আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৭ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৭ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৭ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৭ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে