পঞ্চগড় প্রতিনিধি
‘যদি পুশ ইন করতেই হয়, তাহলে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। আমরা তাদের বিচার চাই। পুশ ইনের মতো আগ্রাসন আর মেনে নেওয়া হবে না।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গত ৫০ বছরে কোনো সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। এখনো সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। পুশ ইনের মাধ্যমে আমাদের ভূখণ্ডে মানুষ ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে ‘দেশ গড়তে জুলাই’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় শহরে আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। পঞ্চগড় স্টেডিয়াম থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। শহরের প্রধান সড়ক ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে যায় এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পরিবেশ। পরে চৌরঙ্গী মোড়ের টুনিরহাট সড়কে পিকআপের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সমাবেশে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘উচ্চকক্ষ কিংবা পিআর পদ্ধতি—কোনো বিষয়ে আমরা একচুলও ছাড় দেব না। পঞ্চগড়বাসী প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশের বর্ডার দিয়ে একটি কাকপক্ষীও যদি ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়, পঞ্চগড়বাসী বর্ডারে গিয়ে নতুনভাবে মানচিত্র তৈরি করবে।’
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে আর চাঁদাবাজি হবে না। কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। যারা চাঁদাবাজি করছেন, সিন্ডিকেট করছেন, আওয়ামী লীগ গেছে যে পথে আপনারাও যাবেন সে পথে। আওয়ামী লীগ ভারতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে, আপনারা সেটিও পাবেন না। যেই প্রশাসন পুলিশ দিয়ে মধ্যরাতে নির্বাচন হয়েছে সেই প্রশাসন, পুলিশের সংস্কার না করে আমরা আর কোনো নির্বাচন চাচ্ছি না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই, আপনারা যেমন টাইমফ্রেম করে নির্বাচন চাচ্ছেন, একইভাবে বিচার ও সংস্কারে টাইমফ্রেম দিন।’
ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী সবার হয়ে কাজ করবে, কোনো দলের, কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। আমরা এমন ব্যবস্থায় আর ফেরত যাব না, যেখানে রাষ্ট্রব্যবস্থা নিজেই তার নাগরিককে খুন, গুম করে।’
সরকার গঠন করতে পারলে এনসিপি দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বৈষম্য দূর করবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আরেক নেতা হান্নান মাসুদ।
সারজিস আলম বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে পাথর উত্তোলন করে পঞ্চগড়ের প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। শিক্ষা-চিকিৎসা থেকে সব ক্ষেত্রে পঞ্চগড়কে বরাবরই বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। পঞ্চগড়ে দুর্নীতি, চুরি, বাটপারি বন্ধ করতে হবে। আমরা ঝামেলা করতে চাই না। কিন্তু অনেকে মাথায় উঠে গেছে। এখন সময় হলো আছাড় দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পুলিশ আগে টাকা নেয়, তারপর কথা বলে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কেউ ভাবেনি, হাসিনার মতো ফেরাউনের ৩৬ দিনে পতন হবে। পঞ্চগড়ে হাসিনার চেয়ে বড় ফেরাউন নেই। আমাদের সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।’
পঞ্চগড়ের সুগার মিল চালু ও জেলার উন্নয়ন ইস্যুতে বক্তব্য দেন আরও কয়েকজন নেতা। বক্তারা এনসিপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
‘যদি পুশ ইন করতেই হয়, তাহলে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। আমরা তাদের বিচার চাই। পুশ ইনের মতো আগ্রাসন আর মেনে নেওয়া হবে না।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গত ৫০ বছরে কোনো সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। এখনো সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। পুশ ইনের মাধ্যমে আমাদের ভূখণ্ডে মানুষ ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে ‘দেশ গড়তে জুলাই’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় শহরে আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। পঞ্চগড় স্টেডিয়াম থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। শহরের প্রধান সড়ক ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে যায় এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পরিবেশ। পরে চৌরঙ্গী মোড়ের টুনিরহাট সড়কে পিকআপের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সমাবেশে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘উচ্চকক্ষ কিংবা পিআর পদ্ধতি—কোনো বিষয়ে আমরা একচুলও ছাড় দেব না। পঞ্চগড়বাসী প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশের বর্ডার দিয়ে একটি কাকপক্ষীও যদি ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়, পঞ্চগড়বাসী বর্ডারে গিয়ে নতুনভাবে মানচিত্র তৈরি করবে।’
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে আর চাঁদাবাজি হবে না। কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। যারা চাঁদাবাজি করছেন, সিন্ডিকেট করছেন, আওয়ামী লীগ গেছে যে পথে আপনারাও যাবেন সে পথে। আওয়ামী লীগ ভারতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে, আপনারা সেটিও পাবেন না। যেই প্রশাসন পুলিশ দিয়ে মধ্যরাতে নির্বাচন হয়েছে সেই প্রশাসন, পুলিশের সংস্কার না করে আমরা আর কোনো নির্বাচন চাচ্ছি না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই, আপনারা যেমন টাইমফ্রেম করে নির্বাচন চাচ্ছেন, একইভাবে বিচার ও সংস্কারে টাইমফ্রেম দিন।’
ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী সবার হয়ে কাজ করবে, কোনো দলের, কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। আমরা এমন ব্যবস্থায় আর ফেরত যাব না, যেখানে রাষ্ট্রব্যবস্থা নিজেই তার নাগরিককে খুন, গুম করে।’
সরকার গঠন করতে পারলে এনসিপি দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বৈষম্য দূর করবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আরেক নেতা হান্নান মাসুদ।
সারজিস আলম বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে পাথর উত্তোলন করে পঞ্চগড়ের প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। শিক্ষা-চিকিৎসা থেকে সব ক্ষেত্রে পঞ্চগড়কে বরাবরই বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। পঞ্চগড়ে দুর্নীতি, চুরি, বাটপারি বন্ধ করতে হবে। আমরা ঝামেলা করতে চাই না। কিন্তু অনেকে মাথায় উঠে গেছে। এখন সময় হলো আছাড় দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পুলিশ আগে টাকা নেয়, তারপর কথা বলে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কেউ ভাবেনি, হাসিনার মতো ফেরাউনের ৩৬ দিনে পতন হবে। পঞ্চগড়ে হাসিনার চেয়ে বড় ফেরাউন নেই। আমাদের সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।’
পঞ্চগড়ের সুগার মিল চালু ও জেলার উন্নয়ন ইস্যুতে বক্তব্য দেন আরও কয়েকজন নেতা। বক্তারা এনসিপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
‘সমঝোতা, নাকি মরতে চান’—মোটাদাগে এই প্রস্তাবের আশঙ্কায় এখন দিন গোনেন রাজধানীর পল্লবীর আবাসন ব্যবসায়ীরা। ফোনে বা সরাসরি লোক পাঠিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাব দিচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। কেউ ভয় পেয়ে সমঝোতা করছেন, কেউ সাড়া না দিয়ে চুপ থাকছেন। তাঁদের বেশির ভাগ থানায় যাচ্ছেন না কিংবা মামলা করছেন না। গত পাঁচ মাসে বৃহত
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে
২ ঘণ্টা আগেখুলনা সার্কিট হাউস মাঠের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে চলছে ২১ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। ৭ জুলাই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৯টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে মেলায়। এর মূল্য ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬১৫ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
২ ঘণ্টা আগে