Ajker Patrika

আদমদীঘিতে রেললাইনের পাশ থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আদমদীঘিতে রেললাইনের পাশ থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ার আদমদীঘিতে রেল লাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত (৬৫) এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ রোববার সকালে সান্তাহার-বোনারপাড়া রেল লাইনের নসরতপুর রেলওয়ে স্টেশনের কোঁচকুড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

মরদেহের পরনে ফুল প্যান্ট, চেক জ্যাকেট, হলুদ-কালো রং মিশ্রিত গেঞ্জি ছিল। এ ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান হোসেন জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি রেল লাইনের পাশ ঘেঁষে হেঁটে নসরতপুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় তিনি মারা যান। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর হাতিরঝিলে দুই শিশুর মৃত্যু ও মা-বাবার অসুস্থতা ঘিরে রহস্য

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন ওয়ারলেস মোড় এলাকার একটি বাসা থেকে দুই সহোদর শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই শিশুর নাম আফরিদা চৌধুরী (১০) ও তার ছোট ভাই এক বছর বয়সী ইলহাম চৌধুরী। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ ওয়ারলেস মোড় ৯১ নম্বর এসএইচএস টাওয়ারের নিচে গ্যারেজে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। আজ রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন মিয়া জানান, শনিবার রাতে ওই বাসার নিচে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা শিশু দু’টির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তবে তাদের শরীরে কোনো রকমের জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এমআই সুমন মিয়া পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শিশুদের বাবা মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী একটি তৈরি পোশাক কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং মা সাইদা জাকাওয়াত আরা গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার মুঘলটুলি এলাকায়। বর্তমানে ওয়ারলেস মোড়ের ওই বাসায় থাকেন। প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয়দের এবং পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই শিশুসন্তানসহ তাদের বাবা-মা খাবার খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে মেয়ে আফরিদা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে শনিবার সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরিবার যখন তাঁর মরদেহ বাসায় নিয়ে আসে, তখন ছেলে ইলহামও বমি করা শুরু করে। অসুস্থ হয়ে পড়া দেখে পরবর্তীতে তাকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

এসআই সুমন মিয়া আরও বলেন, একই খাবার খেয়ে তাদের বাবা-মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে তাঁরা চিকিৎসা শেষে সুস্থ আছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবার বিষক্রিয়ার কারণে এই দুই শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই খাবার তাঁরা বাসায় রান্না করেছিলেন নাকি বাইরে থেকে কিনে এনেছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে শিশুদের চাচা তৌহিদ আলম চৌধুরী বলেন, আফরিদা বেইলি রোডের ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৬ ডিসেম্বর আফরিদার জন্মদিন ছিল। বাবা-মা দুই সন্তানকে নিয়ে বাইরে কোনো এক রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছিলেন। চার দিন পরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই খাবার খেয়ে, না-কি অন্য কোনো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন তা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানতে পারব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন, আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর এলাকা থেকে আশিকুর রহমান ও কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযানে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)। এর আগে আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি এই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত