Ajker Patrika

বাঘায় পুরোনো আমবাগান কেটে আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা

গোলাম তোফাজ্জল, বাঘা (রাজশাহী)  
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ২১: ২৮
বাঘায় পুরোনো আমবাগান কেটে আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা

রাজশাহীর বাঘায় বিশ থেকে পঁচিশ বছর বয়সী বড় বড় আমবাগান কেটে ফেলছেন চাষিরা। আম বাগান কাটার এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আম গাছ কেটে ফেলছেন বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকেরা। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আমবাগান কাটা হলেও সেসব স্থানে লাগানো হচ্ছে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের রপ্তানিযোগ্য আমগাছ।

এদিকে আমবাগান কেটে সবজিসহ নানা আবাদ করছেন চাষিরা। আবার অনেকে স্ট্রবেরি, পেয়ারা ও কুল চাষেও ঝুঁকছেন। আমবাগান উজাড় করে অনেকেই ওই জমি স্ট্রবেরি, পেয়ারা ও কুল চাষের জন্য বছর হিসাবে চড়া দামে ভাড়া (লিজ) দিচ্ছেন। এরই মধ্যে পুরোনো অনেক আমবাগান কেটে খনন করা হয়েছে পুকুর, বাড়ানো হয়েছে আবাদযোগ্য জমি। এতে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। তাতে ফজলি ল্যাংড়া, ক্ষীরসাপাত, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ অম্র রুপালীসহ বেশ কিছু নতুন জাতের আম বাগান করা হয়েছে। গড়ে বছরে সর্বাধিক ১২ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। এর মধ্যে আম গাছের সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০। এ বছরে শতাধিকের উপড়ে আম বাগান কাটা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক চাষিরা পুরোনো এসব আমবাগান কেটে উচ্চফলনশীল বিভিন্ন নতুন জাতের আম চাষে ঝুঁকেছেন।

আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আম গাছ কেটে ফেলছেন বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকাসম্প্রতি উপজেলার দিঘা, বাউসা, তেঁথুলিয়া, আড়ানী পাঁচপাড়া সোনাদহ, বেড়েরবাড়ি,বলিহার, তুলশিপুর, গড়গড়ি সরেরহাট, খায়েরহাট পাকুড়িয়া, কালিদাসখালী, নওটিকা, আরিফপুরসহ পদ্মার চরের মাঝে চকরাজপুর, পলাশী ফতেপুরসহ বিভিন্ন আমঘন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মালিকেরা বড় বড় বাগান কেটে সাবাড় করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, আম বছরে একবারই ফলে। ভালো হলে বাগান মালিক ভালো টাকা পায়। কিন্তু এক দশক ধরে নওগাঁ, সাতক্ষীরা, রংপুর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও বান্দরবান পার্বত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বেশি এলাকায় আম উৎপাদন হওয়ায় বাজার হারাচ্ছে আম। ক্রমাগত আর্থিক লোকসানে নিরুপায় চাষিরা বাগান কাটছেন। ফলে রাজশাহীর বাঘার প্রসিদ্ধ সুমিষ্ট ঐতিহ্যবাহী আম নির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস হতে চলেছে  জানান চাষিরা।

আজ রোববার সরেজমিন কথা হয় দিঘা গ্রামে আব্দুল বারী সঙ্গে। তিনি জানান, আম গাছ কেটে দেড় বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছিলেন। সকল খরচ বাদে তাঁর ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। পরবর্তীতে জমিতে পাট ও ধানের চাষ করবেন।  

উপজেলার দিঘা গ্রামের বাগান মালিক আবুল কালাম আজাদ। আট বিঘা জমির বাগান থেকে পরিচর্যা খরচ বাদে বছরে দেড় লাখ টাকা ঘরে তুলতেন। কয়েক বছর ধরে খরচই তুলতে পারেননি তিনি। এ কারণে সম্প্রতি বাগানের শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছেন তিনি। এখন সে জমিতে নানা রকম ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার বারুদিপাড়া গ্রামের আম চাষি মজিবর রহমান সম্প্রতি তার বাগানের ছোট-বড় এক শ গাছই কেটে ফেলেছেন। সরেরহাট গ্রামের মোমিনুল ইসলাম হিটলার ও তার চাচার কয়েক বিঘার আমবাগান কেটে ফেলেছেন।

আমবাগান কাটা হলেও সেসব স্থানে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের রপ্তানিযোগ্য আমগাছ লাগানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকাআড়পাড়া গ্রামের আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, লোকসানের কারণে অনেক চাষি বাগান কেটে ফেলছেন। বাঘার অনেক মানুষের জীবিকার উৎস আমবাগান। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনছেন চাষিরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে ধাননির্ভর নওগাঁ জেলা ব্যাপকভাবে আম চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। এখন চাহিদার তুলনায় আমের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এ কারণে দাম পাচ্ছে না চাষিরা।

শুধু তাই নয়, অন্য জেলাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আম বিক্রি করা, সেই সঙ্গে ৫২ কেজি মন ধরে ঢলন পদ্ধতিতে আম বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। চাষিরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ক্রমবর্ধমান সময়ে চাষযোগ্য আবাদি জমি কমেছে। এরই মধ্যে শস্য জাতীয় ফসলের আবাদ ভালো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাজার দর ভালো পাওয়ায় জমির লিজ মূল্যে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এতে আম বাগানের চেয়ে নিজে আবাদ করলে অথবা লিজে কৃষকের ভালো করছেন।

উপজেলার পানিকামড়া গ্রামের আমবাগানের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন জাতের রপ্তানিমুখী আমের বাগান করেছেন। বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘন পদ্ধতিতে বাগান করে স্বপ্ন দেখছেন।

আমচাষি জিল্লুর রহমান ও অরুণ কুমার জানান, এ পদ্ধতিতে অসময়ে অল্প জায়গায় কম পরিচর্যা ও কম খরচে বেশি আম পাওয়া যাবে। বাগানের ১০টি আম গাছ কেটে ৩০০ হাইব্রিড আম গাছ লাগিয়েছি। এতে উৎপাদন পরিমাণে বেশি হবে। পরিচর্যা খরচও কম। 

আম চাষি আব্দুল কুদ্দুস জানান, বাগান পরিচর্যা খরচ বেশি হওয়ায় এবং কয়েক বছর ধরে আমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। তিনি ৫ বিঘা বাগান কেটে ফেলেছেন। ওই জমি এক বছরে বিঘাপ্রতি হিসাবে ২৫ হাজার টাকা করে জন্য ভাড়া দিয়েছেন। এতেই তাঁর ভালো আয় হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলায় অলাভজনক পুরোনো বড় আম গাছ কাটা হচ্ছে। আমবাগান কাটা হলেও সেসব স্থানে লাগানো হচ্ছে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের রপ্তানিযোগ্য আমগাছ। তাই আমবাগান যেমন বাড়ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহীন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা (৩২), আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন (৫০) ও সাফিয়ার রহমান ফকিরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিস্ফোরণের পর মাদ্রাসা ভবন থেকে বিপুল দাহ্য ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনীতে খালেদা জিয়ার আসনে বিএনপির ৩ নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ফেনী প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া দলের আরও তিন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাবীবুর রহমান নান্টু ও তাঁর ছেলে মজুমদার আরিফুর রহমান। তবে আরিফুর রহমান নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করলেও তাঁর দলীয় পদ-পদবি জানা যায়নি।

রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, সাধারণত কোনো দলের প্রধানের নিজ আসনে দলীয় প্রার্থী তাঁকে ঘিরেই চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেখানে বিএনপি থেকে একই আসনে আরও তিনজন মনোনয়ন সংগ্রহকে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ ও নেতৃত্বের মর্যাদা পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত বহন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী-১ (ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম) আসনে ভোটের প্রচার-প্রচারণায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকের ভোট চাইতে দেখা গেছে রফিকুল আলম মজনুকে। তিনি ওই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সমন্বয়ক।

এ ছাড়া মজুমদার আরিফুর রহমানও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আগে গণমাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন, নিজে নির্বাচন করবেন না, শুধু খালেদা জিয়ার জন্য ভোট চাইবেন। হঠাৎ করে তিনি ও তাঁর বাবা (হাবীবুর রহমান নান্টু) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মজুমদার আরিফুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সভায় ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কল করতে বলেন। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হোসেন বলেন, ‘এই আসনে আমাদের প্রার্থী খালেদা জিয়া। যদি কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ রফিকুল আলম মজনু। অন্য কেউ প্রার্থী হলে লাভ হবে না।’

এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারা মনোনয়ন নিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে যেখানে ম্যাডাম নিজে মনোনয়ন নিয়েছেন, সেখানে অন্যদের মনোনয়ন নেওয়ার দুঃসাহস তাঁরা কেন দেখাচ্ছেন, সেটা বুঝে ওঠা কঠিন। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তখন বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ধানের শীষের বিপক্ষে লড়বেন খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস মতিন

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিনের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে একই দিন বিকেলে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত সচিব মতিন খান কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার মতিন খান বলেন, ‘এই আসন থেকে কখনোই বহিরাগত কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বিএনপি থেকে হোমনা-তিতাস উপজেলার মধ্য থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষা করে আসনের বাইরের একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে জনগণ ও দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাপেই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে।’

মতিন খান আরও বলেন, ‘জনগণ যদি আমাকে সেবা করার সুযোগ দেয়, আমি তাদের একজন সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রয়াত এম কে আনোয়ারের (সাবেক মন্ত্রী) অসমাপ্ত উন্নয়নকাজগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব, ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে: বদিউল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক হতে হবে। এসবের জন্য সুদূরপ্রসারী সংস্কার দরকার।’

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। সুজনের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি এই বৈঠকের আয়োজন করে।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে কতগুলো বাধা আছে, সেসব বাধা দূর করা দরকার। দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক অঙ্গন, দুর্বৃত্তায়িত নির্বাচনী অঙ্গন, টাকার খেলা, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে এ ক্ষেত্রে সোচ্চার ভূমিকা পালন করা কিংবা তাদের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হবে।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া, সুজন চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত