Ajker Patrika

এমপির আশীর্বাদে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক তাঁরা

  • সাবেক এমপির আশীর্বাদে দুজনই হয়েছিলেন দুই উপজেলার চেয়ারম্যান
  • জাহাঙ্গীর ও ময়নার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করা হয়েছে
  • সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর সব অপকর্মের সঙ্গী ছিলেন দুই উপজেলা চেয়ারম্যান
 রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭: ২১
লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না ও জাহাঙ্গীর আলম।
লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না ও জাহাঙ্গীর আলম।

একজন ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীর বাড়ির কাজের লোক। আরেকজন হুন্ডির কারবারি। কিন্তু সাবেক এমপির আশীর্বাদে দুজনেই হয়েছিলেন দুই উপজেলার চেয়ারম্যান। অবৈধ পথে বিপুল অর্থবিত্তেরও মালিক হয়েছেন তাঁরা। অবশেষে সাবেক এই দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাঁরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না। দুজনে দুই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর লাপাত্তা হওয়া সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর সব অপকর্মের সঙ্গী ছিলেন এ দুজন। এখন তাঁরাও ত্মগোপনে।

হুন্ডি কারবারি ছিলেন জাহাঙ্গীর

গোদাগাড়ীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি পৌরসভার সারেংপুর মহল্লায়। স্থানীয় সূত্র বলেছে, ১৯৯১ সালে জমজমাট ছিল গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ করিডর। এই করিডরে আসা গরুর রাখালি করতেন জাহাঙ্গীর। তারপর নিজেই ভারত থেকে গরু আনা শুরু করেন। গরু আনতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন হুন্ডি কারবারে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকারের সময় তাঁর এক আত্মীয় পৌরসভার মেয়র হলে তিনি ঠিকাদারি শুরু করেন। তখন এলাকার লোকজন তাঁকে যুবদল নেতা হিসেবেও চিনতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে জাহাঙ্গীর আলম এলাকার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। নিয়ন্ত্রণ নেন খাদ্যগুদামে ধান-চাল সরবরাহ সিন্ডিকেটের। খুশি হয়ে ফারুক চৌধুরী তানোরের একটি কলেজের প্রভাষক হিসেবেও জাহাঙ্গীরকে নিয়োগ দেন। এরপরই তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উপজেলা সভাপতির পদ পান। ফারুকের ইচ্ছায় হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যানও।

স্থানীয় লোকজন জানান, টিআর-কাবিখা থেকে বিপুল টাকা হাতিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ৩ হাজার টাকা করে আদায় করতেন উপকারভোগীদের কাছ থেকে। এ ছাড়া কোনো নির্বাচন এলেই এলাকার মাদক কারবারিদের কাছ থেকে তুলতেন বিপুল অঙ্কের টাকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহীর নিউমার্কেটে সাবেক এমপি ফারুকের থিম ওমর প্লাজায় ৫০ লাখ টাকায় কিনেছেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। কিনেছেন চারটি দোকানও। নিউমার্কেট এলাকায় একটি মুদিদোকানও কিনেছেন তিনি। গোদাগাড়ীতে জালিয়াতি করে খাসপুকুর দখলের অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মৌজায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি কেনারও তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই তাঁর খোঁজ নেই।

ফারুকের কাজের লোক ছিলেন ময়না

তানোরের চৌরখোর গ্রামে বাড়ি ময়নার। এ গ্রামেই বাড়ি ওমর ফারুক চৌধুরীর। বাবার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কিশোর বয়সে ফারুক চৌধুরীর কাজের লোক হিসেবে কাজ শুরু করেন ময়না। জমি-জায়গার দেখভাল থেকে শুরু করে ঠিকাদারি কাজের দায়িত্বও পালন করেন। ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দিলে ময়নাও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ২০০৬ সালে তাঁকে কলমা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদে বসান ফারুক।

ফারুক চৌধুরীর সমর্থন নিয়ে ময়না ২০১১ এবং ২০১৬ সালে পরপর দুবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হন। ২০১৫ সালে তিনি তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হন। পরবর্তী সময়ে তানোরে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতির মূল নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং জয়ী হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ময়না।

স্থানীয়রা জানান, কলমা ইউনিয়নের চৌরখোর, বংশিধরপুর এবং পাশের নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কুণ্ডহরি মৌজায় প্রায় ১০০ বিঘার আমবাগান গড়ে তুলেছেন ময়না। এর মধ্যে ৩০ বিঘা জমি তিনি কিনেছেন, বাকি ৭০ বিঘা সরকারি জলাশয়ের জমি দখল করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী সরকারের আমলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ময়নার মাধ্যমে।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ সময় ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় ময়না টিআর এবং কাবিখা প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। রাজশাহী শহরে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে ময়না আত্মগোপনে।

দুজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাহাঙ্গীর ও ময়নার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত বুধবার মামলা করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের নামে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। আর ময়নার নামে তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬১১ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাহাঙ্গীর ও ময়নার আয়বহির্ভূত এ সম্পদ খুঁজে পেয়েছে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

‎অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

‎আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।

‎গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

‎গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

‎ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, স্বাক্ষরের স্থলে আঙুলের ছাপ

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে দলীয় প্রধানের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের (লালু) নেতৃত্বে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে মনোনয়নপত্রে তাঁর স্বাক্ষরের বদলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বেলা দেড়টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জানান তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ করছেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের বদলে তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) ও তারেক রহমান বগুড়া-৭ (সদর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত