেম্বরে যোগদান করেন। তাঁর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণসহ ২০২৩ সালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকেরা মাউশি বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও দুবার মাউশি বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো কাজ হয়নি।
যেভাবে স্বাক্ষর জাল
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান আহমদ নিয়মিত অফিস করেন না। এ সুযোগে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজেটে স্বাক্ষর করে সেই টাকা হাতিয়ে নেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাঁর মাউশির একটি কাগজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জায়গায় তাঁর স্বাক্ষর জাল করেন আবুল কালাম।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘শুধু এটা নয়, এ রকম সবকিছুতেই শিক্ষা কর্মকর্তার পরিবর্তে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম আজাদ।’ আবুল কালামের এই জালিয়াতির কারণে নিজের স্বাক্ষর দুই-দুইবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান। স্বাক্ষর নিজে পরিবর্তন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে।
যত জাল-জালিয়াতি
উপজেলার বর্ণি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানের নিবন্ধনসহ বিএড ডিগ্রি না থাকার বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এটা জানতে পারেন আবুল কালাম। আর তখন সাজ্জাদুর রহমানকে নিবন্ধন, বিএড ডিগ্রির সার্টিফিকেট মিলিয়ে দেওয়াসহ সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন আবুল কালাম। তবে শর্ত দেন, তাঁর শ্যালিকা ইয়াছমিন আক্তারকে ওই স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাজ্জাদুর রহমানের জাল সার্টিফিকেটের কারণে তিনবার রিজেক্ট করলেও আবুল কালামের অবৈধ সুবিধা নিয়ে তিনি এখনো বহাল রয়েছেন কর্মস্থলে।
এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে নিজের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন আবুল কালাম। সেখানেও ব্যবহার করেছিলেন জাল সনদ। পরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মাউশিতে অভিযোগ করলে কমিটি কর্তৃক তাঁর বেতনাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুয়া সনদ দিয়ে তাঁর আরেক শ্যালিকা নাছরিন সুলতানাকে রনিখাই হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে একই পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই মাউশির পরিচালক বরাবর ৯টি স্কুল-মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক একটি অভিযোগ করেন। সেখানে তাঁরা ১০টি পয়েন্টে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ভালো থাকায় সেটার আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, ‘উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক আমার ওপর হিংসাত্মক হয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের জন্য আমার স্ত্রীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ বলেন, ‘আর আবুল কালামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও আমি আমার আগেরটা পরিবর্তন করেছি।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ
লবীব আহমদ, সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। অভিযোগ, দেড় যুগ ধরে একই কর্মস্থলে থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে আবুল কালাম ২০০৬ সালের নভেম্বরে যোগদান করেন। তাঁর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণসহ ২০২৩ সালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকেরা মাউশি বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও দুবার মাউশি বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো কাজ হয়নি।
যেভাবে স্বাক্ষর জাল
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান আহমদ নিয়মিত অফিস করেন না। এ সুযোগে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজেটে স্বাক্ষর করে সেই টাকা হাতিয়ে নেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাঁর মাউশির একটি কাগজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জায়গায় তাঁর স্বাক্ষর জাল করেন আবুল কালাম।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘শুধু এটা নয়, এ রকম সবকিছুতেই শিক্ষা কর্মকর্তার পরিবর্তে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম আজাদ।’ আবুল কালামের এই জালিয়াতির কারণে নিজের স্বাক্ষর দুই-দুইবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান। স্বাক্ষর নিজে পরিবর্তন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে।
যত জাল-জালিয়াতি
উপজেলার বর্ণি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানের নিবন্ধনসহ বিএড ডিগ্রি না থাকার বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এটা জানতে পারেন আবুল কালাম। আর তখন সাজ্জাদুর রহমানকে নিবন্ধন, বিএড ডিগ্রির সার্টিফিকেট মিলিয়ে দেওয়াসহ সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন আবুল কালাম। তবে শর্ত দেন, তাঁর শ্যালিকা ইয়াছমিন আক্তারকে ওই স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাজ্জাদুর রহমানের জাল সার্টিফিকেটের কারণে তিনবার রিজেক্ট করলেও আবুল কালামের অবৈধ সুবিধা নিয়ে তিনি এখনো বহাল রয়েছেন কর্মস্থলে।
এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে নিজের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন আবুল কালাম। সেখানেও ব্যবহার করেছিলেন জাল সনদ। পরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মাউশিতে অভিযোগ করলে কমিটি কর্তৃক তাঁর বেতনাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুয়া সনদ দিয়ে তাঁর আরেক শ্যালিকা নাছরিন সুলতানাকে রনিখাই হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে একই পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই মাউশির পরিচালক বরাবর ৯টি স্কুল-মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক একটি অভিযোগ করেন। সেখানে তাঁরা ১০টি পয়েন্টে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ভালো থাকায় সেটার আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, ‘উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক আমার ওপর হিংসাত্মক হয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের জন্য আমার স্ত্রীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ বলেন, ‘আর আবুল কালামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও আমি আমার আগেরটা পরিবর্তন করেছি।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। অভিযোগ, দেড় যুগ ধরে একই কর্মস্থলে থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে আবুল কালাম ২০০৬ সালের নভেম্বরে যোগদান করেন। তাঁর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণসহ ২০২৩ সালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকেরা মাউশি বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও দুবার মাউশি বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো কাজ হয়নি।
যেভাবে স্বাক্ষর জাল
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান আহমদ নিয়মিত অফিস করেন না। এ সুযোগে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজেটে স্বাক্ষর করে সেই টাকা হাতিয়ে নেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাঁর মাউশির একটি কাগজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জায়গায় তাঁর স্বাক্ষর জাল করেন আবুল কালাম।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘শুধু এটা নয়, এ রকম সবকিছুতেই শিক্ষা কর্মকর্তার পরিবর্তে স্বাক্ষর করেন আবুল কালাম আজাদ।’ আবুল কালামের এই জালিয়াতির কারণে নিজের স্বাক্ষর দুই-দুইবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান। স্বাক্ষর নিজে পরিবর্তন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে।
যত জাল-জালিয়াতি
উপজেলার বর্ণি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানের নিবন্ধনসহ বিএড ডিগ্রি না থাকার বিভিন্ন অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এটা জানতে পারেন আবুল কালাম। আর তখন সাজ্জাদুর রহমানকে নিবন্ধন, বিএড ডিগ্রির সার্টিফিকেট মিলিয়ে দেওয়াসহ সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন আবুল কালাম। তবে শর্ত দেন, তাঁর শ্যালিকা ইয়াছমিন আক্তারকে ওই স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাজ্জাদুর রহমানের জাল সার্টিফিকেটের কারণে তিনবার রিজেক্ট করলেও আবুল কালামের অবৈধ সুবিধা নিয়ে তিনি এখনো বহাল রয়েছেন কর্মস্থলে।
এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে নিজের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন আবুল কালাম। সেখানেও ব্যবহার করেছিলেন জাল সনদ। পরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মাউশিতে অভিযোগ করলে কমিটি কর্তৃক তাঁর বেতনাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুয়া সনদ দিয়ে তাঁর আরেক শ্যালিকা নাছরিন সুলতানাকে রনিখাই হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে একই পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই মাউশির পরিচালক বরাবর ৯টি স্কুল-মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক একটি অভিযোগ করেন। সেখানে তাঁরা ১০টি পয়েন্টে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ভালো থাকায় সেটার আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, ‘উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক আমার ওপর হিংসাত্মক হয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের জন্য আমার স্ত্রীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ বলেন, ‘আর আবুল কালামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও আমি আমার আগেরটা পরিবর্তন করেছি।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২২ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৮ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো কলেজ এলাকা শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান খান, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের চাঁদপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।
নেতারা বক্তব্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই সঙ্গে তাঁরা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার সময় শরিফ ওসমান হাদির প্রতীকী কফিন সামনে রেখে শপথবাক্য পাঠ করান ইনকিলাব মঞ্চের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ। শপথে হাদির আদর্শ বাস্তবায়ন এবং ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
জানাজা শেষে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে একটি কফিন মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
কফিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে হামলার প্রতিবাদ জানান এবং বিচার দাবি করেন।

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো কলেজ এলাকা শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান খান, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের চাঁদপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।
নেতারা বক্তব্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই সঙ্গে তাঁরা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার সময় শরিফ ওসমান হাদির প্রতীকী কফিন সামনে রেখে শপথবাক্য পাঠ করান ইনকিলাব মঞ্চের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ। শপথে হাদির আদর্শ বাস্তবায়ন এবং ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
জানাজা শেষে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে একটি কফিন মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
কফিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে হামলার প্রতিবাদ জানান এবং বিচার দাবি করেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২২ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৮ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৮ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২২ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। হিসাবরক্ষক হলেও শিক্ষকদের কাছে তিনিই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষার সনদের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। এ কারণে তাঁর কাছে অনেকটা অসহায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২২ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৮ মিনিট আগে