Ajker Patrika

বিএনপি-জামায়াত রেলকে পরিত্যক্ত করেছিল, শেখ হাসিনা পুনরুদ্ধার করেছেন: রেলমন্ত্রী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৮: ১২
বিএনপি-জামায়াত রেলকে পরিত্যক্ত করেছিল, শেখ হাসিনা পুনরুদ্ধার করেছেন: রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশের রেল বিভাগকে পরিত্যক্ত করেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তা পুনরুদ্ধার করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৃথকভাবে রেলসেতু তৈরি হচ্ছে। সেখানে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন যাবে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন চত্বরে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

রেলমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করেও রুখতে পারেনি। জনগণের শক্তির ওপর ভর করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জনগণের টাকায় সেতু করব। যা বাস্তবায়ন করেছেন। পদ্মা সেতুতেও রেলসেতু হচ্ছে। 

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সব রেল যোগাযোগ ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর থেকে বন্ধ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো চালু করেছে। দেশের সব পরিবহনে ভাড়া বেড়েছে, কিন্তু ট্রেনে ভাড়া বাড়েনি। আগে যা ভাড়া ছিল, এখনো তা-ই আছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করা হলে তাতে তিনি রাজি হননি। জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী ভাড়া অপরিবর্তিত রেখেছেন। 

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের পর কম খরচে, কম সময়ে ঢাকায় গরু পরিবহন করা যাবে। ট্রাকে করে নিতে গেলে যে খরচ হয়, এর চার ভাগের এক ভাগ খরচ হবে ক্যাটল ট্রেনে। এ ছাড়া ইদের পরে জুলাই মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু হবে। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়া শাটল ট্রেন সেপ্টেম্বর মাসে চালু হবে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের আগে রেলের প্রতি কারও দৃষ্টি ছিল না উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিএনপি রেলকে লুটপাট করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার জেগে উঠেছে। সবকিছু দূরে ঠেলে প্রধানমন্ত্রী আজকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা-স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ সুবিধাবঞ্চিতদের হাজারো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন। এ ছাড়া আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন। 
 
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কল্পনা করে দেখেন, ১৪ বছর আগে আপনাদের আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল। আর এখন কেমন আছেন? দেশের এত উন্নয়নের পরেও যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়াতে চায়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারাই স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি। এদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’ 

পরে পতাকা উড়িয়ে ও বাঁশি বাজিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ রুহুল আমিন, রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, আমচাষি ও ব্যবসায়ীসহ অন্যরা। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন চত্বরে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বিকেল ৪টায় ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে বিভিন্ন স্টেশন থেকে আম নিয়ে রাত ১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। রহনপুর থেকে নাচোল স্টেশন, নিজামপুর রেলস্টেশন, আমনুরা জংশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন, আমনুরা বাইপাস হয়ে কাঁকানহাটে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে। এসব স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পরিবহনে ব্যবসায়ী ও চাষিদের খরচ হবে প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩২ পয়সা। 

রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ৭টা ৫৩ মিনিটে সরদহ রোড, রাত ৮টা ১৫ মিনিটে আড়ানি এবং আব্দুলপুরে পৌঁছাবে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে। এসব স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পরিবহনে ব্যবসায়ীদের গুনতে হবে ১ টাকা ১৭ পয়সা। 

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মাঝে জয়দেবপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আম বুকিং করার জন্য দাঁড়াবে। ট্রেনটি তেজগাঁও পৌঁছাবে রাত ১টা ১৫ মিনিটে। 

গত বছরের মতো এবারও বিভিন্ন নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আম বুকিংকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আম বুকিং করা হবে। ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে শুধু আম নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও পরিবহন করা যাবে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে রাজধানীগামী ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয় ২০২০ সালের ৫ জুন। ওই বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত চলা ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহন হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২ কেজি। এতে রাজস্ব আয় হয় ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা। দ্বিতীয়বারের মতো ২০২১ সালের ২৭ মে ট্রেনটি চালু করা হয়। সেই বছর আম পরিবহন করা হয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৩ কেজি। রাজস্ব আদায় হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯২০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর এই ট্রেনে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৫ কেজি আম পরিবহন করা হয়। এতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৪ টাকা আয় হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কার্ডিকন চট্টগ্রাম-২০২৫: দেশীয় চিকিৎসার ওপর আস্থা তৈরির তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
৯টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৯টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার ৯টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার সম্মেলন ‘কার্ডিকন চট্টগ্রাম-২০২৫’। চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির (সিএসআইসি) উদ্যোগে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর নগরের রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে হৃদ্‌রোগ চিকিৎসার আধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

‘শ্রেষ্ঠত্বের দিকে পদক্ষেপ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ১০০টির বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। কর্মসূচিতে ছিল স্টেট অব দ্য আর্ট লেকচার, প্লেনারি সেশন, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ওয়ার্কশপ, ফেলোস কোর্স, ইসিজি সিম্পোজিয়াম, পোস্টার ও কেস ডিসকাশন (সিডি) উপস্থাপন।

সম্মেলনের সমাপনী ও গালা সেশনে সভাপতিত্ব করেন সিএসআইসি সভাপতি ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর আস্থা না থাকায় প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতি বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, স্টেন্টিং, পেসমেকারসহ জটিল হৃদ্‌রোগ চিকিৎসা সফলভাবে হচ্ছে। মৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য নয়। তারপরও রোগীরা ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশে যাচ্ছেন, যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।’

শাহাদাত হোসেন বলেন, রোগীর বিদেশমুখী প্রবণতা বন্ধ করা গেলে দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি, এমআরআই, কালার ডপলার, ক্যাথল্যাবসহ আরও উন্নত চিকিৎসা অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও পর্তুগাল, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, নেপাল ও ভারত—এই ৯টি দেশের খ্যাতনামা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক বক্তাদের মধ্যে ছিলেন পর্তুগালের অধ্যাপক ফুয়াস্তু জে পিন্টো, ইতালির অধ্যাপক অ্যান্থোনিও কলোম্বো, যুক্তরাষ্ট্রের ডা. রফিক আহমেদ ও অধ্যাপক চৌধুরী এইচ আহসান, মালয়েশিয়ার অধ্যাপক সাজলি সাহলান বিন কাসিম, ভিয়েতনামের ডা. ফেম নাত মিনহ, পাকিস্তানের ডা. গোলাম হুসাইন সোমরু, নেপালের ডা. অরুণ মাসকেই এবং ভারতের অধ্যাপক অশোক শেঠসহ আরও অনেকে।

পাশাপাশি দেশের শীর্ষ হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালট্যান্ট এন এ এম মোমেনুজ্জামান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেছা মালিক, ইউনাইটেড হাসপাতালের অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক আতাহার আলী, এনআইসিভিডির সাবেক পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন ও বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসাইন, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউদ্দিন, মেম্বার সেক্রেটারি অধ্যাপক এ এফ খবির উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসাদুজ্জামানসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে আট দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: রাতে কনকনে শীত, দিনে ঝলমলে রোদ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে আট দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। রাতে কনকনে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও দিনে ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্য উঠেছে ঝলমলে আলো নিয়ে। সূর্যের আলোয় ঝলমল করছে জেলার প্রকৃতি। স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রায় কিছুটা ওঠানামা থাকলেও তা ১০ ডিগ্রির নিচেই রয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার ৯ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ৯ দশমিক ৫, সোমবার ৯, রবি ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫ এবং আগের বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়াসহ পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।

সদর উপজেলার টুনিরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘রাতে যে ঠান্ডা পড়ে, তা সহ্য করা মুশকিল। ভোরবেলা ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। হাত-পা বরফের মতো হয়ে যায়। তবে দিনে রোদ ঝলমল করে। এই রোদের কারণে মাঠের কাজ কোনোমতে চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জমিতে পুকুর কাটতে বাধা দেওয়ায় কৃষককে ভেকুচাপায় হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় এক কৃষককে ভেকু (এক্সকেভেটর) চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম জুবায়ের হোসেন (২৫)। তিনি উপজেলার বড় পালশা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা মাটি খননের যন্ত্রটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ ভেকু চালককে আটক করেছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, পুকুর খননে বাঁধা দেওয়ায় জুবায়েরকে এক্সকেভেটরের চাকার নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা বিচার চান। ঘটনার পরে চালক আবদুল হামিদকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। আটক আবদুল হামিদ টাঙ্গাইল জেলার কাদিমহামজানি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

রাজশাহীর মাঠে মাঠে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল কৃষককে না জানিয়ে কিংবা অনুমতি না নিয়েই জোর করে পুকুর খনন করে। সেই পুকুর তারা ইজারা দেয় এবং পরবর্তীতে ইজারামূল্যের একটি অংশ কৃষককে দেয়। এতে রাজশাহীতে কৃষিজমি রাতারাতি পুকুর হয়ে যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পালশা গ্রামে পুকুর খনন করা হচ্ছিল। তবে কৃষিজমি রক্ষায় স্থানীয়দের সঙ্গে জুবায়ের বাঁধা দেন। এ সময় ভীমনগর গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে এক্সকেভেটরের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন জুবায়ের। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুবায়েরকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহিমা বিনতে আখতার ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়িতে যান। এসময় তিনি নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

ইউএনও ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, ‘পুকুর খনন করবে জেনে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। এলাকাবাসী ফসলী জমিতে পুকুর খনন করতে দেবে না। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক্সকেভেটর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে জুবায়ের আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার পরে শুনেছি ঘটনার পরে জনতা গাড়িটিতে আগুন দিয়েছে। এছাড়া পুলিশ চালককে আটক করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

যোগাযোগ করা হলে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থানচিতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি: সরকারি সঞ্চয়ের টাকা পাচ্ছেন না ১২০০ নারী

  • থানচিতে ১ হাজার ৬৭৪ জন উপকারভোগী রয়েছেন।
  • তাঁদের কাছ থেকে সঞ্চয়ী আমানত হিসেবে ৮৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
  • ৪৫০ জনের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।
  • বছর পার হতে চললেও ১ হাজার ২২৪ জনের ৫৮ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
মংবোওয়াংচিং মারমা, থানচি (বান্দরবান)
থানচিতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি: সরকারি সঞ্চয়ের টাকা পাচ্ছেন না ১২০০ নারী

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুস্থ মহিলা সহায়তা (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৬৭৪ জন কার্ডধারী রয়েছেন। তাঁদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে আসছে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর। এসব কার্ডধারীর কাছ থেকে প্রতিবার চাল বিতরণের সময় সুরক্ষা সঞ্চয় বাবদ ২২০ টাকা জমা নেয় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি); যা ব্যাংক হিসাবে জমা রাখার কথা।

দুই বছরের মেয়াদ পূর্ণ হলে সঞ্চয়ের সেই টাকা উপকারভোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু উপজেলাটিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের তালিকাভুক্ত ১ হাজার ২০০ জনের বেশি উপকারভোগী সেই সঞ্চয়ের টাকা এক বছরেও ফেরত পাননি। সুরক্ষার জন্য সঞ্চয় করে এখন দরিদ্র এসব নারী মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চার ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ২৪ মাসে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২২০ টাকা করে সুরক্ষা সঞ্চয় আদায় করা হয়। প্রত্যেকের সঞ্চয় হয় ৫ হাজার ২৮০ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, চার ইউপিতে সঞ্চয় জমা হওয়ার কথা মোট ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭২০ টাকা। যদিও কার্ডধারী নারীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২৭০ টাকা করে আদায় করা হয়।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ চক্রে রেমাক্রী ইউপিতে ৪২৪ জন, তিন্দুতে ৪৩০, থানচি সদরে ৪২০ ও বলিপাড়া ইউপিতে ৪০০ কার্ডধারী ছিলেন।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সঞ্চয় তহবিল সরকারের অনুমোদিত ব্যাংকে উপজেলা কমিটি সভাপতি ও সদস্যসচিবের যৌথ স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় হিসাবে জমা রাখতে হয়। কিন্তু চার ইউপির কোনোটিতে সেই নীতিমালা মানা হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যানরা সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে নিজেদের কাছে রাখেন। যদিও তাঁদের দাবি, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর তাঁরা ওই টাকা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী এমরান হোসেনের কাছে জমা রেখেছেন। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর এমরান মারা যান। পরে সঞ্চয় ফেরত দেওয়া অনিশ্চয়তায় পড়ে।

বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে এই কর্মসূচির আওতায় সুরক্ষা সঞ্চয় টাকা আদায়ের পর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার পরামর্শে ম্যানুয়ালি (কাগজে লিখে কাছে জমা রাখা) জমা রাখা হয়। ২০২৩ ও ২০২৪ চক্রের মেয়াদ পূর্ণ হলে ৩৫০ জনের প্রতি মাসের ২২০ টাকা হারে মোট ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এমরান হোসেনের হাতে দিই। এ ছাড়া ৪২০ জনের মধ্যে ৬০ জনের মতো কার্ডধারীর টাকা নিজেই ফেরত দিয়েছি। এখন এমরান মারা যাওয়ায় বিপত্তি বেধেছে। তাঁর ওপর অগাধ বিশ্বাস থাকায় সে সময় কোনো প্রমাণপত্র নিইনি।’

রেমাক্রীর ইউপি সচিব উশৈ মারমা বলেন, ‘ভিডব্লিউবি কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকা চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি পকেটে করে নিয়ে যেতেন। আমি কর্মসূচির কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে থাকলেও তালিকা প্রণয়ন, বিতরণ, সঞ্চয় গ্রহণ, ব্যাংকের জমা করানো, সব কাজ করেন চেয়ারম্যান। তিনি মৌজার হেডম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দাপট দেখাতেন। আমাকে নাক গলাতে নিষেধ করেছেন।’

রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি বলেন, ‘আমি বান্দরবানে আছি। থানচিতে এলে এ বিষয়ে সরাসরি বলব। এ বিষয়ে নিউজ করবেন না। আপনাদেরও ভবিষ্যৎ রয়েছে।’ এমন হুমকি দিয়ে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও পুরোনো চেয়ারম্যানদের গুটিচালের (ষড়যন্ত্র) স্বীকার হয়েছি। শিগগির সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেব।’

থানচি সদর ইউপি চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো বলেন, সব উপকারভোগীর সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনো ৩০ জনের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মারা যাওয়া অফিস সহকারী এমরান হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ‘গত ২২ নভেম্বর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আয়েশা আক্তার আমাকে এবং চার ইউপি চেয়ারম্যানকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় চেয়ারম্যানরা দাবি করেছেন, আমার স্বামীর কাছে সঞ্চয়ী আমানতের বলিপাড়ার ১৫ লাখ, থানচি সদরে ৫ লাখ, তিন্দুর ১৪ লাখ, রেমাক্রীর ২৪ লাখসহ মোট ৫৮ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও আমার স্বামীর কাছে কিছু টাকা জমা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করছেন।’

সঞ্চয়ের টাকা না পাওয়া বলিপাড়ার উপকারভোগী নুমেউ মারমা, উমেসিং মারমা, মাচাইসিং মারমা, হ্লায়ইনুসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালে কার্ডের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা সঞ্চয়ের সময় অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়।

থানচি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আয়েশা আক্তার বলেন, ‘দুস্থ নারীদের সঞ্চয় আমানত গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফেরত দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল, কিন্তু এর আগেই সহকর্মী (অফিস সহকারী) এমরান হোসেন মারা যাওয়ায় টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ১ জানুয়ারির মধ্যে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

থানচির ইউএনও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-ফয়সাল বলেন, ‘মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী ১ জানুয়ারির মধ্য সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমি উপস্থিত থেকে বিতরণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত