Ajker Patrika

ফার্মেসিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিটে ব্যবস্থাপত্র লিখছিলেন বিক্রয় প্রতিনিধি

মেহেদী হাসান (দিনাজপুর) ফুলবাড়ী
ফার্মেসিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিটে ব্যবস্থাপত্র লিখছিলেন বিক্রয় প্রতিনিধি

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে এক ফার্মেসির দোকানে বসে জরুরি বিভাগের ৩ টাকার টিকিটে (ব্যবস্থাপত্র) চিকিৎসকের পরিবর্তে ওষুধের নাম লিখছিলেন এক ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। এ সময় স্থানীয় এক যুবক ওই প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তখন ওই প্রতিনিধি উত্তেজিত হয়ে পড়লে দুজনের মধ্য বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে মা ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই এলাকার মানুষের মধ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় থানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো রোগী এলে প্রথমেই তিনি জরুরি বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেবেন। এ সময় ওই রোগী চিকিৎসার জন্য ৩ টাকার মূল্যমানের একটি টিকিট নেবেন, তাতে (ব্যবস্থাপত্র) ওষুধের নাম ও সেবনের নিয়ম লিখে দেবেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। 

কিন্তু সোমবার ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে মা ফার্মেসিতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এই দোকানে বসে এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আবু সাইদ জরুরি বিভাগের ৩ টাকা মূল্যমানের ওই টিকিটে লিখছিলেন ওষুধের নাম। এ সময় স্থানীয় যুবক শাহিনুল বাশার ফিজার বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কী ডাক্তার? আর এখানে বসে কেন সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ লিখছেন?

এ সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই যুবক হাসপাতালের টিকিটগুলো নিয়ে নেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন আজ মঙ্গলবার দুপুরে শাহিনুল একটি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে পাওয়া জরুরি বিভাগের তিন টাকার ছয়টি টিকিট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন এবং অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। 

এরপর স্থানীয় একজন সাংবাদিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলেও তাঁরা ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপত্র বাইরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে স্থানীয়রা। 

এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক শাহিনুল বাশার বলেন, ‘আমি ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখতে পাই, একজন ব্যক্তি ওখানে বসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ টাকার টিকিটে ওষুধ লিখছেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি কী ডাক্তার? এ সময় তিনি নিজেকে এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন। এ সময় তার কাছে থাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিটগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করি, ‘‘সরকারি হাসপাতালের এতগুলো টিকিট কী করে আপনার কাছে এল? চিকিৎসক না হয়েও কী করে তাতে ওষুধ লিখছেন?’ ’ কথা বলার একপর্যায়ে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।’ 

এ বিষয়ে জানতে এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আবু সাঈদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত জানিয়ে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলব।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে জানা যায় তিনি বাইরে আছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শাকিলুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট কীভাবে বাইরে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জরুরি বিভাগে অনেক লোকজন আসা যাওয়া করে; তা ছাড়া ওই টিকিট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। টিকিট কেউ ছাপিয়েও নিতে পারে, তবে স্থানীয়রা যাকে অভিযুক্ত করছেন তার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’ 

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। 

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. বোরহানুল সিদ্দিক বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাক, আমার স্টাফ হলেও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের চেষ্টা: ব্যর্থ হয়ে ১৪ জনকে ফেরত নিল বিএসএফ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত