মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রইশুদ্দীন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। তবে স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারেন গতকাল রাতে।
আজ মঙ্গলবার রইশুদ্দীনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ায় গেলে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিলাপ করছিলেন রইশুদ্দীনের স্ত্রী নাসরিন বেগম। এ সময় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু হলেও বাহিনীর কেউ বাড়িতে এসে খোঁজ নেননি।
রইশুদ্দীন মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবি সৈনিক পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কর্মরত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর গুলি পেটে বিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় তাঁদের হেফাজতে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার দিবাগত রাতে চোরাকারবারিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা খবর পায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্য সৈনিক রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশায় দলছুট হয়ে পড়েন। এরপরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে খবর আসে বিএসএফর গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রইশুদ্দীন।
এদিকে গতকাল সোমবার ভোরে রইশুদ্দীনের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে সোমবার রাতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেনকে গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, এমন মৃত্যুর বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।
নিহত রইশুদ্দীনের চাচা আব্দুল আলিম বলেন, ‘দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর টগবগে এক যুবক দায়িত্বরত অবস্থায় সীমান্তে আরেকটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা যাবেন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো জরুরি পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্ত্রী, দুই সন্তান ও বাবা মাকে এলাকার মানুষ সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ কর্মরত বাহিনীটির কোনো সদস্য তাঁর বাড়িতে যাননি।’

স্থানীয় দোকান্দার বাবু আলী বলেন, ‘রইশুদ্দীনের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলেই মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন। গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আমরা এখন তাঁর সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলাম। পরিবার হারাল তাদের সন্তানকে।’
রইশুদ্দীনের আপন মেজ ভাই ও বিজিবি সদস্য মাসুম রেজা বাবু বলেন, ‘আমি সোমবার রাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ৪৯ ব্যাটালিয়নে অবস্থান করছি। কখন মরদেহ বুঝে পাব, তারও নিশ্চয়তা নেই। শুনেছি বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত কী সেটিও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই বোন। এর মধ্যে আমি আর রইশুদ্দীন বিজিবিতে ও বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। রইশুদ্দীনের বড় মেয়ে চার বছরের রাফিয়া ও পাঁচ মাসের ছেলে একটি শিশু রয়েছে।’
নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, ‘বিয়ের অল্প সময়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে বিধবা হতে হলো। সন্তানদের কি বুঝ দিব আমি। আর আমি বা কীভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবনসংগ্রাম করব।’ বিলাপ করতে করতে পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে তিনি এমন হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে সব শেষ একবার কথা হয়েছে। আর কোনো দিন কথা হবে না। দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান নাসরিন বেগম।
প্রসঙ্গগত, গতকাল সোমবার ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এই সৈনিকের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক রইশুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেছেন।

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রইশুদ্দীন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। তবে স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারেন গতকাল রাতে।
আজ মঙ্গলবার রইশুদ্দীনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ায় গেলে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিলাপ করছিলেন রইশুদ্দীনের স্ত্রী নাসরিন বেগম। এ সময় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু হলেও বাহিনীর কেউ বাড়িতে এসে খোঁজ নেননি।
রইশুদ্দীন মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবি সৈনিক পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কর্মরত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর গুলি পেটে বিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় তাঁদের হেফাজতে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার দিবাগত রাতে চোরাকারবারিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা খবর পায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্য সৈনিক রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশায় দলছুট হয়ে পড়েন। এরপরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে খবর আসে বিএসএফর গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রইশুদ্দীন।
এদিকে গতকাল সোমবার ভোরে রইশুদ্দীনের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে সোমবার রাতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেনকে গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, এমন মৃত্যুর বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।
নিহত রইশুদ্দীনের চাচা আব্দুল আলিম বলেন, ‘দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর টগবগে এক যুবক দায়িত্বরত অবস্থায় সীমান্তে আরেকটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা যাবেন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো জরুরি পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্ত্রী, দুই সন্তান ও বাবা মাকে এলাকার মানুষ সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ কর্মরত বাহিনীটির কোনো সদস্য তাঁর বাড়িতে যাননি।’

স্থানীয় দোকান্দার বাবু আলী বলেন, ‘রইশুদ্দীনের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলেই মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন। গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আমরা এখন তাঁর সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলাম। পরিবার হারাল তাদের সন্তানকে।’
রইশুদ্দীনের আপন মেজ ভাই ও বিজিবি সদস্য মাসুম রেজা বাবু বলেন, ‘আমি সোমবার রাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ৪৯ ব্যাটালিয়নে অবস্থান করছি। কখন মরদেহ বুঝে পাব, তারও নিশ্চয়তা নেই। শুনেছি বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত কী সেটিও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই বোন। এর মধ্যে আমি আর রইশুদ্দীন বিজিবিতে ও বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। রইশুদ্দীনের বড় মেয়ে চার বছরের রাফিয়া ও পাঁচ মাসের ছেলে একটি শিশু রয়েছে।’
নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, ‘বিয়ের অল্প সময়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে বিধবা হতে হলো। সন্তানদের কি বুঝ দিব আমি। আর আমি বা কীভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবনসংগ্রাম করব।’ বিলাপ করতে করতে পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে তিনি এমন হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে সব শেষ একবার কথা হয়েছে। আর কোনো দিন কথা হবে না। দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান নাসরিন বেগম।
প্রসঙ্গগত, গতকাল সোমবার ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এই সৈনিকের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক রইশুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রইশুদ্দীন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। তবে স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারেন গতকাল রাতে।
আজ মঙ্গলবার রইশুদ্দীনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ায় গেলে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিলাপ করছিলেন রইশুদ্দীনের স্ত্রী নাসরিন বেগম। এ সময় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু হলেও বাহিনীর কেউ বাড়িতে এসে খোঁজ নেননি।
রইশুদ্দীন মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবি সৈনিক পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কর্মরত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর গুলি পেটে বিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় তাঁদের হেফাজতে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার দিবাগত রাতে চোরাকারবারিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা খবর পায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্য সৈনিক রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশায় দলছুট হয়ে পড়েন। এরপরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে খবর আসে বিএসএফর গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রইশুদ্দীন।
এদিকে গতকাল সোমবার ভোরে রইশুদ্দীনের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে সোমবার রাতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেনকে গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, এমন মৃত্যুর বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।
নিহত রইশুদ্দীনের চাচা আব্দুল আলিম বলেন, ‘দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর টগবগে এক যুবক দায়িত্বরত অবস্থায় সীমান্তে আরেকটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা যাবেন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো জরুরি পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্ত্রী, দুই সন্তান ও বাবা মাকে এলাকার মানুষ সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ কর্মরত বাহিনীটির কোনো সদস্য তাঁর বাড়িতে যাননি।’

স্থানীয় দোকান্দার বাবু আলী বলেন, ‘রইশুদ্দীনের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলেই মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন। গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আমরা এখন তাঁর সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলাম। পরিবার হারাল তাদের সন্তানকে।’
রইশুদ্দীনের আপন মেজ ভাই ও বিজিবি সদস্য মাসুম রেজা বাবু বলেন, ‘আমি সোমবার রাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ৪৯ ব্যাটালিয়নে অবস্থান করছি। কখন মরদেহ বুঝে পাব, তারও নিশ্চয়তা নেই। শুনেছি বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত কী সেটিও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই বোন। এর মধ্যে আমি আর রইশুদ্দীন বিজিবিতে ও বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। রইশুদ্দীনের বড় মেয়ে চার বছরের রাফিয়া ও পাঁচ মাসের ছেলে একটি শিশু রয়েছে।’
নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, ‘বিয়ের অল্প সময়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে বিধবা হতে হলো। সন্তানদের কি বুঝ দিব আমি। আর আমি বা কীভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবনসংগ্রাম করব।’ বিলাপ করতে করতে পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে তিনি এমন হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে সব শেষ একবার কথা হয়েছে। আর কোনো দিন কথা হবে না। দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান নাসরিন বেগম।
প্রসঙ্গগত, গতকাল সোমবার ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এই সৈনিকের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক রইশুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেছেন।

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রইশুদ্দীন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। তবে স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পারেন গতকাল রাতে।
আজ মঙ্গলবার রইশুদ্দীনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ায় গেলে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিলাপ করছিলেন রইশুদ্দীনের স্ত্রী নাসরিন বেগম। এ সময় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু হলেও বাহিনীর কেউ বাড়িতে এসে খোঁজ নেননি।
রইশুদ্দীন মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবি সৈনিক পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কর্মরত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর গুলি পেটে বিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় তাঁদের হেফাজতে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার দিবাগত রাতে চোরাকারবারিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা খবর পায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্য সৈনিক রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশায় দলছুট হয়ে পড়েন। এরপরে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে খবর আসে বিএসএফর গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রইশুদ্দীন।
এদিকে গতকাল সোমবার ভোরে রইশুদ্দীনের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে সোমবার রাতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেনকে গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, এমন মৃত্যুর বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।
নিহত রইশুদ্দীনের চাচা আব্দুল আলিম বলেন, ‘দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর টগবগে এক যুবক দায়িত্বরত অবস্থায় সীমান্তে আরেকটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা যাবেন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো জরুরি পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্ত্রী, দুই সন্তান ও বাবা মাকে এলাকার মানুষ সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ কর্মরত বাহিনীটির কোনো সদস্য তাঁর বাড়িতে যাননি।’

স্থানীয় দোকান্দার বাবু আলী বলেন, ‘রইশুদ্দীনের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলেই মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন। গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আমরা এখন তাঁর সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলাম। পরিবার হারাল তাদের সন্তানকে।’
রইশুদ্দীনের আপন মেজ ভাই ও বিজিবি সদস্য মাসুম রেজা বাবু বলেন, ‘আমি সোমবার রাতে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ৪৯ ব্যাটালিয়নে অবস্থান করছি। কখন মরদেহ বুঝে পাব, তারও নিশ্চয়তা নেই। শুনেছি বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত কী সেটিও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই বোন। এর মধ্যে আমি আর রইশুদ্দীন বিজিবিতে ও বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। রইশুদ্দীনের বড় মেয়ে চার বছরের রাফিয়া ও পাঁচ মাসের ছেলে একটি শিশু রয়েছে।’
নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, ‘বিয়ের অল্প সময়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে বিধবা হতে হলো। সন্তানদের কি বুঝ দিব আমি। আর আমি বা কীভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবনসংগ্রাম করব।’ বিলাপ করতে করতে পাঁচ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে তিনি এমন হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে সব শেষ একবার কথা হয়েছে। আর কোনো দিন কথা হবে না। দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান নাসরিন বেগম।
প্রসঙ্গগত, গতকাল সোমবার ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এই সৈনিকের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক রইশুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেছেন।

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মো. রইস উদ্দিন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। আজ মঙ্গলবার রইস উদ্দিনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মো. রইস উদ্দিন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। আজ মঙ্গলবার রইস উদ্দিনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১২ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মো. রইস উদ্দিন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। আজ মঙ্গলবার রইস উদ্দিনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে সীমান্তরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মো. রইস উদ্দিন (২৫)। গতকাল সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যান তিনি। আজ মঙ্গলবার রইস উদ্দিনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে