বেরোবি প্রতিনিধি

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ছাত্রদলের বেরোবি শাখা সভাপতি প্রার্থী ইমরান হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডার সহসভাপতি মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদনান, তাইজুল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি গঠনে সরাসরি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছেন। কমিটির জন্য সহসভাপতি এম এম মুসা আমার কাছে সরাসরি টাকা চেয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন ‘১০ লাখ টাকা দিলেই তুমি সভাপতি।’ আমি তাঁকে জানিয়েছি, ‘আমি ছাত্র রাজনীতি করব, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করব। আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি চাই। যেটা আমি পারিবারিকভাবেই পেয়ে আসছি। এগুলো বলার পরেও তিনি আমাকে বারবার বোঝান সভাপতি হলে নিয়োগ বাণিজ্য করবা, টেন্ডারগুলো নিবা। ইতিপূর্বে দেখছো না ক্যাম্পাসে লন্ড্রির দোকান পর্যন্ত এখানকার আহ্বায়ক খাচ্ছে? ছোটখাটো অনেক টেন্ডারও পাচ্ছে? ভিসি তো আমার ক্যাম্পাসের স্যার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিব। তাঁকে তুমি সাপোর্ট দিবা, বাকিটা আমি দেখব।’
ইমরান হোসেন উল্লেখ করেন, ‘এম এম মুসা তাঁকে বলেছেন “এই যে আমরা এসেছি তোমাদের কমিটি দিতে, এখানে আসা, থাকার খরচ তো লাগবে। নিজের টাকা দিয়ে তো আর তোমায় সভাপতি বানাতে পারি না।” পরে তাঁর কথা বিবেচনা করে আমার কষ্টে অর্জিত টাকা যেটা আমি কোচিং চালিয়ে, প্রাইভেট পড়িয়ে উপার্জন করেছি সেখান থেকে কয়েক ধাপে ২ লাখ টাকা তাঁর হাতে দিয়েছিলাম। এতেও সে সন্তুষ্ট হননি। পরে ২০ লাখ টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে কমিটি গঠনে।
এই অনিয়ম, দুর্নীতি ও দপ্তর বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্নাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা হাস্যকর, অগণতান্ত্রিক এবং প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। এই নেতারা ছাত্রদলের জন্য কাজ করতে গিয়ে ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন এবং ১০ বছর পর ছাত্রত্ব ফিরে পেয়েছেন। অথচ যাদের কারণে তাঁর ছাত্রত্ব একসময় আটকে গিয়েছিল, সেই বিতর্কিত ব্যক্তিদেরই আজ কমিটিতে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মুসা বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলে আমরা রানিং ছাত্রদের রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে যে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে, তা মিথ্যা। ছাত্রদলের কমিটিতে পদ না পাওয়ার কারণে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। সে যদি আমার বিরুদ্ধে ২০ লাখ কেন ২০ টাকার লেনদেনেরও প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আপনারা এটা খতিয়ে দেখবেন।’

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ছাত্রদলের বেরোবি শাখা সভাপতি প্রার্থী ইমরান হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডার সহসভাপতি মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদনান, তাইজুল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি গঠনে সরাসরি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছেন। কমিটির জন্য সহসভাপতি এম এম মুসা আমার কাছে সরাসরি টাকা চেয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন ‘১০ লাখ টাকা দিলেই তুমি সভাপতি।’ আমি তাঁকে জানিয়েছি, ‘আমি ছাত্র রাজনীতি করব, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করব। আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি চাই। যেটা আমি পারিবারিকভাবেই পেয়ে আসছি। এগুলো বলার পরেও তিনি আমাকে বারবার বোঝান সভাপতি হলে নিয়োগ বাণিজ্য করবা, টেন্ডারগুলো নিবা। ইতিপূর্বে দেখছো না ক্যাম্পাসে লন্ড্রির দোকান পর্যন্ত এখানকার আহ্বায়ক খাচ্ছে? ছোটখাটো অনেক টেন্ডারও পাচ্ছে? ভিসি তো আমার ক্যাম্পাসের স্যার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিব। তাঁকে তুমি সাপোর্ট দিবা, বাকিটা আমি দেখব।’
ইমরান হোসেন উল্লেখ করেন, ‘এম এম মুসা তাঁকে বলেছেন “এই যে আমরা এসেছি তোমাদের কমিটি দিতে, এখানে আসা, থাকার খরচ তো লাগবে। নিজের টাকা দিয়ে তো আর তোমায় সভাপতি বানাতে পারি না।” পরে তাঁর কথা বিবেচনা করে আমার কষ্টে অর্জিত টাকা যেটা আমি কোচিং চালিয়ে, প্রাইভেট পড়িয়ে উপার্জন করেছি সেখান থেকে কয়েক ধাপে ২ লাখ টাকা তাঁর হাতে দিয়েছিলাম। এতেও সে সন্তুষ্ট হননি। পরে ২০ লাখ টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে কমিটি গঠনে।
এই অনিয়ম, দুর্নীতি ও দপ্তর বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্নাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা হাস্যকর, অগণতান্ত্রিক এবং প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। এই নেতারা ছাত্রদলের জন্য কাজ করতে গিয়ে ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন এবং ১০ বছর পর ছাত্রত্ব ফিরে পেয়েছেন। অথচ যাদের কারণে তাঁর ছাত্রত্ব একসময় আটকে গিয়েছিল, সেই বিতর্কিত ব্যক্তিদেরই আজ কমিটিতে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মুসা বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলে আমরা রানিং ছাত্রদের রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে যে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে, তা মিথ্যা। ছাত্রদলের কমিটিতে পদ না পাওয়ার কারণে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। সে যদি আমার বিরুদ্ধে ২০ লাখ কেন ২০ টাকার লেনদেনেরও প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আপনারা এটা খতিয়ে দেখবেন।’

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের...
৬ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে...
১৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের...
৬ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের ৮টি আসন
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে বিদ্রোহীদের চাপে যোগ-বিয়োগ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা। মনোনীতরা ঐক্যের ডাক দিলেও বঞ্চিতরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এখনো সরব রয়েছেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নীরবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটটি আসনে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ তিনটি এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন ২টি করে আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নির্বাচনী জোটের হিসাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনকে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করে চলেছেন দিনরাত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দুজনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী সুশৃঙ্খল ও দলবদ্ধভাবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন প্রচারাভিযানে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সব নেতা-কর্মী তাঁর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে জামায়াতের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনে তিনবারের সাবেক এমপি। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নাসিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এ আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। উভয়েই সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। এই আসনে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের নায়েব আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে। এখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহসভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদ। তিনি ব্যাপকভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল আউয়াল লাভলু। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে এই আসনেই বিএনপির সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও ২৯ নভেম্বর লাভলুর সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত জুয়েল সরকারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। এই আসনে একাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হলেও হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা শাখার শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) ব্যাপক জটিল অঙ্কের আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। এরই মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আযম খান। এই দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে কয়েক শ নেতা-কর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এই আসনে দুবারের সাবেক এমপি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। বঙ্গবীর নির্বাচনে এলে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ নতুন করে সাজাবে বাসাইল-সখীপুরের বাসিন্দারা।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি দুই উপজেলাতেই প্রচার চালাচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে বিদ্রোহীদের চাপে যোগ-বিয়োগ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা। মনোনীতরা ঐক্যের ডাক দিলেও বঞ্চিতরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এখনো সরব রয়েছেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নীরবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটটি আসনে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ তিনটি এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন ২টি করে আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নির্বাচনী জোটের হিসাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনকে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করে চলেছেন দিনরাত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দুজনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী সুশৃঙ্খল ও দলবদ্ধভাবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন প্রচারাভিযানে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সব নেতা-কর্মী তাঁর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে জামায়াতের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনে তিনবারের সাবেক এমপি। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নাসিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এ আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। উভয়েই সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। এই আসনে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের নায়েব আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে। এখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহসভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদ। তিনি ব্যাপকভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল আউয়াল লাভলু। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে এই আসনেই বিএনপির সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও ২৯ নভেম্বর লাভলুর সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত জুয়েল সরকারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। এই আসনে একাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হলেও হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা শাখার শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) ব্যাপক জটিল অঙ্কের আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। এরই মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আযম খান। এই দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে কয়েক শ নেতা-কর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এই আসনে দুবারের সাবেক এমপি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। বঙ্গবীর নির্বাচনে এলে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ নতুন করে সাজাবে বাসাইল-সখীপুরের বাসিন্দারা।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি দুই উপজেলাতেই প্রচার চালাচ্ছেন।

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৬ ঘণ্টা আগে
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের...
৬ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দী নিজের ব্যবসা সামাল দিতে ‘জামায়াতের ঘাড়ে বসেছেন’।
খুলনা-১ আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির শেখ আবু ইউসুফকে প্রার্থী ঘোষণা করছিল দল। গত বুধবার এই প্রার্থিতা পরিবর্তন করা হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী। তিনি দাবি করেছেন, ২০০৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরকার পতনের পর তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়ার চুকনগর এলাকার এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কৃষ্ণ নন্দী আওয়ামী লীগের লোক। সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ডান হাত ছিলেন তিনি। ব্যবসা থেকে আয়ের বড় অংশ আওয়ামী লীগের জন্য ব্যয় করতেন। তিনি কীভাবে জামায়াতের সঙ্গে গেলেন বুঝি না।’
এদিকে নির্বাচনী মাঠ তৈরিতে কৃষ্ণ নন্দীকে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। এর মধ্যে রয়েছে, তিনি ডুমুরিয়ার বাসিন্দা নন। এলাবাসীর সঙ্গে তিনি পরিচিতও নন।
অন্যদিকে কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মীই মেনে নিতে পারছেন না। জামায়াতকে ঐক্যবদ্ধ করা তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ।
বটিয়াঘাটা কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম কৃষ্ণ নন্দী নামের একজনকে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে। তাঁর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। তিনি তো এ এলাকার বাসিন্দা নন, তিনি এসে কী করবেন?’
কৃষ্ণ নন্দী জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বটিয়াঘাটা কৈয়া বাজার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন।
তথ্য বলছে, দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দুধর্মের। সব মিলিয়ে এই আসনে হিন্দু ও খ্রিষ্টান ভোটার বেশি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করলেও হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের ভোট জামায়াতের পক্ষে টানা খুবই কঠিন।
সূত্র জানায়, হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে আবু ইউসুফকে প্রার্থী দিলেও পরে পরিবর্তন করে দেয় কৃষ্ণ নন্দীকে। এ নিয়ে দলটির তৃণমূল পর্যায়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি।’
জানতে চাইলে বটিয়াঘাটা উপজেলার এক মাদ্রাসাশিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মাওলানা আবু ইউসুফ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সব বয়সের মানুষ তাঁকে সম্মান করে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা কোনো অন্য ধর্মাবলম্বীর পক্ষে কাজ করব না।’
বিএনপির ডুমুরিয়ার এক নেতা বলেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট ক্ষুব্ধ জনতা তার ঘরবাড়িতে আগুন দেয়। চুকনগরে মোটরসাকেলের শোরুমসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আর নিজেকে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্যই এখন জামায়াতের ঘাড়ে বসেছে তিনি।
খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আর এর অংশ হিসেবে একজন হিন্দুকে মনোনয়ন দিয়েছে। হিন্দুবিদ্বেষী জামায়াতের হঠাৎ হিন্দুপ্রীতি কেন, তা জনগণ জানে। ভন্ড জামায়াতকে এ দেশের মানুষ বয়কট করবে।’

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দী নিজের ব্যবসা সামাল দিতে ‘জামায়াতের ঘাড়ে বসেছেন’।
খুলনা-১ আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির শেখ আবু ইউসুফকে প্রার্থী ঘোষণা করছিল দল। গত বুধবার এই প্রার্থিতা পরিবর্তন করা হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী। তিনি দাবি করেছেন, ২০০৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরকার পতনের পর তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়ার চুকনগর এলাকার এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কৃষ্ণ নন্দী আওয়ামী লীগের লোক। সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ডান হাত ছিলেন তিনি। ব্যবসা থেকে আয়ের বড় অংশ আওয়ামী লীগের জন্য ব্যয় করতেন। তিনি কীভাবে জামায়াতের সঙ্গে গেলেন বুঝি না।’
এদিকে নির্বাচনী মাঠ তৈরিতে কৃষ্ণ নন্দীকে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। এর মধ্যে রয়েছে, তিনি ডুমুরিয়ার বাসিন্দা নন। এলাবাসীর সঙ্গে তিনি পরিচিতও নন।
অন্যদিকে কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মীই মেনে নিতে পারছেন না। জামায়াতকে ঐক্যবদ্ধ করা তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ।
বটিয়াঘাটা কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম কৃষ্ণ নন্দী নামের একজনকে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে। তাঁর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। তিনি তো এ এলাকার বাসিন্দা নন, তিনি এসে কী করবেন?’
কৃষ্ণ নন্দী জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বটিয়াঘাটা কৈয়া বাজার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন।
তথ্য বলছে, দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দুধর্মের। সব মিলিয়ে এই আসনে হিন্দু ও খ্রিষ্টান ভোটার বেশি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করলেও হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের ভোট জামায়াতের পক্ষে টানা খুবই কঠিন।
সূত্র জানায়, হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে আবু ইউসুফকে প্রার্থী দিলেও পরে পরিবর্তন করে দেয় কৃষ্ণ নন্দীকে। এ নিয়ে দলটির তৃণমূল পর্যায়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি।’
জানতে চাইলে বটিয়াঘাটা উপজেলার এক মাদ্রাসাশিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মাওলানা আবু ইউসুফ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সব বয়সের মানুষ তাঁকে সম্মান করে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা কোনো অন্য ধর্মাবলম্বীর পক্ষে কাজ করব না।’
বিএনপির ডুমুরিয়ার এক নেতা বলেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট ক্ষুব্ধ জনতা তার ঘরবাড়িতে আগুন দেয়। চুকনগরে মোটরসাকেলের শোরুমসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আর নিজেকে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্যই এখন জামায়াতের ঘাড়ে বসেছে তিনি।
খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আর এর অংশ হিসেবে একজন হিন্দুকে মনোনয়ন দিয়েছে। হিন্দুবিদ্বেষী জামায়াতের হঠাৎ হিন্দুপ্রীতি কেন, তা জনগণ জানে। ভন্ড জামায়াতকে এ দেশের মানুষ বয়কট করবে।’

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থীর (পদবঞ্চিত) কাছে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে...
১৬ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে