Ajker Patrika

মৃত্যুর দুই মাস পর বাড়ি ফেরার ইচ্ছে পূরণ বিজলীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বিজলী কুমার রায়। ছবি: সংগৃহীত
বিজলী কুমার রায়। ছবি: সংগৃহীত

আটকের পর বিজলী কুমার রায় (৪০) শুধু নিজের নামটাই বলতে পেরেছিলেন। বাড়ি জানতে চাইলে বলতেন, ‘বিহার।’ আর কিছুই বলতে পারতেন না। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয়, তাঁর বাড়ি ভারতের বিহার। প্রত্যর্পণের সুবিধায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। ছয় মাসের সাজা শেষ হয়, বিজলী বাড়ি যেতে চান। বিজিবি তাঁকে সীমান্তে নিয়ে যায়, কিন্তু অভিভাবক নেই বলে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজলীর বাড়ি ফেরা হয় না। অবশেষে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন, কিন্তু জীবিত নন লাশ হয়ে।

বিজলীর বাড়ি ফেরার গল্পটা সিনেমার মতো। গত বছর অক্টোবরে বিজলীর খোঁজ পান ঢাকার সাংবাদিক শামসুল হুদা। তিনি এ পর্যন্ত দুই দেশের কারাগারে আটকে থাকা ৪৩ জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ‘বাঙালি বজরঙ্গি ভাইজান।’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মেয়েটি বাক্‌প্রতিবন্ধী। আর বিজলী কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ শুক্রবার বিজলীর মরদেহ নিয়ে সীমান্তে যান সাংবাদিক শামসুল হুদা।

কীভাবে বিজলীর খোঁজ পাওয়া গেল, সে গল্পটি শুনিয়েছেন শামসুল হুদা। তিনি জানান, ২০২১ সালের মে মাসে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী রায়কে আটক করে। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেয় বিজলীর বাড়ি ভারতের বিহারে। তাই প্রত্যর্পণের সুবিধার্থে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে। এখানে এমন বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। গত বছরের অক্টোবরে এই কারাগার পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার একজন জেল সুপার। তিনি শামসুল হুদার কথা জানতেন।

তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেল সুপারকে জানান, শামসুল হুদা আটকে পড়া এমন বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। তারপর ফোন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেল সুপার। তিনি ১১ জন বন্দীর একটি তালিকা দেন। কাজ শুরু করেন শামসুল হুদা। এরই মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর বিজলী রায়কে নিয়ে কাজ করছিলেন শামসুল হুদা। বাড়ি ফেরার আগেই তিনি মারা গেলেন।

বিজলীকে খুঁজে পাওয়া থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পুরো ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দেন শামসুল। তাঁর বর্ণনায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিহারের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার একটি গ্রামে বিজলী রায়ের পরিবারকে খুঁজে পান। এ ব্যাপারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত যথেষ্ট সহায়তা করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বিজলী রায়ের যাবতীয় অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। বিজলীর ভাই বদ্রি রায় মাঝেমধ্যেই ফোন করে খোঁজ নিতেন। জানাতেন তাঁর ভাইয়ের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সে যেন ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাতে থাকেন। বদ্রি রায় বেশ কয়েকবার তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি ছবি বদ্রিকে পাঠানো হয়েছিল।

তখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি বদ্রি রায় বিহার থেকে শামসুল হুদাকে ফোন করেন। জানান, বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন তাঁকে কল করেছিলেন। সেই নম্বরটি নিয়ে কল করলে শামসুল হুদা দেখেন, এটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহর নম্বর। শামসুল হুদা ভাবলেন, বিজলী রায় তো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলে ছিলেন। তাহলে রাজশাহী জেলার কেন তাঁকে ফোন করলেন? প্রশ্ন করতেই শুনলেন দুঃসংবাদ। বিজলী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। রাজশাহী আসার পর বিজলী রায় মারা গেছেন।

এরপর বিজলী রায়ের মরদেহ ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে। এদিকে তাঁর মরদেহ বিহারে পাঠানোর তৎপরতা শুরু করেন শামসুল হুদা। চিঠি চালাচালি চলতে থাকেন। ১৬ জানুয়ারি সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিজলীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন।

মহাপরিদর্শক দপ্তর থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠিটি দূতাবাসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ১৩ দিনের মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি বিজলী রায়ের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারি পরিপত্র জারি করে। দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে কারা অধিদপ্তরের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন শামসুল হুদা।

পরবর্তীকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে একটি চিঠি ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়। এর সূত্র ধরে কারা কর্তৃপক্ষ এবং মহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ করতে থাকলেও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৩ মার্চ হাইকমিশন থেকে পাওয়া সুরক্ষা বিভাগের চিঠিটি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হলে এর ভিত্তিতে শেষ বিকেলে ত্বড়িত গতিতে বিজলী রায়ের মরদেহের ছাড়পত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবিকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়। বিজিবি তখন চিঠি দেয় বিএসএফকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় যে তারা মরদেহ গ্রহণ করতে সম্মত। ওই রাতেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

সীমান্তে নেওয়া হয়েছে বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীমান্তে নেওয়া হয়েছে বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘দেশের কোনো বন্দী মারা গেলে আমরা পরের দিনের মধ্যেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রথমে মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তরকে জানাতে হয়। ভারতীয় দূতাবাসকেও জানাতে হয়। দূতাবাস তখন ভারতে ভেরিফিকেশন করে যে ওই ব্যক্তি ভারতীয় কি না। এরপরই তারা লাশ গ্রহণে সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটা সময় লেগে যায়।’

তিনি বলেন, ‘সবশেষ বিএসএফের ক্লিয়ারেন্সটা আমরা গত রাত ৮টায় পাই। এরপরই আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানাই। বিজিবি সব ব্যবস্থা করে। আজ ভোরে রামেক হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ কারাগারের সামনে আনা হয়। সেখানে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।’

বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদার বড় অবদান রয়েছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিজলীর পরিবারকে খুঁজে পেতে সাংবাদিক শামসুল হুদা বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এই কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন।’

সাংবাদিক শামসুল হুদা রোটারি ক্লাব অব বনানীর সদস্য। গত ৮ মার্চ সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠকে বিজলী কুমারের মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই পরিবারের সদস্যর কাছে মরদেহটি পৌঁছানোর দায়িত্ব শামসুল হুদাকেই দেন। বরাদ্দ করা হয় অর্থও। আর মরদেহটি রাজশাহী থেকে বিহার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকা পেকার্স। কফিন থেকে সবকিছুই ব্যবস্থা করেছে ঢাকা পেকার্স।

শামসুল হুদা জানান, দুপুরে তাঁরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরে লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিজলী কুমারের ভাই এসেছেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ আসার পর লাশ হস্তান্তর হবে। তিনি ভাইয়ের কাছে বিজলীর লাশ হস্তান্তর করে ফিরে আসবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের ছাদের ওপরে গোডাউনে লাগা আগুন।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর এক বার্তায় আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর দিয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে আট তলা বাণিজ্যিক ভবনটির ছাদে আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর। আগুন নিয়ন্ত্রণে শুরুতে সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের ছয়টি ইউনিট কাজ করে। পরে আরও তিনটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর আগুন লাগার তথ্য দিয়ে আজ বিকেলে এক বার্তায় বলেছিল, আটতলা ভবনের ছাদের ওপর অবস্থিত একটি গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত হয়। সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে পাঠানো ছয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাইভেট কার আরোহী মা-ছেলে নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় আজ শুক্রবার বিকেল ট্রাকে ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার। ছবি: আজকের পত্রিকা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় আজ শুক্রবার বিকেল ট্রাকে ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাকে ধাক্কায় প্রাইভেট কারের আরোহী মা ও শিশুপুত্র নিহত হয়েছেন। তাঁরা বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার গোড়াই এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর জিসান কবির টিপুর স্ত্রী সাদিয়া কবির (২৩) এবং তাঁর ১০ মাস বয়সী শিশুপুত্র তাজরিয়া কবির। তাঁরা টাঙ্গাইলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।

গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে মহাসড়কের ওই স্থানে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারের পেছনে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৩৭৩৩) ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারে থাকা মা ও শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হন প্রাইভেট কারের চালক। তাঁকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের ওই স্থানের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কার ও ট্রাক সরিয়ে নিলে আধা ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় নোঙর করে রাখা বাল্কহেডে লঞ্চের ধাক্কা, ১১ ঘণ্টা পর দুই লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় নোঙর করে রাখা একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে দুজন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় ডুবে গেছে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডটি। আজ শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে বাল্কহেডের ভেতর থেকে দুজনের লাশ পাওয়া যায়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন পটুয়াখালী জেলার জহিরুল ইসলাম শাকিল (২৫) এবং ঝালকাঠি জেলার মোহাম্মদ হাসান (২০)।

পুলিশ জানায়, সকাল ৬টার দিকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১৬ নামের লঞ্চ ডকইয়ার্ডের সামনে নোঙর করে রাখা বাল্কহেড এম বি কাসফা সাহানাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যায়। ভেতরে থাকা পাঁচজন স্টাফের মধ্যে তিনজন লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেও দুজন স্টাফ আটকা পড়েন। তাঁদের উদ্ধারে ১১ ঘণ্টা অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে বিকেল পৌনে ৫টায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, লাশ দুটি বাল্কহেডের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে। আজ শুক্রবার নগরীর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ থেকে এ বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়।

মিছিলটি নগরীর মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড় হয়ে জামালখানে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলকারীরা হাদি হত্যার বিচার দাবির পাশাপাশি আধিপত্যবাদবিরোধী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, যে সরকার তিন সপ্তাহ হয়ে গেলেও হাদি হত্যার মূল আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, সেই সরকার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। তাঁরা হাদি হত্যার আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত