এম মেহেদী হাসিন ও গোলাম কবীর বিলু, রংপুর ও পীরগঞ্জ

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে যাঁদের এক থেকে পাঁচটি গরু রয়েছে তাঁদের জন্য ১০ হাজার আর যাঁদের ছয় বা তার বেশি গরু রয়েছে তাঁদের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।
এই প্রণোদনা পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নে দেওয়া হয়েছে ১৮২ জনকে। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন খামারিরা।
মিঠিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে তোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তিকে তালিকা করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তোজাম্মেল গরিব খামারিদের নাম দেননি। টাকা নিয়ে ধনী ব্যক্তিদের নাম পাঠিয়েছেন।
গবরা কুতুবপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় জমিলা বেগম নামের এক খামারির সঙ্গে। তাঁর বাড়িতে রয়েছে পাঁচটি গরু। তিনি দাবি করেন, টাকা না দিতে পারায় প্রণোদনার তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়নি। তাঁকে না দিয়ে যাঁদের অনেক টাকা আছে তাঁদের ঘরে প্রণোদনা গেছে।
সোহরাব আলী নামের এক খামারি দাবি করেন, তালিকায় নাম আনার জন্য তাঁর কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু দিতে না পারায় তিনি প্রণোদনা পাননি।
বঞ্চিতরা জানান, মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সচ্ছল এই ব্যক্তির ২০ বিঘা জমি আছে। তিনি দুটি গরুর ওপর ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি কারও কাছে প্রণোদনার জন্য যাইনি। তোজাম্মেল আমার প্রতিবেশী। সে তালিকায় আমার নাম দিয়েছে।’
আরেক ব্যক্তি ইসাহাক আলীর একটি ইটভাটা ও ইলেক্ট্রনিক পণ্যের শো–রুম রয়েছে। তিনিও প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন। ইসাহাক বলেন, ‘আমি পোল্ট্রি খামারের ওপর ১৬ হাজার টাকা পেয়েছি। তবে কাউকে ঘুষ দিতে হয়নি। তোজাম্মেলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় প্রণোদনা পেয়েছি।’
তবে তোজাম্মেল হক বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। আমি সঠিকভাবে তালিকা দিয়েছি। যারা প্রণোদনা পায়নি তারা আমার নামে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, ‘প্রণোদনার জন্য খামারি নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের ভুল বা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে যাঁদের এক থেকে পাঁচটি গরু রয়েছে তাঁদের জন্য ১০ হাজার আর যাঁদের ছয় বা তার বেশি গরু রয়েছে তাঁদের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।
এই প্রণোদনা পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নে দেওয়া হয়েছে ১৮২ জনকে। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন খামারিরা।
মিঠিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে তোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তিকে তালিকা করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তোজাম্মেল গরিব খামারিদের নাম দেননি। টাকা নিয়ে ধনী ব্যক্তিদের নাম পাঠিয়েছেন।
গবরা কুতুবপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় জমিলা বেগম নামের এক খামারির সঙ্গে। তাঁর বাড়িতে রয়েছে পাঁচটি গরু। তিনি দাবি করেন, টাকা না দিতে পারায় প্রণোদনার তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়নি। তাঁকে না দিয়ে যাঁদের অনেক টাকা আছে তাঁদের ঘরে প্রণোদনা গেছে।
সোহরাব আলী নামের এক খামারি দাবি করেন, তালিকায় নাম আনার জন্য তাঁর কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু দিতে না পারায় তিনি প্রণোদনা পাননি।
বঞ্চিতরা জানান, মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সচ্ছল এই ব্যক্তির ২০ বিঘা জমি আছে। তিনি দুটি গরুর ওপর ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি কারও কাছে প্রণোদনার জন্য যাইনি। তোজাম্মেল আমার প্রতিবেশী। সে তালিকায় আমার নাম দিয়েছে।’
আরেক ব্যক্তি ইসাহাক আলীর একটি ইটভাটা ও ইলেক্ট্রনিক পণ্যের শো–রুম রয়েছে। তিনিও প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন। ইসাহাক বলেন, ‘আমি পোল্ট্রি খামারের ওপর ১৬ হাজার টাকা পেয়েছি। তবে কাউকে ঘুষ দিতে হয়নি। তোজাম্মেলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় প্রণোদনা পেয়েছি।’
তবে তোজাম্মেল হক বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। আমি সঠিকভাবে তালিকা দিয়েছি। যারা প্রণোদনা পায়নি তারা আমার নামে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, ‘প্রণোদনার জন্য খামারি নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের ভুল বা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৩৩ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের একটি ফিউজে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পড়ে মুহূর্তেই আগুন পাশের ঝুটগুদাম ও অপর একটি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি তদারকি না করার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. নূরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের একটি ফিউজে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পড়ে মুহূর্তেই আগুন পাশের ঝুটগুদাম ও অপর একটি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি তদারকি না করার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. নূরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
১৭ জুলাই ২০২১
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৩৩ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে ছিলেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনও আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জান্নাতারা রুমী বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে হুমকি পাচ্ছিলেন। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তিনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হচ্ছিলেন।’
হাজারীবাগ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে ছিলেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনও আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জান্নাতারা রুমী বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে হুমকি পাচ্ছিলেন। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তিনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হচ্ছিলেন।’
হাজারীবাগ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
১৭ জুলাই ২০২১
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেগঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
১৭ জুলাই ২০২১
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৩৩ মিনিট আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেশাহীন রহমান, পাবনা

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা উপযুক্ত ব্যক্তিদের না দিয়ে সচ্ছল, ইটভাটা ও শো–রুমের মালিকের মতো ব্যক্তিদেরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ খামারিরা এ ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
১৭ জুলাই ২০২১
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৩৩ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে