সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

আবারও বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি। পানি বাড়ার কারণে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল ও জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে থাকা বসতবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়রা। তবে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁরা বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ না করায় নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের শুরুতে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়তে থাকে যমুনার পানি। টানা পাঁচ দিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার দুপুর ৩টা থেকে আজ রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ২ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সৈয়দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতি মুহূর্তে নদী ভাঙছে। প্রতিদিন ঘরবাড়ি-ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদের আগে থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। সৈয়দপুর নতুনপাড়া জামে মসজিদ ঈদের আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বহু ঘরবাড়ি নদীর তীরে রয়েছে। অনেকে ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে না।
স্থানীয় মাসুদ রানা বলেন, ‘অনেক কষ্ট লাগে। নানা বাড়ির গ্রামটা চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল। এই হাটপাঁচিল গ্রামে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম। এই গ্রামে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আজ যমুনা নদীতে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, ‘এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল পর্যন্ত নদীতীর রক্ষার কাজ চলছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ হয়েছে ধীরগতিতে। আমরা জানতে পেরেছি এরই মধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হলে কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।’
কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল এলাকার ইয়াসিন বলেন, ‘নদীর পাড় নয়, বুকের এক একটা করে পাঁজর ভাঙছে। ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।’
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকারকে ফোন করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।

আবারও বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি। পানি বাড়ার কারণে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল ও জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে থাকা বসতবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়রা। তবে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁরা বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ না করায় নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের শুরুতে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়তে থাকে যমুনার পানি। টানা পাঁচ দিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার দুপুর ৩টা থেকে আজ রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ২ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সৈয়দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতি মুহূর্তে নদী ভাঙছে। প্রতিদিন ঘরবাড়ি-ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদের আগে থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। সৈয়দপুর নতুনপাড়া জামে মসজিদ ঈদের আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বহু ঘরবাড়ি নদীর তীরে রয়েছে। অনেকে ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে না।
স্থানীয় মাসুদ রানা বলেন, ‘অনেক কষ্ট লাগে। নানা বাড়ির গ্রামটা চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল। এই হাটপাঁচিল গ্রামে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম। এই গ্রামে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আজ যমুনা নদীতে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, ‘এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল পর্যন্ত নদীতীর রক্ষার কাজ চলছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ হয়েছে ধীরগতিতে। আমরা জানতে পেরেছি এরই মধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হলে কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।’
কৈজুড়ী ইউনিয়নের পাচিল এলাকার ইয়াসিন বলেন, ‘নদীর পাড় নয়, বুকের এক একটা করে পাঁজর ভাঙছে। ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।’
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকারকে ফোন করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে