Ajker Patrika

এক রাতেই শেষ মেনারুলের স্বপ্ন

রংপুর প্রতিনিধি
শূন্য গোয়ালের পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে মেনারুলের স্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
শূন্য গোয়ালের পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে মেনারুলের স্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বপ্ন দেখেছিলেন ছোট্ট একটা গরুর খামার করবেন। দিনমজুরির পাশাপাশি গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার সামলাবেন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন। সে স্বপ্ন ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছিলেন মেনারুল ইসলাম। পাঁচ বছরে একটি গরু থেকে বেড়ে দাঁড়ায় চারটি গাভি ও তিনটি বাছুরে। দুধ বিক্রির টাকায় চলত সংসার, সন্তানদের পড়াশোনাও। কিন্তু গতকাল রোববার রাতে সবকিছু যেন ধ্বংস হয়ে গেল। ঘরের তালা ভেঙে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায় গোয়ালঘরের ছয়টি গরু। শূন্য হয়ে যায় মেনারুলের স্বপ্নের খামার।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মেনারুল ইসলাম এখন চোখে জল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন গোয়ালঘরের সামনে। পাঁচ বছর ধরে গড়ে তোলা শ্রমের ফল যেন মুহূর্তেই উধাও।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামের এমাজ উদ্দিনের ছেলে মেনারুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। তাঁর একার আয়ে চলে ছয় সদস্যের সংসার। জমিজমা বলতে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগে পাওয়া বসতভিটার ১৫ শতক জমি। পাঁচ বছর আগে একটি গাভি কিনে পালন শুরু করেন। ধীরে ধীর চারটি গাভি আর তিনটি বাছুরের খামারে পরিণত হয়। দিনমজুরি আর গাভির দুধ বিক্রির টাকায় ভালোয় চলছিল সংসার। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে খামারে গাভিগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মেনারুল ইসলাম। সকালবেলা উঠে দেখেন দরজার তালা কাটা। ভেতরে গিয়ে দেখেন গোয়ালে গরু নেই।

মেনারুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট করে গরুগুলো লালন-পালন করছি। দুধ বেচে ছেলে-মেয়েক স্কুলে পাঠাইছি, ওদের বই কিনছি। এত কষ্ট করছি। এখন সব শেষ। যারা নিয়া গেছে, তারা জানে না, গরুগুলো আমার সন্তান ছিল। এখন কীভাবে দিন চলবে বুঝতেছি না।’

শূন্য গোয়ালের পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে মেনারুলের স্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
শূন্য গোয়ালের পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে মেনারুলের স্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

তাঁর চোখে জল, গলায় কাঁপন, পাশে বসা স্ত্রীও নির্বাক। মেনারুলের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, ‘চোরেরা ফকির বানে দিল হামাক। বাচি থাকার সম্বল কোনা চুরি করি নিল। চোখে এখন আন্ধার দেখছি।’ এই ঘটনার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও চুরি হয়েছে, তবে এমন ক্ষতির শিকার কেউ হয়নি।

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ঝাঁকুয়াপাড়ায় খামার থেকে গরু চুরি ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের একটি টিম সেখানে গিয়েছে। গরু উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৬
ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজ দুপুরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজ দুপুরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কমিটেড, আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ—এই দেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন করতে দেব না। এটা আমাদের কমিটমেন্ট।’ তিনি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বলে আমরা নাকি কোরআন ও সুন্নাহর আইন চাই না—নাউজুবিল্লাহ। আমরা সব সময় কোরআন ও সুন্নাহর মধ্যেই থাকতে চাই।’

রোববার ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান দেশে ফেরার পর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্যে বারবার ইসলাম ও আল্লাহর কথা এসেছে, যা আলেম-ওলামারা পছন্দ করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বংশে, রক্তে এটা আছে—আমি একজন মুসলমান, অত্যন্ত গর্বিত। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা শান্তি চাই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক—যেখানে আমি শান্তিতে এবাদত করতে পারব, ধর্মচর্চা করতে পারব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারব। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

তিনি চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘সেখানে একমত হওয়া ১০টি বিষয়ের মধ্যে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক আইন একটি ছিল।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মাসিক সম্মানী প্রদান, ধর্মীয় উৎসবে বিশেষ ভাতা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ১৯৯৩ সালের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তার, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে সময়োপযোগী করা এবং তাঁদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

একই সুবিধা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হবে এবং মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয় দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএনপির মহাসচিব।

বয়সের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন। বয়স হয়ে গেছে, পরে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না জানি না।’

দেশের বর্তমান অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কিছু লোক পেছন থেকে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় এবং চক্রান্তকারীদের ফাঁদে না পড়ি। এই নির্বাচন ভাঙার চেষ্টা চলছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ সভায় স্থানীয় আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে টেকনাফে ১৭ জনকে উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৬
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় মানব পাচার চক্রের হাত থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন রাজারছড়া এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় একটি ট্রলারকে ঘিরে ফেলেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারটি তল্লাশি করে ৭ জন পুরুষ, ৪ নারী, ৬ শিশুসহ মোট ১৭ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, উন্নত জীবন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও স্বল্প খরচে বিদেশে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারী চক্রটি তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উদ্ধার করা ব্যক্তিদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলে মারা গেছেন। এ সময় তাঁদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রনি বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১০)। তাঁরা পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দৌহাইল গ্রামের বাসিন্দা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাতলা রেলস্টেশনের অদূরে ছয়ঘড়িয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনি বেগম তাঁর ছেলেকে নিয়ে সোনাতলা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ ট্রেন দেখে রনি বেগম আত্মহত্যার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত তার মাকে উদ্ধার করতে গেলে মা-ছেলে দুজনেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এই দৃশ্য দেখে পথচারী তাজুল ইসলাম (৬৫) মা-ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, রনি বেগম মানসিক রোগী ছিলেন। তিনি এর আগেও বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডিম বিক্রেতার পাথর নিক্ষেপে ভাঙল ট্রেনের কাচ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি   
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া স্টেশনে সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের এক যাত্রীকে লক্ষ্য করে এক তরুণ ডিম বিক্রেতা পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

চকরিয়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চকরিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছায় শনিবার রাত পৌনে ১১টায়। এ সময় একজন ভাসমান ডিম বিক্রেতা ট্রেনে ডিম বিক্রি করছিলেন। একজন যাত্রী ওই বগিতে ডিম বিক্রেতাকে যেতে নিষেধ করেন। এতে ডিম বিক্রেতার সঙ্গে ওই যাত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ট্রেনের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে ডিম বিক্রেতা চলে যান। এরপর ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিলে ডিম বিক্রেতা বগি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। পাথরটি ট্রেনের খাবারের কোচের জানালায় লাগলে কাচ ভেঙে যায়। এতে খাবারের কোচের একজন সহকারী সামান্য আহত হন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ বিন জাফর চৌধুরী বলেন, সৈকত এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর এক যাত্রী ডিম বিক্রেতাকে বগিতে যেতে বারণ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ডিম বিক্রেতা বগিতে পাথর ছুড়ে মারেন, সেটি লেগে খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

ফরহাদ আরও বলেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পাথর নিক্ষেপকারী ওই ডিম বিক্রেতাকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম মনসুর আলম। তাঁর বাড়ি সাহারবিল আব্দুল জব্বার সিকদারপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে রেল প্রশাসন ও রেল পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত