দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৮-৩৯ ডিগ্রি থাকলেও চলতি ১ জুন সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। ২ জুন ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩ জুন ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আজ রোববার ৪ জুন ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ১৯৫৮ সালের ৩ জুন দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬৫ বছর পরে আবারও দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়াল।
তীব্র গরম আর চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। অতিরিক্ত গরম আর অব্যাহত লোডশেডিংয়ে মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কমে গেছে মানুষের চলাচল। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিশু আর বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।
দিনাজপুর নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, ডিভিশন-১ বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ ১০ মেগাওয়াট। ডিভিশন-২ এ চাহিদা ২৯ মেগাওয়াট সেখানে সরবরাহ সাড়ে ১২ মেগাওয়াট। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্র জানায়, তাদের দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। পাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট।
পার্বতীপুর থেকে মেয়ের জন্য ভ্যাকসিন নিতে দিনাজপুরে এসেছিলেন মোফাজ্জল হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরে হাটলে মনে হচ্ছে আগুনে কেউ ফেলে দিয়েছে। আমার ৬৫ বছরের জীবনে এত গরম দেখিনি।
ভ্যানচালক হবিবর রহমান বলেন, ‘গরমে তো ভাই চামড়া পুড়ি যাছে। কিন্তু কি করিমো ভাই? কাম না কইলে কে খিলাবে (খেতে দিবে)। কিছু দূর যাছি ফের এংনা গাছের ছিয়াত জিরাছি। কাম তো করিবায় হবে।’
অটোচালক ইসাহাক আলী বলেন, ‘রাস্তায় তো মানুষজন অনেক কম। ভাড়াও অনেক কম। জীবন চালানোই কঠিন হয়ে গেইছে।’
রামনগর এলাকার গৃহিণী মিনা বেগম বলেন, সারা দিনে ৪-৫ বার কারেন্ট চলে যাচ্ছে। এখন আবার রাতের বেলাও ২-৩ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একেতো প্রচণ্ড গরম তারওপর রাতের এতাবার কারেন্ট গেলে মানুষ ঘুমাবে কীভাবে?’
বাহাদুর বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলে, ‘আমরা বলে চাহিদার থেকেও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তাহলে লোডশেডিং কেন? বিদ্যুৎ না থাকলেতো ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাবে।’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলনে, ‘তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এ অবস্থায় জনসাধারণকে বাইরে চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করা যাবে না। বেশি করে পানি খেতে হবে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের বেলায় বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।’

দিনাজপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৮-৩৯ ডিগ্রি থাকলেও চলতি ১ জুন সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। ২ জুন ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩ জুন ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আজ রোববার ৪ জুন ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ১৯৫৮ সালের ৩ জুন দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬৫ বছর পরে আবারও দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়াল।
তীব্র গরম আর চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। অতিরিক্ত গরম আর অব্যাহত লোডশেডিংয়ে মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কমে গেছে মানুষের চলাচল। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিশু আর বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।
দিনাজপুর নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, ডিভিশন-১ বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ ১০ মেগাওয়াট। ডিভিশন-২ এ চাহিদা ২৯ মেগাওয়াট সেখানে সরবরাহ সাড়ে ১২ মেগাওয়াট। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্র জানায়, তাদের দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। পাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট।
পার্বতীপুর থেকে মেয়ের জন্য ভ্যাকসিন নিতে দিনাজপুরে এসেছিলেন মোফাজ্জল হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরে হাটলে মনে হচ্ছে আগুনে কেউ ফেলে দিয়েছে। আমার ৬৫ বছরের জীবনে এত গরম দেখিনি।
ভ্যানচালক হবিবর রহমান বলেন, ‘গরমে তো ভাই চামড়া পুড়ি যাছে। কিন্তু কি করিমো ভাই? কাম না কইলে কে খিলাবে (খেতে দিবে)। কিছু দূর যাছি ফের এংনা গাছের ছিয়াত জিরাছি। কাম তো করিবায় হবে।’
অটোচালক ইসাহাক আলী বলেন, ‘রাস্তায় তো মানুষজন অনেক কম। ভাড়াও অনেক কম। জীবন চালানোই কঠিন হয়ে গেইছে।’
রামনগর এলাকার গৃহিণী মিনা বেগম বলেন, সারা দিনে ৪-৫ বার কারেন্ট চলে যাচ্ছে। এখন আবার রাতের বেলাও ২-৩ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একেতো প্রচণ্ড গরম তারওপর রাতের এতাবার কারেন্ট গেলে মানুষ ঘুমাবে কীভাবে?’
বাহাদুর বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলে, ‘আমরা বলে চাহিদার থেকেও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। তাহলে লোডশেডিং কেন? বিদ্যুৎ না থাকলেতো ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাবে।’
দিনাজপুর সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলনে, ‘তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এ অবস্থায় জনসাধারণকে বাইরে চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করা যাবে না। বেশি করে পানি খেতে হবে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের বেলায় বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৬ ঘণ্টা আগে