বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।
বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া। কেনার জন্য কেউ যাননি। যাঁরা চামড়া বিক্রি করতে বের হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। আড়তদারেরা সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ চামড়া বিক্রি করতে আসা লোকজনের।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হয়, দুপুরের পর সেই চামড়ার দাম ৫০০ টাকার বেশি কেউ বলেন না।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী যাঁদের স্থানীয়ভাবে ফড়িয়া বলা হয়, তাঁরা জানান, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে তাঁদের লোকসান হয়েছে। এ কারণে এবার তাঁরা চিন্তাভাবনা করে চামড়া কিনছেন।
আজ বেলা ১১টার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা তাঁদের লোকজন নিয়ে চামড়া কিনতে বসেন। শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেসব দোকানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এবার সেসব দোকানে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তেমন কোনো চামড়া এসে পৌঁছেনি। যে দু-চারজন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও ভটভটিতে চামড়া আনছেন তাঁদের সেই পরিবহন আটকিয়ে আড়তদারের লোকজন এতটাই কম দাম বলছেন যে আসল টাকাই উঠবে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভটভটি থানা মোড় এলাকায় আটকিয়ে একইভাবে কম দাম দেওয়া হয়। তিনি জানান, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছেন। তাঁর মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারবেন না।
থানা মোড়ে চামড়া কিনতে বসা চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি। এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের লতিফপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রকেট হোসেন জানান, তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর থেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে পড়ে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ক্রেতাকে ডেকে এনে তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান থেকে শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা আকাশ রহমান বলেন, গ্রামে যে দামে চামড়া কিনেছেন শহরে আসার পর তার থেকেও দাম কম বলা হচ্ছে। ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে কেউ বলছেন না। ভেড়ার চামড়া ফ্রি দিলেও কেউ নিচ্ছে না।
শহরতলির ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী রাজু হোসেন। তিনি বলেন, ক্রেতা না পেলে কোনো এতিমখানায় চামড়া পাঠিয়ে দিতে হবে। শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন ৩০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আড়তে এখনো চামড়া কেনা শুরু হয়নি। মাঠপর্যায়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছে। তাঁরা হয়তো বাড়তি লাভের আশায়, অথবা ভালো মানের চামড়ার সঙ্গে খারাপ মানের চামড়ার গড় করতে কম দামে চামড়া কিনছেন। তবে আড়তে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনছেন। তাঁরা বিক্রি করতে না পারলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
১২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া।
২৯ জুন ২০২৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
১২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া।
২৯ জুন ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া।
২৯ জুন ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
১২ মিনিট আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা গত বছর যে দামে চামড়া কিনেছেন, এবারও সেই দামে কিনছেন। কম দামে চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চুপচাপ বসে আছেন। যার কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পড়ে ছিল চামড়া।
২৯ জুন ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
১২ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে