Ajker Patrika

পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

একে অপরকে ‘আ.লীগ’ বললেন দুই ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ৫০
সংবাদ সম্মেলনে ফ্ল্যাটে ঢোকার ফুটেজ দেখান মেহেদী হাসান সিজার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে ফ্ল্যাটে ঢোকার ফুটেজ দেখান মেহেদী হাসান সিজার। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে দুই ভাই একে-অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে দুজনই একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি তুলেছেন। প্রমাণ হিসেবে বড় ভাই ছাত্রলীগের নেতার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের ছবি দেখিয়েছেন। আর ছোট ভাই দেখিয়েছেন তাঁর বড় ভাইকে দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রত্যয়নপত্র।

রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সিজার ও তাঁর ছোট ভাই মাহমুদ হাসান শিশিল শনিবার এই পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাঁদের বাবার নাম মাহবুব আলম। প্রয়াত মাহবুব আলম রাজশাহীতে এক নামে ‘মাহবুব কন্ট্রাক্টর’ নামে পরিচিত। মাহবুব আলমের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে।

জানা গেছে, এঁদের মধ্যে শিশিল রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। গত বৃহস্পতিবার তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা নগরের পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল ভবন ঘেরাও করেন। প্রচার করা হয়, এই ভবনে নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি অবস্থান করছেন। পরে ষষ্ঠতলার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। এই ফ্ল্যাটে থাকেন সিজারের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার মুক্তা। সেখানে তল্লাশি চলাকালেই যুবলীগ নেতা রনি জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ফায়সাল সরকার ডিকোকে ফোন করেন। বলেন, ‘এত কষ্ট করে লাভ নেই। তিনি আছেন অনেক দূরে।’ এরপরই রনিকে ধরার ওই অভিযান শেষ হয়। তারপর হাবিবা আক্তার মুক্তা অভিযোগ তোলেন, যুবলীগ নেতা রনিকে ধরতে এই তল্লাশি নয়। তাঁর জামাতা সিজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তাঁদের ভয় দেখাতে ‘মব’ সৃষ্টি করা হয়েছে। তল্লাশির নামে বাড়িতে চালানো হয়েছে লুটপাট। এই অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে শিশিলসহ কয়েকজনের নামে তিনি থানায় মামলাও করেন। পরে শনিবার সকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন হাবিবা আক্তার মুক্তা ও তাঁর জামাতা সিজার। আর বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শিশিল।

সকালে সংবাদ সম্মেলনে সিজার দাবি করেন, তাঁর ভাই বাবার রেখে যাওয়া ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সম্পদ একাই ভোগদখল করছেন। তাঁকে কিছুই দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর বাবার দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও নিয়েছেন ছোট ভাই শিশিল। একজন দুটি অস্ত্র না পেলেও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ডিও লেটার দিয়েছিলেন শিশিলের পক্ষে। ফলে জেলা প্রশাসন দুটি আগ্নেয়াস্ত্রই শিশিলকে দিয়েছে। এ সময় ভাইকে ‘আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ’ প্রমাণ করতে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীবসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে শিশিলের ছবি দেখান সিজার।

বিকেলে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিশিল। সেখানে তিনি ভাইয়ের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। দাবি করেন, তাঁর ভাই-ই ছাত্রলীগ করতেন। তাঁর ভাই ২৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তখন তাঁর জন্য সুপারিশ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। এই প্রত্যয়নপত্রে সিজারকে ছাত্রলীগ বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রত্যয়নপত্রটি দেখান।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহমুদ হাসান শিশিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহমুদ হাসান শিশিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিশিল দাবি করেন, ‘মব’ সৃষ্টি করে ভয় দেখাতে তাঁরা তাঁর ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাননি। তাঁরা খবর পান যে ওই বাড়িতে যুবলীগ নেতা অবস্থান করছেন এবং কিছু মানুষ ভবনটি ঘেরাও করেছেন। ‘উত্তেজনা প্রশমিত’ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে তাঁরা সেখানে যান। যাওয়ার পরে তাঁরা জানতে পারেন, এটি বড় ভাইয়ের শ্বশুরের ফ্ল্যাট। মামলাটি মিথ্যা দাবি করে তিনি দ্রুত সেটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিশিলের সঙ্গে মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ফায়সাল সরকার ডিকো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান জনি, নগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন ‘ভারতীয় নাগরিককে’ ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নারীসহ তিন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁরা ভারতের আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরবোয়ালমারী সীমান্তের ১০৫৯ নম্বর আন্তর্জাতিক মূল পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতের কুকুরমারা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ঠেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুশ ইন করা তিন ব্যক্তি হলেন আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার সামগুরা থানার সালথা এলাকার বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫২), একই জেলার কলিয়াবর থানার আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী (৬৬) ও রোহা থানার সমস আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৬)। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও আজাহার আলী জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে একজন নারী ও দুজন পুরুষকে ভোররাতে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দিয়েছে। তাঁরা দাঁতভাঙা ইউনিয়নের তেকানিগ্রাম-বাঘেরহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ভারতের নাগরিক বলে নিজেদের পরিচয় দেন।

জানতে চাইলে বিজিবির গয়টাপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মানিক মিয়া বলেন, ‘নারীসহ ভারতীয় তিন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তবে তাঁরা কোথায় আছেন, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর নারীসহ আসামের ৯ নাগরিককে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সীমান্তপথে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে তাঁদের আটক করে ফেরত পাঠায় বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ঘের থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে মিলন শেখ (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পারনওয়াপাড়া গ্রামে নিজের ঘের থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো পারনওয়াপাড়া এলাকায় নিজের মাছের ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য যান মিলন। সকাল ১০টার পরেও বাড়িতে না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজ ঘেরের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত