Ajker Patrika

সৈয়দপুর রেলওয়ে

সাইনবোর্ডেই আটকে ক্যারেজ কারখানা

  • ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প ৯ বছরেও বাস্তবায়ন করা হয়নি
  • ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রকল্পটি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে
  • এখন ৫ থেকে ৮ কোটি টাকা দরে প্রতিটি কোচ আমদানি করা হয়
  • কারখানা হলে প্রতিটি কোচে খরচ পড়বে ২-৩ কোটি টাকা
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ০৭: ৫২
প্রস্তাবিত ক্যারেজ কারখানার সাইনবোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রস্তাবিত ক্যারেজ কারখানার সাইনবোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মধ্যে আরেকটি ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প ৯ বছরেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দৃশ্যত সাইনবোর্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সব। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ কারখানা নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ক্যারেজ ও ওয়াগন এখানে তৈরি করা সম্ভব। তখন এসব আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। এতে রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির ওপর নির্মিত হয় দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ কারখানার ২৭টি উপকারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করেন। প্রতিষ্ঠার পর এখানে নতুন কোচ তৈরি হতো; কিন্তু ১৯৯৩ সালে রেল সংকোচন নীতির আওতায় ওই কোচ নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকে কোচের জন্য পুরোপুরি বিদেশনির্ভর হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জার্মানি ও কোরিয়া থেকে শ্রেণিভেদে ৫ থেকে ৮ কোটি টাকা দরে প্রতিটি কোচ আমদানি করছে রেলওয়ে। প্রতিবছর গড়ে ৬০টি কোচ আমদানি করে বাংলাদেশ। ফলে অনেক বড় অঙ্কের ব্যয় হচ্ছে এই আমদানির পেছনে। দেশে নির্মাণ করা হলে প্রতিটি কোচে এর অর্ধেক টাকা খরচ হবে।

সূত্র আরও জানায়, কোচের আমদানি-নির্ভরতা কমাতে সৈয়দপুরে আরও একটি নতুন কোচ কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে ২০১৬ সালে একটি চুক্তি হয়। পরে দুই বছর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এলাকায় নতুন ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কশপ নির্মাণে ব্যাপক সমীক্ষা চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, সৈয়দপুর কারখানার উত্তর পাশে দার্জিলিং গেট-সংলগ্ন এলাকায় কোচ তৈরির কারখানা স্থাপনে জায়গা নির্বাচন করা হয়। এ জন্য প্রাথমিকভাবে রেলের ২০ একর জমি নেওয়া হয়। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি।

২০১৯ সালের মে মাসে কারখানাটির ধরনের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই বছর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করেন। কারখানার জন্য সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বাকি টাকা ঋণের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে ভারত সরকার এ প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতে থেমে যায় কাজের অগ্রগতি।

রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের কারখানা শাখার সম্পাদক শেখ রোবায়তুর রহমান বলেন, ‘জনবলসংকটে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা ধুঁকে ধুঁকে চলছে। রেলওয়ে কোচ তৈরির নতুন কারখানাটি স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ৯ বছর আগে। কারখানা স্থাপনের খবরে অনেকের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল; কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শুরু না হওয়ায় আমরা হতাশ।’

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, সৈয়দপুর বাণিজ্যিক শহর। নতুন কোচ তৈরির কারখানাটি স্থাপন করা হলে এ অঞ্চলে ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, নতুন ক্যারেজ কারখানা চালু হলে এখানে প্রতি মাসে পাঁচটি কোচ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। আর প্রতিটি কোচে খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা; অথচ ৫ থেকে ৮ কোটি টাকা দরে প্রতিটি কোচ আমদানি করছে রেলওয়ে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পটির ভৌত কাঠামোর সমীক্ষা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর এ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। তবে কারখানাটি স্থাপন করা হলে এখানে নতুন কোচ নির্মাণ করা সম্ভব। তখন আর কোচ আমদানির প্রয়োজন হবে না। এতে রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত উঠানে পড়ে রইল লাশ, সম্পত্তি নিয়ে ছেলেমেয়েদের ঝগড়া

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে রুহুল আমিন নামের এক বৃদ্ধের লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন তাঁর ছেলেমেয়েরা। আজ সোমবার উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আজ ভোরের দিকে সত্তরোর্ধ্ব রুহুল আমিন মারা যান। শেষপর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেলে বৃদ্ধের লাশ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সোহেল রুহুল আমিনের জমিজমা ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে বাবার বিষয়সম্পত্তি থেকে প্রথম পক্ষের সন্তানেরা বঞ্চিত হয়েছেন। রুহুল আমিনের মৃত্যুর খবর শুনে প্রথম পক্ষের সন্তান মোফাশ্বেরা বেগম, নাসিমা আক্তার, শরীফসহ সবাই বাবার সম্পত্তির হিসাব চাইতে আসেন। সোহেল তাঁদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসীর ভিড় জমে গেলে একপর্যায়ে লাশ ফেলে চলে যান সোহেল। অন্যদিকে সম্পত্তির হিসাব না পেলে লাশ দাফনে বাধা দিতে অনঢ় থাকেন প্রথম পক্ষের সন্তানেরা।

এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, সিদ্দিক উল্যা ও শরিফ জানান, রুহুল আমিনের অনেক বিষয়সম্পত্তি ছিল। আগের সৎভাই-বোনদের কোনো সম্পত্তি না দিয়ে সবকিছু সোহেল দখল করে রেখেছেন। এ ছাড়া এলাকার কিছু মানুষের কাছে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে সোহেল বলেন, ‘আমার বাবার কোনো সম্পত্তি আমার কাছে নাই। তারা যদি লাশ দাফন করতে না দেয়, আমার কোনো আপত্তি নাই।’

চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, ‘লাশ দাফনে বাধার খবর শুনে এসে দেখি, মৃত রুহুল আমিনের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলছে। সোহেলের কাছে রুহুলের প্রথম ঘরের ছেলেমেয়েরা সম্পত্তির হিসাব চাইলে সে বসে বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হয়নি।’

‎এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেল ৫টার দিকে লাশ দাফন করা হয়েছে। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৪ আসনে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আজ সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

পরে কাগজপত্র সংশোধন করে রিটার্নিং কার্যালয়ে আসতে আসতে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। ফলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।

জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গতকাল রোববার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সদ্য নিবন্ধিত আমজনতা দলের মনোনয়ন পান। আজ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। পরে জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সংশোধনের জন্য তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দেখি এ ব্যাপারে কী করা যায়।’

বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, আশরাফুল আলম মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও সঠিক সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেননি। তাঁকে আপিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌলভীবাজার-৪ আসনে বাবা ধানের শীষের প্রার্থী, ছেলে স্বতন্ত্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুঈদ আশিদ চিশতী। ইউএনও আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জের ইউএনও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

জানা গেছে, কোনো কারণে মুজিবুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বিকল্প হিসেবে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী প্রার্থী হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ির মালিককে কামড়ে পালানোর চেষ্টা চোরের, দুজনেই হাসপাতালে

মধুখালী প্রতিনিধি
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের মধুখালীতে রাতের আঁধারে গেরস্তের ঘরে চুরি করতে ঢোকে এক চোর। ঘরে ঢুকে এদিক-সেদিক টাকাপয়সা ও মালপত্র খুঁজতে থাকেন তিনি। চোরের এই আগমন টের পেয়ে যান বাড়ির মালিক। চোর যখন চুরি করতে ব্যস্ত, তখন আচমকা পেছন থেকে তাঁকে ঝাঁপটে ধরেন তিনি। এ সময় পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা চোর বাড়ির মালিককে আঁচড়ে-কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। বাড়ির মালিকের চিৎকার হইচইয়ে ঘরের অন্য সদস্য এবং আশপাশের লোকজন চোরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়।

গত শনিবার গভীর রাতে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. রবিন শেখের (২৭) ঘরে এই কাণ্ড ঘটে। রবিন শেখ ওই বাড়ির মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে। অভিযুক্ত চোর হলেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার প্রাভাটুরা গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (৪১)।

জানা গেছে, বাড়ির মালিক রবিনের হাতে ধরা খাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন চোর সোহেল। রবিন শেখের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে-আঁচড়ে গুরুতর আহত করেন তিনি। রবিনের চিৎকারে তাঁর বাবাসহ অন্যরা চোরকে ধরে ফেলেন। এলাকার লোকজন মিলে চোরকে পিটুনি দেয়। বর্তমানে বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিক—দুজনেই মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুন হাসান বলেন, আহত মো. রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিককে হাসপাতালে নিয়ে এলে দুজনকেই ভর্তি করি এবং তাঁরা চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত