Ajker Patrika

কালাই যেন কিডনি কেনাবেচার বাজার

রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
কালাই যেন কিডনি কেনাবেচার বাজার

পাঁচ বছর আগে এক দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়ে নিজের কিডনি বিক্রি করেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দুধাইল গ্রামের সুজাউল মণ্ডল। যাওয়ার আগে চুক্তির দুই লাখ টাকা পান তিনি। বাকি দুই লাখ টাকা দেশে ফেরার পর পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাননি তিনি। প্রতারণার শিকার সুজাউল বাধ্য হয়ে ১১ অক্টোবর কালাই থানায় মামলা করেন। মামলার পর গত মঙ্গলবার জয়পুরহাট ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ দালালকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

শুধু সুজাউল নন, দালালের খপ্পরে পড়ে তাঁর মতো কিডনি হারিয়েছেন কালাইয়ের শত শত মানুষ। পুরো উপজেলাটাই এখন অবৈধভাবে কিডনি বেচাকেনা চক্রের আখড়া। অবাক করার মতো তথ্য হলো, এখানে কিডনি বেচাকেনার বিষয়টি একেবারে নতুন নয়। প্রায় এক দশক আগে থেকেই দালাল চক্র এখানে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অভাবের তাড়নায় ও নগদ অর্থ পাওয়ার লোভে তাদের কাছে কিডনি বিক্রি করছেন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র অভাবী মানুষ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি কিডনি বিক্রি হয়েছে আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের রাঘবপুর, বোড়াই, হারুঞ্জা, নওপাড়া, বালাইট গ্রাম এবং পৌর এলাকার থুপসাড়া, মাত্রাই ইউনিয়নের ভেরেন্ডি, উলিপুর, সাঁতার, কুসুমসাড়া, অনিহার, ভাউজাপাতার, শিবসমুদ্র, পাইকশ্বর, ইন্দাহার, ছত্রগ্রাম, উদয়পুর ইউনিয়নের বহুতি, মোহাইল, থল, বাগইল, মাস্তর, জয়পুর বহুতি, নওয়ানা বহুতি, দুর্গাপুর, উত্তর তেলিহার, ভুষা, কাশিপুর, বিনইল ও পূর্ব কৃষ্টপুরসহ প্রায় ৪০টি গ্রামে। এর মধ্যে জয়পুর বহুতি, বহুতি, দুর্গাপুর, নওয়ানা চার গ্রামের শতাধিক মানুষ কিডনি বিক্রি করেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, কিডনি কেনাবেচার শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন স্থানীয় দালালেরা। বিভিন্ন সময় তাঁদের কিডনিসংক্রান্ত মামলায় আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হলেও জামিনে বের হয়ে এসে আবারও জড়িয়ে পড়ছেন এই কাজে।

বহুতি গ্রামের নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা কিডনি বিক্রি করেন তাঁরাই দালাল। কেননা, যিনি কিডনি বিক্রি করে আসছেন তিনিই দালাল হচ্ছেন। কারণ, যেখানে কিডনি বিক্রি করেন, সেখানে দালালেরা বলে দেন, কিডনি বেচবে এমন লোক এনে দিলে তুমিও টাকা পাবে। এই অর্থের লোভে তাঁরা নিজের কিডনি বেচে গ্রামে ফিরে নতুন করে কিডনি বেচার লোক খুঁজতে শুরু করেন।

বোড়াই গ্রামের বেলাল হোসেন (৪৫) তাঁর একটি কিডনি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সুদের ওপর টাকা নিয়েছিলাম। সুদসহ প্রায় এক লাখ টাকা হয়েছিল। সেই টাকার চাপে একটি কিডনি বিক্রি করি। আমি যে ভুল করেছি তার জন্য অনুতপ্ত। এই ভুল যেন অন্য কেউ না করেন।’

আরেক কিডনি বিক্রেতা উলিপুর গ্রামের আদর্শ গুচ্ছগ্রামের কল্পনা বেগম (৪২) বলেন, ‘২০১৭ সালে দালালের প্ররোচনায় ভারতে গিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় নিজের একটি কিডনি বিক্রি করে দিই।’

উলিপুর গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, এলাকা থেকে কাজের কথা বলে অনেকে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাড়ি জমান। ঢাকায় যাওয়ার ৬ মাস বা ১ বছর পর বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে আসার পর ধীরে ধীরে জানা যায়, তাঁরা কিডনি বিক্রি করে এসেছেন।

কালাইয়ে ২০১১ সাল থেকে কিডনি বিক্রি ও পাচার শুরু হলেও প্রশাসনের তৎপরতায় ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোটামুটি তা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবারও বেড়েছে কিডনি বাণিজ্য, যা ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে সক্রিয় রয়েছেন স্থানীয় দালালেরা।

দালালদের প্রলোভনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে। কিডনি নেওয়ার পর তাঁদের দেড় থেকে দুই লাখ টাকা হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে দালাল চক্র। ফলে দিনবদলের আশায় কিডনি বেচলেও তাঁদের দিন আগের মতোই থেকে যাচ্ছে। অথচ ফাঁদে পড়ে হারাতে হচ্ছে শরীরের মূল্যবান অঙ্গ। এতে দেখা দিচ্ছে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরাই আবার প্রশাসন কর্তৃক নিগৃহীত হচ্ছেন। এ জন্য কিডনি বিক্রি করে আসার পর সহজে মুখ খোলেন না কেউ। এ কারণে মূল হোতারা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ পর্যন্ত কালাই থানায় ৬টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত শেষে আদালতে বিচারাধীন। কিডনি বেচাকেনা রোধে প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর রয়েছে।

কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একধরনের প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রিতে উৎসাহ করে এবং গোপনে কাজ করে আসছিল। পরে ২০১১ সালে জানার পর থেকে সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি যেন এই কাজ না হয়। তারপরও অত্যন্ত গোপনে কাজগুলো করা হয়ে থাকে, সেখানে কিছু দালাল চক্র থাকে। ইতিমধ্যে ইউপি সদস্যের নামে অভিযোগ এসেছে, ইউপি সদস্যসহ যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত