Ajker Patrika

বুড়িমারী থেকে ট্রেন চালুর দাবি, সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলপথ অবরোধের সময় স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলপথ অবরোধের সময় স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকাগামী দুটি ট্রেন বুড়িমারী ও লালমনি এক্সপ্রেস লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে চালুর দাবিতে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে জেলার হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে রেলপথ ও বন্দরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। এতে তিনটি ট্রেনসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেও অবরোধ চলতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, লালমনিরহাটে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুড়িমারী-ঢাকা রেলরুটে চলতি বছর ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’। উদ্বোধনের পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বুড়িমারীতে আসেনি বহুল কাঙ্ক্ষিত এই ট্রেন। লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার রুটে চলাচল করে। কিন্তু পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেল স্টেশন এই ট্রেন চালুর দাবি দীর্ঘদিনের স্থানীয় মানুষের। দাবি পূরণে আন্তনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস নাম পেলেও বুড়িমারী স্টেশন থেকে যাতায়াত করছে না।

এ ছাড়া, বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় থাকার সময় লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস চালু হয়। সেটিও জেলা শহর থেকে যাত্রা করছে। ফলে ট্রেন দুটি লালমনিরহাট জেলাবাসীর জন্য হলেও সদর উপজেলা ব্যতীত বাকি চার উপজেলা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও ইমিগ্রেশনের যাত্রীরা সুবিধা বঞ্চিত রয়েছেন। এসব যাত্রীকে এ দুই ট্রেনে যাতায়াত করতে প্রায় একশত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।

স্থানীয়দের কর্মসূচি

দাবি পূরণের জন্য সড়কে অবস্থান, স্মারকলিপি ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় সচেতন মানুষ। প্রশাসন ও রেলভবন শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। কার্যত কোনো সুফল পায়নি চার উপজেলার মানুষ। তাই আবারও দাবি আদায়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী রেলরুটের হাতীবান্ধা স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করেন। এতে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনটি হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে, বুড়িমারীগামী আন্তনগর করতোয়া এক্সপ্রেস কালীগঞ্জের কাকিনা স্টেশনে ও একই পথে আদিতমারী স্টেশনে অপর একটি কমিউটার ট্রেন আটকা পড়েছে।

একই দাবিতে আজ বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার বন্দর এলাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে উভয় পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়কে শুয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তারা নামাজও আদায় করেন মহাসড়কে। ফলশ্রুতিতে ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলতে দেখা গেছে।

হাতীবান্ধা সচেতন জনগণের পক্ষে ফিরজ হোসেন বলেন, নামকরণ বুড়িমারী এক্সপ্রেস হলেও বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় না। বুড়িমারী ও হাতীবান্ধা মানুষের দাবি খুব দ্রুত ট্রেন দুটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটের চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।

হাতীবান্ধা পাটগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জয়নাল আবেদিন সরকারের ছেলে শাহিদুজ্জামান কোয়েল, কমরেড শওকত হোসেন, সচেতন জনগণের পক্ষে ফিরজ হোসেন, নিশাত ফারুক, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু, সচেতন মহলের পক্ষে শামসুল আলম খান বুলেট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তাওহী, মহসিনসহ অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালাম বলেন, রেল ও সড়ক পথ অবরোধকারীদের সঙ্গে আমরাও একমত। তবে রেক স্বল্পতা ও ট্রেনের যাত্রা শুরু ও শেষ স্টেশনে কিছু অনুষঙ্গে প্রয়োজন। যা বাজেট স্বল্পতার কারণে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবগত করা হচ্ছে। অবরোধকারীদেরকেও বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অবরোধকারীরা কয়েকদিন সময় দিলে দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।

রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।

আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত