জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

‘আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা (৩২)। মাঝেমধ্যেই হারিয়ে যেতেন এবং ৮ থেকে ১০ দিন পর বাড়িতে ফিরে আসতেন। প্রায় পাঁচ বছর নিখোঁজ হয়ে আর ফেরেননি হানজালা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামের পাঠানপাড়ার মৃত একরামুল হকের ছেলে হানজালা। তিনি পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন, ২০০৩ সালে মারা যান। এখনো বেঁচে আছেন মা মেহেরুন্নেছা (৭২)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পাঁচ বছর পর দেখা হয় মা ও ছেলের।
এর আগে গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বড় দুই ভাই মানিকুল ইসলাম ও আবু তালহার হাতে তুলে দেওয়া হয় হানজালাকে।
একই জাহাজে বাংলাদেশের ১৭৩ নাগরিক মিয়ানমার থেকে ওই দিন দেশে ফিরেছেন। মিয়ানমার থেকে রওনা হওয়ার আগেই তাঁদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার যাচাই করে। এই ১৭৩ বাংলাদেশির বেশির ভাগ সাগরে ও নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা আটক হন। কেউ কেউ জেলে ছিলেন।
কক্সবাজার সদরের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ১৭৩ ব্যক্তিকে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ তাঁকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন বড় ভাই আবু তালহা। হানজালার গলায় ঝোলানো মিয়ানমারের ভাষায় লেখা একটি কার্ড। সেখানে তাঁকে জেলে বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হানজালা বাড়িতে ফেরার কথা শুনে তাঁর বাড়িতে গ্রামবাসীরা ভিড় করে। এ সময় নিশ্চুপ ভারসাম্যহীন আবু হানজালা উপস্থিত প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকের নাম ধরে ডাকছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে জানা যায়, জেলখানায় বন্দী ছিলেন তিনি। খাবার, ওষুধ নিয়মিত পেয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু কীভাবে সেখানে গেলেন ও কাদের সঙ্গে গেলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে-শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন।
হানজালার বড় ভাই আবু তালহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই ধরে নিয়েছি, সে আর বেঁচে নাই। হানজালার কথা সবাই প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। গত রোববার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে পুলিশ বাড়িতে এসে জানায় মিয়ানমার থেকে দেশে আসছে আবু হানজালা। শুনেই আমরা আনন্দ কেঁদে ফেলেছি। আমরা বুঝতে পারছি না হানজালা কীভাবে মিয়ানমারে গেল!’

‘আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা (৩২)। মাঝেমধ্যেই হারিয়ে যেতেন এবং ৮ থেকে ১০ দিন পর বাড়িতে ফিরে আসতেন। প্রায় পাঁচ বছর নিখোঁজ হয়ে আর ফেরেননি হানজালা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামের পাঠানপাড়ার মৃত একরামুল হকের ছেলে হানজালা। তিনি পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন, ২০০৩ সালে মারা যান। এখনো বেঁচে আছেন মা মেহেরুন্নেছা (৭২)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পাঁচ বছর পর দেখা হয় মা ও ছেলের।
এর আগে গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বড় দুই ভাই মানিকুল ইসলাম ও আবু তালহার হাতে তুলে দেওয়া হয় হানজালাকে।
একই জাহাজে বাংলাদেশের ১৭৩ নাগরিক মিয়ানমার থেকে ওই দিন দেশে ফিরেছেন। মিয়ানমার থেকে রওনা হওয়ার আগেই তাঁদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার যাচাই করে। এই ১৭৩ বাংলাদেশির বেশির ভাগ সাগরে ও নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা আটক হন। কেউ কেউ জেলে ছিলেন।
কক্সবাজার সদরের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ১৭৩ ব্যক্তিকে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ তাঁকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন বড় ভাই আবু তালহা। হানজালার গলায় ঝোলানো মিয়ানমারের ভাষায় লেখা একটি কার্ড। সেখানে তাঁকে জেলে বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হানজালা বাড়িতে ফেরার কথা শুনে তাঁর বাড়িতে গ্রামবাসীরা ভিড় করে। এ সময় নিশ্চুপ ভারসাম্যহীন আবু হানজালা উপস্থিত প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকের নাম ধরে ডাকছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে জানা যায়, জেলখানায় বন্দী ছিলেন তিনি। খাবার, ওষুধ নিয়মিত পেয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু কীভাবে সেখানে গেলেন ও কাদের সঙ্গে গেলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে-শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন।
হানজালার বড় ভাই আবু তালহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই ধরে নিয়েছি, সে আর বেঁচে নাই। হানজালার কথা সবাই প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। গত রোববার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে পুলিশ বাড়িতে এসে জানায় মিয়ানমার থেকে দেশে আসছে আবু হানজালা। শুনেই আমরা আনন্দ কেঁদে ফেলেছি। আমরা বুঝতে পারছি না হানজালা কীভাবে মিয়ানমারে গেল!’

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১৯ মিনিট আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
৩০ মিনিট আগে
মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
৩৯ মিনিট আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা...
২৫ এপ্রিল ২০২৪
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
৩০ মিনিট আগে
মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
৩৯ মিনিট আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা...
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১৯ মিনিট আগে
মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
৩৯ মিনিট আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঘন কুয়াশার কারণে যমুনা নদীতে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাদারগঞ্জে ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝখানে নৌকাটি দিক হারিয়ে আটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় নৌকাটি নিরাপদে ঘাটে পৌঁছায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
রাত ৯টার দিকে যমুনা নদীর মাঝখানে ঘন কুয়াশার কারণে নৌকার চালক দিক হারিয়ে ফেলেন। একপর্যায়ে নৌকাটি মাঝনদীতে নোঙর করে অবস্থান নেয়। পরে রাত ১১টার দিকে যাত্রীরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান।

খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও কুয়াশার তীব্রতার কারণে রাতে নদীতে নামা সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালে কুয়াশা কিছুটা কমলে ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় মাঝিদের সহযোগিতায় উদ্ধারকারী নৌকা পাঠায়। সকাল ৯টার দিকে আটকে পড়া নৌকার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে যাত্রীদের নিয়ে নৌকাটি দুপুর ১২টার দিকে মাদারগঞ্জের জামথল ঘাটে নিরাপদে পৌঁছায়।
উদ্ধার হওয়া বর নিলয় হাসান বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে মাঝি কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। নারী ও শিশুসহ সবাই আতঙ্কে ছিল। সারা রাত তীব্র শীতের মধ্যে নদীর মাঝে কাটাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সবাই সুস্থভাবে ফিরতে পেরেছি, আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।’

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঘন কুয়াশার কারণে যমুনা নদীতে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাদারগঞ্জে ফেরার পথে যমুনা নদীর মাঝখানে নৌকাটি দিক হারিয়ে আটকে পড়ে। শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় নৌকাটি নিরাপদে ঘাটে পৌঁছায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
রাত ৯টার দিকে যমুনা নদীর মাঝখানে ঘন কুয়াশার কারণে নৌকার চালক দিক হারিয়ে ফেলেন। একপর্যায়ে নৌকাটি মাঝনদীতে নোঙর করে অবস্থান নেয়। পরে রাত ১১টার দিকে যাত্রীরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান।

খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও কুয়াশার তীব্রতার কারণে রাতে নদীতে নামা সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালে কুয়াশা কিছুটা কমলে ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় মাঝিদের সহযোগিতায় উদ্ধারকারী নৌকা পাঠায়। সকাল ৯টার দিকে আটকে পড়া নৌকার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে যাত্রীদের নিয়ে নৌকাটি দুপুর ১২টার দিকে মাদারগঞ্জের জামথল ঘাটে নিরাপদে পৌঁছায়।
উদ্ধার হওয়া বর নিলয় হাসান বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে মাঝি কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। নারী ও শিশুসহ সবাই আতঙ্কে ছিল। সারা রাত তীব্র শীতের মধ্যে নদীর মাঝে কাটাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সবাই সুস্থভাবে ফিরতে পেরেছি, আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।’

আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা...
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১৯ মিনিট আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
৩০ মিনিট আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজসাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে নগরবাউল জেমস তাঁর দল নিয়ে ফরিদপুর পৌঁছান এবং স্থানীয় একটি গেস্ট হাউসে বিশ্রাম নেন।
রাত ৯টায় অনুষ্ঠানের র্যাফল ড্র চলাকালে জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে।
রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ভেতরে ঢুকতে না পেরে একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
রাত ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হামলাকারীরা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং অনবরত ইট মারতে থাকে। এতে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা শিক্ষার্থী ও দর্শকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আনিসুর রহমান সজল নামে একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন নিবন্ধিত সদস্য ভেতরে উৎসব করছিলাম। কিন্তু জেমস আসার খবরে বাইরে ২০-২৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়। হঠাৎ বৃষ্টির মতো বড় বড় ইট এসে আমাদের ওপর পড়তে থাকে। সাউন্ড সিস্টেমের মনিটর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। অদ্ভুত বিষয় হলো, পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখনো পুলিশ নীরব ছিল।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকলে এমন সহিংসতা এড়ানো যেত। তাঁরা অভিযোগ করেন, বড় কোনো আয়োজনে যে ধরনের নিরাপত্তা বলয় থাকা প্রয়োজন ছিল, এখানে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না।
এদিকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আয়োজক কমিটির অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করেছেন জেমস। নগরবাউলের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন গণমাধ্যমকে বলেন, " ‘আমরা কনসার্ট করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আয়োজকেরা আমাদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এটি আয়োজকদের স্পষ্ট অব্যবস্থাপনা।’ জেমস নিজেও ব্যক্তিগতভাবে একে আয়োজকদের ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত দশগুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুলের ভেতরের প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্যরা আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মতে, জেমসের মতো শিল্পীর অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জিলা স্কুলের মতো ছোট জায়গা বেছে নেওয়াটাই ছিল আয়োজকদের প্রথম ভুল।

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগতদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। সেখানে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান গাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেমস মঞ্চে পৌঁছার আগেই বহিরাগতদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে শেষ পর্যন্ত কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজসাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে নগরবাউল জেমস তাঁর দল নিয়ে ফরিদপুর পৌঁছান এবং স্থানীয় একটি গেস্ট হাউসে বিশ্রাম নেন।
রাত ৯টায় অনুষ্ঠানের র্যাফল ড্র চলাকালে জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে।
রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ভেতরে ঢুকতে না পেরে একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
রাত ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হামলাকারীরা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং অনবরত ইট মারতে থাকে। এতে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা শিক্ষার্থী ও দর্শকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আনিসুর রহমান সজল নামে একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন নিবন্ধিত সদস্য ভেতরে উৎসব করছিলাম। কিন্তু জেমস আসার খবরে বাইরে ২০-২৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়। হঠাৎ বৃষ্টির মতো বড় বড় ইট এসে আমাদের ওপর পড়তে থাকে। সাউন্ড সিস্টেমের মনিটর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। অদ্ভুত বিষয় হলো, পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখনো পুলিশ নীরব ছিল।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকলে এমন সহিংসতা এড়ানো যেত। তাঁরা অভিযোগ করেন, বড় কোনো আয়োজনে যে ধরনের নিরাপত্তা বলয় থাকা প্রয়োজন ছিল, এখানে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না।
এদিকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আয়োজক কমিটির অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করেছেন জেমস। নগরবাউলের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন গণমাধ্যমকে বলেন, " ‘আমরা কনসার্ট করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আয়োজকেরা আমাদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এটি আয়োজকদের স্পষ্ট অব্যবস্থাপনা।’ জেমস নিজেও ব্যক্তিগতভাবে একে আয়োজকদের ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত দশগুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুলের ভেতরের প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্যরা আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মতে, জেমসের মতো শিল্পীর অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জিলা স্কুলের মতো ছোট জায়গা বেছে নেওয়াটাই ছিল আয়োজকদের প্রথম ভুল।

আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। পাগল ছেলেটাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। খালি বুকটা যেন শান্তিতে ভরে গেল!’ হারানো ছেলে আবু হানজালাকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন মা মেহেরুন নেসা। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন আবু হানজালা...
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১৯ মিনিট আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
৩০ মিনিট আগে
মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে নিলয় হাসানের (২০) সঙ্গে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর-কনেসহ ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালীতলা ঘাট থেকে একটি বড় নৌকা মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।
৩৯ মিনিট আগে